দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৮ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকনের সদস্যরা৷ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে তারা এসব প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন৷
সাত সদস্যদের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ছিলেন- ইসকন বাংলাদেশ-এর সভাপতি সত্য রঞ্জন বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিশ্বর গৌর দাস, পাবলিক রিলেশন বিভাগের সহপরিচালক বিমলা প্রসাদ দাস, ফুড ফর লাইফের পরিচালক অমানি কৃষ্ণ দাস, কার্যকরী কমিটির সদস্য সুদর্শন জগন্নাথ দাস ও ইসকন ন্যাশনাল ক্রাইসিস কমিটির সদস্য যুগধর্ম দাস।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং মনিটরিং সেল গঠন; সংখ্যালঘু কমিশন গঠন৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যেসকল হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানান ইসকন সদস্যরা৷ এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দুষ্কৃতিকারীদের দ্রুত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ভুক্তভোগী পরিবার ও ব্যক্তিবর্গকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান তারা।
দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা হিন্দু ধর্মাবলম্বী সংগঠনের প্রতি অপপ্রচার করছে, তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিও উত্থাপিত হয় এই সভায়।
ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু দাস ব্রহ্মচারী জানান, এই সভায় ইসকন সদস্যরা ইসকনসহ দেশের প্রধান প্রধান মন্দিরগুলোতে সার্বক্ষণিক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন৷
পাশাপাশি হিন্দু ধর্মীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজায় ৩ দিন ও রথযাত্রায় ২ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা; সংখ্যালঘু নিপীড়ন প্রতিহত করার জন্য একটি হট লাইন চালু করা; সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য পরিপত্র জারি করা এবং তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা৷
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সংখ্যালঘুদের গায়ে হাত দিলে বা নির্যাতন করলে কেউ ছাড় পাবে না, দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ থানাগুলো কাজ শুরু করেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো মারামারি, হানাহানি, সহিংসতা চাই না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী।
জয়ন্ত সাহা/এমএ/