ঢাকা ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪

রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব
সফর রাজ হোসেন, শাহদীন মালিক (উপরে। শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ,বদিউল আলম মজুমদার (নিচে)।

রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রত্যয় ব্যক্ত করে গত মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে। সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালনার উপায় খুঁজতে সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের সংস্কারের প্রস্তাবনা তৈরির জন্য পৃথক ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হয়েছেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে খবরের কাগজ। এর মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা আগামী সপ্তাহের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন এবং দেশের সার্বিক সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা প্রবর্তন, নির্বাচনব্যবস্থা প্রণয়ন, সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রকাঠামো নির্মাণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাবনা দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে।

উন্নত দেশের মতো পুলিশের প্রস্তাবই দেব: সফর রাজ হোসেন, সাবেক সচিব

আমি তো এখনো কোনো চিঠি পাইনি। এখনো কমিটির কার্যপ্রণালি বা টার্মস অব রেফারেন্স- কমিটিকে কী করতে হবে, কমিটিতে কারা থাকবেন, একচুয়ালি সরকার কী চায় এবং কমিটির অন্য সদস্য কারা হবেন সে সম্পর্কে এখনো অফিশিয়ালি কোনো কাগজপত্র পাইনি। আমরা ভাবব যে, আমাদের পুলিশ উন্নত দেশের মতো হবে। সে জন্যই আমরা হয়তো স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তাব করব।

তবে রাজনৈতিকভাবে পুলিশকে ব্যবহার ঠেকানোর বিষয়টি হয়তো আমরা পুরোটা প্রস্তাবনায় আনতে পারব না। কারণ পুলিশের ওপর  সরকারের রাজনৈতিক যে নিয়ন্ত্রণ, সেটা বোধহয় আমার টার্মস অব রেফারেন্সের মধ্যে আসবে না। সেটা হয়তো সংবিধান নিয়ে যারা কাজ করছেন (সংবিধান সংস্কার কমিশন) তারা ঠিক করতে পারেন যে, কীভাবে সরকারের সেন্ট্রালাইজ ক্ষমতাকে ডিসেন্ট্রালাইজ করা যায়।

বর্তমানে যে সংবিধান আছে, এ সংবিধান অনুযায়ী যা হবে সে রকমই চলবে। সংবিধান সংস্কার করলে তখন সে ব্যাপারটা আলাদা কিছু হবে। নির্বাহী ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার করা হবে সেটা তো সংবিধান বা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। আমরা হয়তো পুলিশের অর্গানোগ্রাম নিয়ে কাজ করব। আর হয়তো পুলিশ রিলেটেড যেসব আইন আছে সেগুলো নিয়ে কাজ করব।

আমার টিমে আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে নেওয়া হবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে দেখা করব। আমরা হয়তো আগামী ১ অক্টোবর কমিশনের প্রথম বৈঠকে বসব। সেই বৈঠকে কর্মপরিকল্পনা ও একটি রূপরেখা তৈরি করব।

আনুষ্ঠানিক চিঠি পেলে কাজের চৌহদ্দি বোঝা যাবে: শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

আমার কাজটা কী? তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানি না। খবরের কাগজ এবং টেলিভিশনে দেখেছি মাত্র। আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পেলে এবং কমিশনে আর যারা থাকছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে করণীয় ঠিক করা যাবে। তা ছাড়া আনুষ্ঠানিক চিঠি থেকেও হয়তো কাজের চৌহদ্দি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে।

দায়িত্ব পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বসেও সুপারিশমালা প্রস্তুতের কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে। আমি বিচার বিভাগে ছিলাম। আইনজীবী ছিলাম। পরে বিচারক হয়েছি। হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলাম, সর্বশেষ আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলাম। আমার ওপর যদি দায়িত্ব এসে থাকে, তাহলে নিম্ন আদালতের ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নেব। কারণ এখন নিম্ন আদালতের সব খবর বলতে পারব না। সব মিলে সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সুপারিশ করা যাবে।

গত দেড় দশকে বিচার বিভাগের পরিস্থিতি এখন এন্ডলেস গেমের মতো হয়ে গেছে। যে যা খুশি তা করেছে। আমি ‘সঠিক’ শব্দটা ব্যবহার করতে চাই। সঠিক বিচার কি হয়েছে? হয়নি। কারণ যিনি বিচার করেছেন, তিনি চাপে ছিলেন। যিনি বিচার করাচ্ছেন, তিনি নিজের মতো করিয়েছেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তো চাকরি করেছে, খেয়েছে, ঘুমিয়েছে, পেট ভরেছে! ওই সময়ের বিচারের কথা না বলাই ভালো।

বিচারকরা যেন শিরদাঁড়া সোজা করে বিচার করতে পারেন সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করব। বিচারকদের কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়, বিচারকদের ছেলেমেয়ে অসুস্থ হলে কর্মস্থলে থাকা বিচারককে বাড়ির কথা যেন চিন্তা করতে না হয়। ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়।

যখন ওকালতিতে ঢুকি, সত্তরের দশকের শুরুর দিকে, তখন থেকেই আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে বিচার বিভাগ সরকারের অধীনে থাকলে কখনো সুষ্ঠু বিচার হবে না। এটা পরিষ্কার কথা। এ বিষয়ে মতামত থাকবে আমার।

আইনের একই বই মামলার পক্ষের লোক, বিপক্ষের লোক এবং বিচারক সবাই পড়েন। পরে একটা রায় দেন বিচারক। তবে ভিন্নমত হয় কেন? এখানেই স্বাধীনতা।

সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করার পরিকল্পনা: বদিউল আলম মজুমদার, সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)

নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কার করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কমিশন গঠন করার পর এর কার্যপ্রণালি ঠিক করা হবে। আমাদের তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছে। আমরা ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করব।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করার মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখার জন্য করণীয় নির্ধারণ প্রধান কাজ। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করবে। একই সঙ্গে নির্বাচন পদ্ধতিকেও পরিশীলিত করতে হবে।

পাশাপাশি নিজেদের আচরণ, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও উন্নতি ঘটাতে হবে।

নির্বাচনকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

কার্যপরিধি অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করা হবে: শাহদীন মালিক, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান

সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিজ্ঞপ্তি, দিকনির্দেশনা, কার্যপরিধি এখনো দেওয়া হয়নি। সরকার এ নিয়ে আমাকে কিছুই বলেনি। আমার সঙ্গে কয়জন সদস্য থাকবে, কিছুই জানি না। আর এ তো আমার একার নির্বাহী সিদ্ধান্ত না, সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এটা করতে হবে।

আগে সরকার থেকে যোগাযোগ করা হোক, কার্যপরিধি বলা হোক, কয়জন সদস্য থাকবে, এটা না হলে এই অবস্থায় আমার চিন্তার কোনো স্কোপ (সুযোগ) নেই।

আমি একটা বললাম কিন্তু সরকার অন্য জিনিস চায়, তাহলে প্রথম দিন থেকে সরকারের মুখোমুখি হয়ে তো কোনো লাভ নেই। আমি আগে জেনে নিই, তারপর জানাব।

বটমলি হোমে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক দিবস উদযাপন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম
বটমলি হোমে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক দিবস উদযাপন
বটমলি হোমে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক দিবস উদযাপন

বটমলি হোম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সিস্টার মেরী সুপ্রীতির সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুব্রত বেনিফাস গোমেজ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন তেজগাঁও ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত ফাদার জয়ন্ত এস গোমেজ।

অনুষ্ঠানের শেষে বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

অমিয়/

সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম
সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
দেশের ডিমের চাহিদা পূরণে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ছবি: খবরের কাগজ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার৷ 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়৷

প্রাথমিকভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ এক কোটি পিস করে ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়৷

এর মধ্যে মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি পিস, মেসার্স তাওসিন ট্রেডার্সকে এক কোটি পিস, মের্সাস সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ পিস, আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ পিস, হিমালয়কে এক কোটি পিস, মের্সাস প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ পিস এবং মের্সাস জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য নিম্নবর্ণিত প্রতিষ্ঠানসমূহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

আবদুল্লাহ আল মামুন/অমিয়/

সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধির হার ৯.৬৫ শতাংশ: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
সুন্দরবনে বাঘ বৃদ্ধির হার ৯.৬৫ শতাংশ: পরিবেশ উপদেষ্টা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সুন্দরবনে ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ সালে সুন্দরবনের জাতীয় পশু বাঘ জরিপে ১২৫টি বাঘ পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ বর্গকিলোমিটারে বাঘের ঘনত্ব ২ দশমিক ৬৪। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বাঘের সংখ্যা ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ  এবং ২০১৫ সালের তুলনায় ১৭ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ ২০২৪’-এর ফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ২০১৫ সালে সুন্দরবনে ১০৬টি বাঘ ছিল, আর ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ১৭। ২০১৮ সালে ১১৪টি বাঘ পাওয়া যায়, আর ঘনত্ব ছিল ২ দশমিক ৫৫। ২০১৮ সালে বাঘের সংখ্যা ৮টি বেড়েছিল এবং বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৮ শতাংশ।

তাছাড়া, ২০২৩-২৪ সালের জরিপে ২১টি বাঘে শাবকের ছবি পাওয়া গেছে, তবে শাবকদের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ ছোট বয়সে শাবকের মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ২০১৫ ও ২০১৮ সালে মাত্র ৫টি শাবকের ছবি পাওয়া গিয়েছিল।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, জরিপের ছবি ও তথ্য বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়। এ কাজে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হয়। জরিপটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হয়। সুন্দরবনের ৬০৫টি গ্রিডে এক হাজার ২১০টি ক্যামেরা ৩১৮ দিন রেখে দেওয়া হয়, যার মধ্যে ৩৬৮টি গ্রিডে বাঘের ছবি পাওয়া যায়। প্রায় ১০ লক্ষাধিক ছবি ও ভিডিও থেকে সাত হাজার ২৯৭টি বাঘের ছবি পাওয়া যায়। এত বেশিসংখ্যক বাঘের ছবি এর আগে পাওয়া যায়নি।

বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির এই খবর দেশের সবার জন্য আনন্দের জানিয়ে তিনি বলেন, বাঘ সংরক্ষণে সরকার ৫৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বন রক্ষিত এলাকা ঘোষণা, ৬০ কিলোমিটার নাইলন ফেন্সিং, ১২টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ক্ষতিপূরণ ও পুরস্কার প্রদান এবং ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপনস টিম গঠনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসেন চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমএ আজিজ, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন প্রমুখ।

অমিয়/

দুর্গাপূজার ছুটি ১ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
দুর্গাপূজার ছুটি ১ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সরকার শারদীয়া দুর্গাপূজার ছুটি আরও এক দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

মাহফুজ আলম বলেন, দুর্গাপূজার ছুটি এ বছর এক দিন বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

দেশি-বিদেশি চক্রান্ত নিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘দেশের মধ্যে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে, সেটি প্রতিরোধ করতে কাজ করছে সরকার। দুষ্কৃতকারীদের ধরতে সরকার সচেষ্ট আছে। কোনো ষড়যন্ত্রকারীকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজার সরকারি ছুটি। আর ১১ ও ১২ অক্টোবর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। এ তালিকায় যদি বৃহস্পতিবার যুক্ত হয়, তা হলে দুর্গাপূজায় মোট চার দিন ছুটি পাচ্ছেন দেশের সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবীরা।

অমিয়/

বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২১ এএম
আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম
বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ
কুমিল্লা সীমান্তে ভারতের কাটাতারের বেড়া। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সীমান্তে কামাল হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।  

সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের যশপুর বিওপির কাছে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত কামাল হোসেন সদর দক্ষিণ উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের ইদু মিয়ার ছেলে। 

১০ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ইফতেখার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় পাহাড়পুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন কামাল। বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। পরে বিএসএফ অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যায়। 

লে. কর্নেল ইফতেখার হোসেন জানান, ভারতের অভ্যন্তরে কামাল হোসেন নামের ওই যুবক গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে বিএসএফ মরদেহ নিয়ে গেছে। ওই যুবকের মরদেহ ফিরিয়ে আনতে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজ দুপুর ১টার দিকে আমাদের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তার মরদেহ হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। 

সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে বিস্তারিত জানাব।

অমিয়/