বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিতে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতারের ঢাকা কেন্দ্রের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী এবং কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসনে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
বেতারের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করা। ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা, একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার বাস্তবায়ন করা। বাংলাদেশ বেতার থেকে নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ করা। নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি বাতিলপূর্বক পুনঃসংশোধন করা। বাংলাদেশ বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা নেওয়া।
বাংলাদেশ বেতারের ৯ম, ১৩তম এবং ১৫তম বিসিএস কর্মকর্তারা এখনো ৪র্থ গ্রেডে আছেন। এ ছাড়া ২৪তম থেকে ২৭তম বিসিএসের কর্মকর্তারা ৬ষ্ঠ গ্রেডে রয়েছেন যাদের অধিকাংশ ১৪ বছরের বেশি এবং ২৮তম থেকে ৩৫তম বিসিএসের নবম গ্রেডের অধিকাংশ কর্মকর্তা প্রায় ৮ থেকে ১৪ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন।
বিসিএস তথ্য ক্যাডারের চারটি সাব-ক্যাডার রয়েছে। উপসচিব পদে আবেদন করার ক্ষেত্রে এ চারটি সাব-ক্যাডারের মধ্যে একটি সাব-ক্যাডার গণযোগাযোগ বা পিআইডি থেকে ১৩৬টি ভিত্তি পদের বিপরীতে প্রতি বছর ১০টি আবেদন নেওয়া হয় অথচ নিদারুণ বৈষম্যের নজির স্থাপন করে বাংলাদেশ বেতারের বিসিএস তথ্য ক্যাডারের ৩টি সাব-ক্যাডার থেকে ৩২৩টি ভিত্তি পদের বিপরীতে অযৌক্তিকভাবে মাত্র ১০টি আবেদন নেওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য জাতীয় গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বিদ্যমান বাস্তবতায় বাংলাদেশ বেতারের চলমান বৈষম্য নিরসন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বাড়ানো হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূল যে লক্ষ্য তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিগুলো শিগগির পূরণ করবে বলে মানববন্ধনে উপস্থিত সবাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আবরার জাহিন/সালমান/