ঢাকা ২৭ ভাদ্র ১৪৩১, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৫৭ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও স্যার কেয়ার স্টারমার

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমার। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ উত্তরণে তার ও সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। খবর বাসসের

গতকাল ১৪ আগস্ট (যুক্তরাজ্যের সময়) অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় কেয়ার স্টারমার বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আপনার নিয়োগ পাওয়াকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।’

স্টারমার বলেন, ‘আমরা আপনার ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ। কারণ এ সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথে একটি শান্তিপূর্ণ উত্তরণের সুযোগ তৈরি করেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির সামনে বিদ্যমান একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আপনার নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে তার দৃঢ় ও স্থায়ী সম্পর্ককে মূল্যায়ন করে, যা আমাদের জনগণের মধ্যকার গভীর সম্পর্ক ও কমনওয়েলথ মূল্যবোধের দ্বারা সুদৃঢ় হয়েছে।’

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে আমরা সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত।’ 

অভিনন্দন বার্তায় স্টারমার বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের এবং আরও অনেকের সাহসিকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছি, যারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য একটি ভিন্ন ভবিষ্যতের আহ্বান জানিয়েছে।’

এ সময় ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে শান্তি, আইনশৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আপনার কাজে ব্রিটিশ সরকার আপনাকে সমর্থন করতে চায়।’

সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেপ্তার
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে।

তৌফিক-ই-ইলাহী বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তুলি/সালমান/

সাম্প্রতিক বিপ্লবের মূলে ছিল প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব: ড. কামাল

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৫ পিএম
সাম্প্রতিক বিপ্লবের মূলে ছিল প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব: ড. কামাল
ড. কামাল হোসেন

সংবিধান প্রণেতা ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মূলে ছিল দেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের অভাব। কাজেই যেকোনো দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তাগিদ দিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদের জন্মদিন উপলক্ষে ‘আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা এখন ঐতিহাসিক মোড়ে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করছি। একাত্তরে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত অধিকার নিয়ে এই সংবিধান রচনা করেছিলাম। যেখানে বৈষম্য নিরসন ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবারের আন্দোলন পুনরায় বৈষম্য নিরসনকে সামনে নিয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার কোনো সুযোগ যাতে না থাকে সেই আলোকে সংবিধান সংশোধনে সুপারিশ তৈরি করতে হবে বলে আমি মনে করি। সংশোধিত সংবিধানের কাঠামো এমন হতে হবে, যাতে দেশে কোনো নাগরিকের সঙ্গে অন্যায় অবিচার আর ঘটতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ ছিলেন একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তি। বর্ণাঢ্য তার জীবন-অভিজ্ঞতা। গণতন্ত্রের প্রতি সবসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন, বিশ্বাস করতেন প্রকৃত গণতন্ত্র ছাড়া কোনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তাকে বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে বলেও মনে করেন বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম এই প্রণেতা।’

ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান। এ ছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গবেষক এবং সেন্টার ফর পার্লমেন্টারি স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. জালাল ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, লেখক ডা. জাহেদ উর রহমান ও সারোয়ার তুষার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এবং ডেইলি স্টারের সাহিত্য সম্পাদক ইমরান মাহফুজ। অনুষ্ঠানে আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তা একটি সংকলন প্রকাশ করা হয়। 

৭ দিনে ১১১ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫১

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
৭ দিনে ১১১ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫১
পুলিশ সদর দপ্তর

যৌথ বাহিনীর অভিযানে গত ৭ দিনে ১১১টি অস্ত্র উদ্ধার ও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর হতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এগুলো উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ৭টি রিভলবার, ৩০টি পিস্তল, ৯টি রাইফেল, ১৫টি শটগান, ৩টি পাইপগান, ১৬টি শুটারগান, ৫টি এলজি, ১৫টি বন্দুক, ১টি একে-৪৭, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান, ৩টি এসবিবিএল, ৩টি এসএমজি এবং ১টি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার রয়েছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মোট ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। 

শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে ও পরের তিন দিনে রাজধানীসহ দেশের প্রায় ৫০০ থানায় হামলা চালানো হয়। ওই সময় লুটপাট করা হয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, পুলিশের যানবাহনসহ নানা স্থাপনা। এসব ঘটনায় পুলিশের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও দায়িত্ব নেওয়ার পর আস্তে আস্তে চালু হতে থাকে সব থানার কার্যক্রম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে লুট হওয়া অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অস্ত্র জমার শেষ দিন ছিল গত ৩ সেপ্টেম্বর। এরপর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে নেমেছে। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, কোস্টগার্ড ও র‌্যাবের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। অস্ত্র জমা দেওয়াসংক্রান্ত জারি করা নির্দেশনার মধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও। তার মধ্যে গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাষ্ট্রপতির দপ্তরকে ইসির চিঠি এনআইডি স্বরাষ্ট্রে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত আইন বহির্ভূত

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
এনআইডি স্বরাষ্ট্রে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত আইন বহির্ভূত
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি)

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার জন্য বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্ত ‘আইন বহির্ভূত’ বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এ কারণে সরকার প্রণীত ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ বাতিল করে এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে রাখার জন্য রাষ্ট্রপতির দপ্তরকে আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) পাঠিয়েছেন সংস্থাটির সচিব মো. শফিউল আজিম। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি দপ্তরের জন বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির কাছে ওই পত্রটি পাঠানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৭-০৮ সালে দলমত নির্বিশেষে সবার আস্থার জায়গা থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপিসহ ৯টি আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার আর্থিক সহায়তায় আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ৮ দশমিক ১০ কোটি নাগরিকের ডেমোগ্রাফিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে জাতীয়ভাবে ভোটার ডেটাবেজ গড়ে তোলা হয়। 

সর্বশেষ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা অনুসারে, এ ডেটাবেজে প্রায় ১২ দশমিক ১৯ কোটি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। ইউএনডিপির সমীক্ষা অনুসারে, ভোটারদের এই সংগৃহীত ডেটা ৯৯ দশমিক ৭ শতাংশ সঠিক মর্মে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতেই অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় না করে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০১০’ অনুসারে নির্বাচন কমিশনের একই জনবল দ্বারা বিগত ১৭ বছর ধরে নিবন্ধিত নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দেশব্যাপী নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব অবকাঠামো এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল তৈরি হয়েছে।

চিঠিতে জানানো হয়, তৎকালীন সরকার সুশীলসমাজ, রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্যসমৃদ্ধ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনসংক্রান্ত কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কিন্তু বিগত সরকার ‘রুলস অব বিজনেস-১৯৯৬’এর এলোকেশন অব বিজনেস এবং ডিফারেন্ট মিনিট্রিরিজ অ্যান্ড ডিভিশনে সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনসংক্রান্ত যাবতীয় কাজ অন্তর্ভুক্ত করে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মতামত নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়েই নির্বাচন কমিশনের মতামত নেওয়া হয়নি। কিন্তু সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯(১)-এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে, ‘রাষ্ট্রপতি পদের ও সংসদের নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা, তত্ত্বাবধান, নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অনুরূপ নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকবে।’ 

জাতীয় স্বার্থে অমূল্য এ তথ্যভাণ্ডারকে সুসংহত রেখে অব্যাহত নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩ বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো চিঠিতে আবেদন জানানো হয়। 

খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি হলেন আব্দুল খালেক

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পিএম
খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি হলেন আব্দুল খালেক
খাদ্য অধিদপ্তর

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. আব্দুল খালেককে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। 

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মো. ফাহিমুল ইসলামকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গতকাল জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাকে (মো. ফাহিমুল ইসলাম) ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে জ্যেষ্ঠতা প্রদান করা হলো এবং তিনি অতিরিক্ত সচিব পদে ভূতাপেক্ষিকভাবে বিধিমোতাবেক আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন।