পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগ বাণিজ্য এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট বাকিরা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাবেক পিএস (অতিরিক্ত সচিব) হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছেন।
জানা যায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আসাদুজ্জামান খান কামাল বস্তা বস্তায় ঘুষের টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি এই টাকা আদায় করতেন। তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট পরিচালিত হয়েছে। সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায়ে মূল ভূমিকা পালন করতেন হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। কয়েক বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই সিন্ডিকেট। হারুন অর রশীদ অবসরে গেলেও মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন। ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো পাঠানো হয়েছে দেশের বাইরে। জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন জনপ্রতি ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত আদায় করত এই সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেট ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না।