ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশ দেয়। নির্দেশে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পরিবারের সদস্যরা এবং জুনায়েদ আহমেদ পলক, তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাংক হিসাব থেকে সব ধরনের অর্থ উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আসাদুজ্জামান খান কামালের একমাত্র ছেলে জ্যোতি পিতার প্রভাব খাটিয়ে পুলিশ বাহিনীতে তদবির-বাণিজ্যের একটি সিন্ডিকেট গড়ে বিপুল অর্থ অবৈধ উপায়ে হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে গত তিন দিনে বিএফআইইউ সাবেক ৫ মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকার পতনের পর অর্থ পাচার ঠেকাতে ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ তালিকায় পতিত সরকারের আরও অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট আরও অনেকে রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হবে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংক বিএফআইইউকে সম্ভাব্য অর্থ পাচার ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ প্রথমে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। এরপর সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ও তার স্ত্রী শারমিন মুশতারী এবং গত সোমবার সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ ও তার স্ত্রী ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান রুখমিলা জামান চৌধুরী এবং তাদের সন্তান বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।