ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

টাঙ্গাইলে ২ কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে হেলপার নিহত

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পিএম
আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
টাঙ্গাইলে ২ কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে হেলপার নিহত
ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি ও কাভার্ডভ্যান চালকের মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে অন্য আরেকটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে এর হেলপার ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং আহত হয়েছেন চালক।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পুংলি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে ।

তাৎক্ষণিক হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুংলি এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা বড় একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে উত্তরবঙ্গগামী স্টেডফাস্ট কুরিয়ার লিমিটেডের একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে স্টেডফাস্ট কোম্পানির কাভার্ডভ্যানের হেলপার ঘটনাস্থলেই নিহত এবং চালক আহত হন। মরদেহ এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়েছে।

আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। তবে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যান এবং এর চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও জানায় পুলিশ।

জুয়েল রানা/পপি/অমিয়/

ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুরে মেরামত হচ্ছে ১৬০ রেল কোচ, হস্তান্তর ১২৪

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:২০ পিএম
ঈদ উপলক্ষে সৈয়দপুরে মেরামত হচ্ছে ১৬০ রেল কোচ, হস্তান্তর ১২৪
ছবি: খবরের কাগজ

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে অধিক যাত্রী পরিবহন করতে নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ১২০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়াও নিয়মিত কাজের সিডিউলে মেরামত করা হচ্ছে আরও ৪০টি কোচ। সব মিলিয়ে ঈদ উপলক্ষে মোট রেল বহরে যুক্ত হচ্ছে ১৬০টি কোচ। ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে ১২৪টি কোচ।

এসব কোচ দিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের দুটি ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনে বাড়তি কোচ সংযোজন করা হবে। এই লক্ষ্য পূরণে রেল কারখানার ২৮টি ওয়ার্কশপ কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। শ্রমিক-কর্মচারীরা কোচ মেরামতে দৈনিক কর্মঘন্টা শেষে অতিরিক্ত কাজ করছেন।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় কাগজে-কলমে ২ হাজার ৮৫৯ জন লোকবল থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৭০৭ জন শ্রমিক-কর্মচারী। নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকায় উৎপাদনে রয়েছে কারখানাটির মাত্র ২৫ শতাংশ জনবল। আসন্ন ঈদুল ফিতরে যাত্রীর চাপ সামলাতে অতিরিক্ত কোচ মেরামত করার কর্মযজ্ঞ চলছে। কারখানার ক্যারেজ, বগি, হেভি রিপিয়ারিং শপ, ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন ও পেইন্ট শপে অচল পুরাতন কোচের মেরামত কাজ চলছে। এসব শপে কোচের জরাজীর্ণ কাঠামো পরিবর্তন, চাকার ট্রলি মেরামত, নতুন আসন স্থাপন ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজ করা হচ্ছে। সবশেষে পেইন্ট শপে হচ্ছে রঙের কাজ। এসব কাজে যন্ত্রাংশের যোগান দিয়ে সহায়তা করছে কারখানার আরও ২৪টি শপ।

কারখানা ক্যারেজ শপের ইনচার্জ প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে কারখানার ডিএস মহোদয় মোস্তফা জাকির হাসানের তত্ত্বাবধায়নে জনবল সংকটের মুখে ১০ জনের কাজ করছেন দুইজন শ্রমিক। ঈদকে সামনে রেখে ১২০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৯০টি ব্রডগেজ (বিজি) ও ৩০টি মিটার গেজ (এমজি) রেলপথের কোচ। এছাড়া অতিরিক্ত ৪০টি কোচ নিয়মিত কাজের অধীন মেরামত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মেরামত করা ৭৮টি বিজি ও ১৮টি এমজি কোচ এবং নিয়মিত কাজে ৪০টি কোচের মধ্যে ২৮টি কোচ পাকশী ও লালমনিরহাট ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট কোচগুলো আগামী ২০ মার্চের মধ্যে পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর সম্পন্ন হবে।

কারখানার সিডিউল শপের ইনচার্জ প্রকৌশলী রুহুল আমীন জানান, ঈদে ট্রেন বহরে অধিক যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বাড়তে নিয়মিত কাজের বাইরে ১২০টি কোচ সচল করা হচ্ছে। জরাজীর্ণ কোচগুলোকে নতুন কোচে রূপান্তর করা হচ্ছে। নানামুখী সংকট থাকলেও অগ্রাধিকার দিয়ে ঈদের বাড়তি কোচ সরবরাহের কাজ করছেন তারা।

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, মালামাল ও লোকের সংকট থাকলেও ঈদে যাত্রী সেবার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। আমরা অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে কয়েক গুণ বেশি কাজ করছি কোচ মেরামতের লক্ষ্য পূরণে। যাতে রেলওয়ে ঈদযাত্রায় অধিক সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করতে পারে।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তও্বাবধায়ক (ডিএস) মোস্তফা জাকির হাসান বলেন, ঈদে রাজধানী ঢাকা থেকে পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে ফিরতে পারেন সেজন্য প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের সঙ্গে অতিরিক্ত কোচ সংযুক্ত করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পার্বতীপুর-জয়দেবপুর ও খুলনা-জয়দেবপুর রুটে দুই জোড়া ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যা ঈদের আগে ও ঈদের পরে চলাচল করবে। এজন্য ১২০টি কোচ মেরামতের সঙ্গে নিয়মিত কাজের আরও ৪০টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে। সবগুলি কোচ ২৪ মার্চের মধ্যে হস্তান্তরের লক্ষ্য থাকলেও তা ২০ মার্চের মধ্যে রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে। 

মমিনুর/সিফাত/

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি মুক্তাদির, মহাসচিব জাকির

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি মুক্তাদির, মহাসচিব জাকির
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি

বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির। মহাসচিব হয়েছেন ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন। আগামী দুই বছর তারা এই কমিটির দায়িত্ব পালন করবেন।

রবিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ ঔষুধ শিল্প সমিতির সিইও মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

তিনি জানান, গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির ৫৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুহাম্মদ হালিমুজ্জামান। সভায় ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম মোসাদ্দেক হোসেন সিনিয়র সহসভাপতি এবং রেনাটা পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ এস কায়সার কবীর সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। 

এ ছাড়া ২০ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম শফিউজ্জামান, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়াম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হায়দার হোসেন, সেনেভিয়া ফার্মা পিএলসির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এস এ রাব্বুর রেজা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (ভ্যাকসিন ডিভিশন) ভাইস চেয়ারম্যান হাসনিন মুক্তাদির, নিপ্রো জেএমআই ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্রুপ সিইও সিমিন রহমান, এসিআই লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এম মহিবুজ্জামান, রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (কেমিক্যাল ডিভিশন) এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. মিজানুর রহমান, দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিচালক ফাহিম সিনহা, এরিস্টোফার্মা লিমিটেডের পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ হাসান, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের (ইউনিট-২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিদুল হক, মিনারা এপিআই লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরাফাত জাহিদ ইবনে শফি। 

শিশুদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ৮ দাবি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
শিশুদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ৮ দাবি
ছবি: সংগৃহীত

মেয়েশিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে চাইল্ড রাইটস অ্যাডভোকেসি কোয়ালিশন ইন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তারা।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি এর শফিকুল কবির অডিটোরিয়ামেআয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা। এতে উপস্থিত ছিলেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহিনা বানু, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, আইন ও শালিস কেন্দ্রের সদস্য তামান্না হক রিতি, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্স এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের চাইল্ড এর প্রোটেকশন এন্ড চাইল্ড রাইটস গভার্নেন্স এর পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন। 

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিকভাবে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি নানা ধরণের যৌন সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন বক্তারা। তারা বলেন, সমাজে শিশুর প্রতি শ্রদ্ধার ও সংবেদনশীলতার অভাব, আইনের দুর্বল প্রয়োগ, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এবং অপরাধীদের দণ্ড থেকে অব্যাহতি—এই সবকিছুই শিশু ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধকে বাড়িয়ে তুলছে।

বক্তারা আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে অন্তবর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা নীতি’ গ্রহণ করা হয়েছে। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততর করা এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণের ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের এ ধরণের পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক বলেও উল্লেখ করেন তারা। তবে কোয়ালিশন মনে করে, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনা প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। এ অবস্থায় শিশুদের ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ১৪টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং নেটওয়ার্ক এর পক্ষ থেকে ৮ দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। দাবিগুলো হলো-

১. মেয়েশিশুর প্রতি সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার দ্রুততার সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত, বিচার, ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।
২. বিদ্যমান আইন পরিবর্তন বা নতুন কোনো আইনি পদক্ষেপ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে অর্থবহ আলোচনা নিশ্চিত করা।
৩. সরকার গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা নিয়মিতভাবে তদারকি করা।
৪. সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৫. যৌন হয়রানি প্রতিরোধে ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত আইন প্রণয়ন করা।
৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি হয়রানি বন্ধে আইনি কাঠামো জোরদার করা।
৭. স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়-সর্বস্তরে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা।
৮. দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিশুদের জন্য পৃথক অধিদপ্তর গঠন করা।

তিথি/এমএ/

গণপরিবহনে যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক-হেলপারদের প্রশিক্ষণ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
গণপরিবহনে যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক-হেলপারদের প্রশিক্ষণ
গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।
ডিটিসিএ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) যৌথ উদ্যোগ ও সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় ৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ডিটিসিএর প্রধান নির্বাহী নীলিমা আখতার একটি গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ব্র্যাকের নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতকালে ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক ও অন্যান্যভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয় ৪১-৬০ বছর বয়সী পুরুষ দ্বারা। দেশে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকা, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, যানবাহনে অপর্যাপ্ত আলো, তদারকির অভাবে (সিসি ক্যামেরা না থাকা) নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।

তিনি জানান, ডিটিসিএ এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে কারণ সরকার নারীবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিত করতে চায়। নারীদের যথাযথ উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণপরিবহন ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তন আনা অত্যন্ত প্রয়োজন।

ডিটিসিএ প্রধান নীলিমা আখতার আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিশ্চিতকরণে ডিটিসিএ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, প্রতিবন্ধীবান্ধব গণপরিবহন চালুকরণের লক্ষ্যে কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে ও হাঁটা ও সাইকেল-বান্ধব নগরী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ডিটিসিএ নিয়মিতভাবে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত’ দিবস পালন করে আসছে। তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি জনবান্ধব ও যাত্রীদের জন্য নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, যৌন হয়রানি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যার ফলে সমাজ অনিরাপদ ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। দেশকে শান্তিপূর্ণ করার জন্য নারীদের সম্মান রক্ষা করা প্রয়োজন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোমা দত্ত বলেন, ৯৯৯ ছাড়াও ১০৯৮ এবং ১০৯ এই নাম্বারে ফোন দিয়ে যে কেউ গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার থেকে প্রতিকার পেতে পারে। এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। জনসচেতনতার জন্য বিষয়টির প্রচার প্রয়োজন। কোনো বাসচালক যদি বাসে হয়রানিমূলক পরিবেশ সামাল দিতে না পারেন তাহলে যেন তারা এসব নাম্বারে ফোন দেন।

ডিটিসিএর বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, ‘বাসের মতো গণপরিবহনকে নারীদের জন্য নিরাপদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমরা আজ এই কর্মশালা শুরু করছি। এই বাসচালক ও সহকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হলো। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাসচালক ও সহকারীদেরকে এই প্রশিক্ষণ থেকে পাওয়া জ্ঞান অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যার মাধ্যমে পরিবহন খাত এবং সমাজে একটি বড় পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করেন। এছাড়া এই প্রশিক্ষণের পর বাসচালক ও সহকারীদের সনদ প্রদান করার কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিটিসিএর ট্রেনিং অ্যাডভাইজর মোহাম্মদ হামিদ মিয়া। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শুভাশীষ চন্দ্র মোহন্ত এবং ডিটিসিএর ট্রাফিক অ্যানফোর্সমেন্ট অফিসার মো. সেলিম খান।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) ‘নিরাপদ যাতায়াত, নারীবান্ধব নগর’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যার লক্ষ্য গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় হয়রানির সমস্যা মোকাবিলা এবং সব যাত্রীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এই কার্যক্রম ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের অর্থায়নে এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (DTCA)-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করার প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করার প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভিার্সিটি’ নামে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।

সভা শেষে এ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএম ফায়েজ।

তিনি বলেন, আমরা সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র প্রস্তাব রাখছি। সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হবে। সরকার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

কবির/এমএ/