পুলিশ সদর দপ্তর
যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত ৭ দিনে ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর হতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এগুলো উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ৭টি রিভলবার, ৩০টি পিস্তল, ৯টি রাইফেল, ১৫টি শটগান, ৩টি পাইপগান, ১৬টি শুটারগান, ৫টি এলজি, ১৫টি বন্দুক, ১টি একে-৪৭, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান, ৩টি এসবিবিএল, ৩টি এসএমজি এবং ১টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার রয়েছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ও পরের তিন দিনে রাজধানীসহ দেশের প্রায় ৫০০ থানায় হামলা চালানো হয়। ওই সময় লুটপাট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, পুলিশের যানবাহনসহ নানা স্থাপনা। এসব ঘটনায় পুলিশের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও দায়িত্ব নেওয়ার পর আস্তে আস্তে চালু হতে থাকে সব থানার কার্যক্রম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে লুট হওয়া অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অস্ত্র জমার শেষ দিন ছিল গত ৩ সেপ্টেম্বর। এরপর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে নেমেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড ও র্যাবের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। অস্ত্র জমা দেওয়াসংক্রান্ত জারি করা নির্দেশনার মধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও। তার মধ্যে গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।