ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনে ১০ সদস্যের কমিটি

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩২ পিএম
পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনে ১০ সদস্যের কমিটি
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনের বিষয়ে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে সদর দপ্তর। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান। গতকাল সোমবার এই কমিটি গঠন করা হয়। 

কামরুল আহসান বলেন, ‘ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে সভাপতি করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি (এপিবিএন) মোহাম্মদ শিহাব কায়সার, পুলিশ সুপার (এপিবিএন) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লজিস্টিক) মো. নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) জুয়েল রানা, পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি) মো. জাহিদুল ইসলাম, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সান্টুর রহমান ও কনস্টেবল বরকত উল্লাহ।

এই কমিটি কাপড়ের মান, ডিজাইন, লোগো তথা যেকোনো টেকনিক্যাল বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সদস্যদের কমিটিতে সমন্বয় ও পরামর্শ দিতে পারবেন বলেও নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-আক্রমণ ও হত্যার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এর পর থেকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ভয় ও আতঙ্কে কাজে ফেরেননি তারা। পরে কেউ কেউ থানায় ফিরলেও তারা সাদাপোশাকে ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ১১ দফা দাবিও জানান তারা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রবিবার বিকেলে সচিবালয়ে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত এম সাখাওয়াত হোসেন। বিকেল ৪টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, আইজিপি মো. ময়নুল ইসলামসহ আইজিপির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য এবং আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সোমবার থেকে কাজে যোগ দিতে রাজি হন পুলিশ সদস্যরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক ও লোগো পরিবর্তনে কমিটি গঠন করল পুলিশ সদর দপ্তর।

সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেপ্তার
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।

তৌফিক-ই-ইলাহী বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তুলি/সালমান/

সাম্প্রতিক বিপ্লবের মূলে ছিল প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব: ড. কামাল

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
সাম্প্রতিক বিপ্লবের মূলে ছিল প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব: ড. কামাল
ড. কামাল হোসেন

সংবিধান প্রণেতা ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূলে ছিল দেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব। কাজেই যেকোনো দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদের জন্মদিন উপলক্ষে ‘আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন ঐতিহাসিক মোড়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছি। একাত্তরে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অধিকার নিয়ে এই সংবিধান রচনা করেছিলাম। যেখানে বৈষম্য নিরসন ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবারের আন্দোলন পুনরায় বৈষম্য নিরসনকে সামনে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার কোনো সুযোগ যাতে না থাকে সেই আলোকে সংবিধান সংশোধনে সুপারিশ তৈরি করতে হবে বলে আমি মনে করি। সংশোধিত সংবিধানের কাঠামো এমন হতে হবে, যাতে দেশে কোনো নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় অবিচার আর ঘটতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তি। বর্ণাঢ্য তার জীবন-অভিজ্ঞতা। গণতন্ত্রের প্রতি সবসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন, বিশ্বাস করতেন প্রকৃত গণতন্ত্র ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তাকে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করেন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা।’

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গবেষক এবং সেন্টার ফর পার্লমেন্টারি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. জালাল ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, লেখক ডা. জাহেদ উর রহমান ও সারোয়ার তুষার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এবং ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ। অনুষ্ঠানে আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তা একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়। 

রাষ্ট্রপতির দপ্তরকে ইসির চিঠি এনআইডি স্বরাষ্ট্রে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত আইন বহির্ভূত

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
এনআইডি স্বরাষ্ট্রে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত আইন বহির্ভূত
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি)

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্ত ‘আইন বহির্ভূত’ বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এ কারণে সরকার প্রণীত ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ বাতিল করে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার জন্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরকে আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. শফিউল আজিম। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি দপ্তরের জন বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির কাছে ওই পত্রটি পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭-০৮ সালে দলমত নির্বিশেষে সবার আস্থার জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপিসহ ৯টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ৮ দশমিক ১০ কোটি নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয়ভাবে ভোটার ডেটাবেজ গড়ে তোলা হয়। 

সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে, এ ডেটাবেজে প্রায় ১২ দশমিক ১৯ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। ইউএনডিপির সমীক্ষা অনুসারে, ভোটারদের এই সংগৃহীত ডেটা ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০’ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের একই জনবল দ্বারা বিগত ১৭ বছর ধরে নিবন্ধিত নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, তৎকালীন সরকার সুশীলসমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনসংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু বিগত সরকার ‘রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬’এর এলোকেশন অব বিজনেস এবং ডিফারেন্ট মিনিট্রিরিজ অ্যান্ড ডিভিশনে সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অন্তর্ভুক্ত করে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়েই নির্বাচন কমিশনের মতামত নেওয়া হয়নি। কিন্তু সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯(১)-এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা, তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’ 

জাতীয় স্বার্থে অমূল্য এ তথ্যভাণ্ডারকে সুসংহত রেখে অব্যাহত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে আবেদন জানানো হয়। 

খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি হলেন আব্দুল খালেক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম
খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি হলেন আব্দুল খালেক
খাদ্য অধিদপ্তর

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল খালেককে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মো. ফাহিমুল ইসলামকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গতকাল জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাকে (মো. ফাহিমুল ইসলাম) ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে জ্যেষ্ঠতা প্রদান করা হলো এবং তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে ভূতাপেক্ষিকভাবে বিধিমোতাবেক আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: আইজিপি
আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর বলে জানিয়েছেন আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।’ 

আইজিপি জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশের সব ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

আইজিপি বলেন, “জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ), কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), এসবি, সিআইডি, র্যাব এবং জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়মিত মনিটর করছে। দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ যেন আর মাথা তুলতে না পারে সেজন্য জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কেউ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তারসহ তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।” 

তিনি আরও বলেন, ‘জামিনে থাকা জঙ্গি ও অন্য অপরাধীরা যাতে কোনো ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য তাদের ওপর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটগুলো সতর্ক ও কড়া নজরদারি করছে। যদি তারা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত মনিটর করছে।’