ঢাকা ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হয়: শ্রম সচিব

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হয়: শ্রম সচিব
বিজয়ী দলের বিতার্কিকদের সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরন

ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) শ্রম অধিকার ও পোশাক খাতে অস্থিরতা নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

শ্রম সচিব বলেন, বিগত সময়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এসব সংগঠনে গণতান্ত্রিক চর্চা ছিল না। সিলেকশনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্প সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের অপচেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে যাতে আমাদের রপ্তানি সংকুচিত হয়। এছাড়া ভুল তথ্য ছড়িয়ে একটি মহল শিল্প এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। তৈরি পোশাক খাতে অস্থিরতার পেছনে প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন রয়েছে। এ খাতে অস্থিরতা দীর্ঘায়িত হলে ক্রয়াদেশ অন্যদেশে চলে যেতে পারে। সে কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা এদেশের পোশাক শিল্পে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছে। তবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগে অসন্তোষ অনেকাংশে দূর হয়েছে।

একই দেশে দুই ধরণের শ্রম আইন থাকতে পারেনা জানিয়ে তিনি বলেন, ইপিজেডে শ্রমিক সংগঠন চালুর বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন। এ বিষয়ে মালিক পক্ষসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গত ১৫ বছরে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়নি। এই তহবিলের টাকা এমন কিছু ব্যাংকে রাখা হয়েছে যেসব ব্যাংক এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই তহবিলে এক হাজার কোটি টাকা রয়েছে। বর্তমান সরকার এই তহবিল পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে সমর্থন করি। শ্রমিকদের বেতন বৈষম্যসহ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করাকে কোনো ভাবেই গ্রহণ করি না। তবে শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবি দাওয়ার নামে বিক্ষোভ আমরা কোনো ভাবেই সমর্থন করি না। বাহিরাগতরা দলবলসহ কারখানায় প্রবেশ করে সাধারণ শ্রমিকদের বিক্ষোভে অংশ নিতে প্ররোচিত করাকে গ্রহণ করি না। 

তিনি বলেন, আমরা মনেকরি পোশাক শিল্পকে অস্থিতিশীল করে বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত এসব ব্যক্তিরা। এমনকী দেখা গেছে, শ্রমিক আন্দোলনের উসকানিদাতাদের কেউ কেউ পোশাকশ্রমিক নেতা কিংবা পোশাকশ্রমিকও নয়। অভিযোগ রয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ এই অস্থিতিশীলতা তৈরি করে আমাদের এই পোশাকশিল্পের বাজারকে দখল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই মালিক-শ্রমিক সবাই মিলে পোশাকশিল্পে অহেতুক শ্রমিক অসন্তোষ বন্ধে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করবেন বলে আশা করছি। 

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান বলেন, বিগত সরকারের সময়ে সরকার শ্রমিক সংগঠনের সমর্থন আদায়ে তথাকথিত কিছু ডামি শ্রমিক সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়েছিল তৎকালীন সরকার। এসব শ্রমিক সংগঠনের নিবন্ধন যথাযথ নিয়মে হয়েছে কি না তা অনুসন্ধান করা জরুরি। সম্প্রতি পোশাক খাতে অস্থিরতা তৈরির পিছনে রাজনৈতিক স্বার্থে এসব ইয়েলো ট্রেড ইউনিয়ন কাজ করছে কিনা সেটিও অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, তবে দেশি-বিদেশি ইন্ধন ছাড়াও শ্রমিকদের বেতন বৈষম্য, কাজের অনিশ্চয়তা, কিছু কারখানা মালিকের অনুপস্থিতি, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপর্যাপ্ততাসহ নানা কারণে পোশাকশিল্পে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পোশাকশিল্পে প্রায় ৪০ লক্ষের বেশি কর্মী কাজ করছে। যাদের শ্রমে ঘামে এই শিল্পটি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। তারা যদি ন্যূনতম বেতন না পায়, শোভন কর্ম পরিবেশ না থাকে, নিরাপদ কারখানা তৈরি করা না হয়, শ্রম অধিকার লঙ্ঘিত হয় ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা না থাকে তাহলে কারখানা মালিকদের সিআইপি-ভিআইপি মর্যাদাসহ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ম্লান হয়ে যাবে। তাই পোশাক শিল্প মালিকদের উচিত হবে প্রত্যেক শ্রমিক, কর্মচারি-কর্মকর্তাদের নিজের সন্তানের মতো ভালোবেসে পরিবারে সদস্য মনে করা। 

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, অন্যদিকে শ্রমিকদের উচিত হবে ফ্যাক্টরি মালিকদের অভিভাবকের মর্যাদা দিয়ে অকারণে কারখানায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না করা। কারণ এই খাতে বিনিয়োগ কর্মসংস্থান ও রপ্তানি ব্যাহত হলে অর্থনীতিতে ধস নামবে। তখন মালিকও থাকবে না শ্রমিক ও থাকবে না। 

শ্রমিক স্বার্থ বিবেচনায় রেখে পোশাক খাতের বর্তমান বিরাজমান অস্থিরতা দূরীকরণে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন।

অমিয়/

বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানে ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই অখুশি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ পিএম
বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানে ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই অখুশি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানের ঘটনায় ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই অখুশি। এ কারণে দেশটির গণমাধ্যম প্রমাণ করতে চাইছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। তবে এ ধরনের অপপ্রচার দুই দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

রবিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশৃঙ্খলা-অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। তবে সেটা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। খুব দ্রুতই বর্তমান সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আর এ কাজটি দ্রুত পুলিশ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছিল। পরে পুলিশ এলে শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছেড়ে যায়। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর সাড়ে তিন মাসে সরকার অনেক কিছু অগ্রগতি ঠিকমতো করেছে।

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান হওয়ায় গণমাধ্যম, বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই অখুশি। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই এখন সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালানো হচ্ছে। তারা (ভারতীয় গণমাধ্যম) প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, তালেবান ঘরানার সরকার আসতে যাচ্ছে ইত্যাদি, যা খুবই অন্যায্য বা লাগাম ছাড়া। এর নেতিবাচক দিক হলো এসবে কোনো পক্ষই ভালো কিছু পাবে না। এসব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না, ভারতের জন্যও ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের সম্মাননীয় ফেলো ও বোর্ডসদস্য ফারুক সোবহান, সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট গ্রুপের পরিচালক ডার্ক উইলেম তে ভেলডি, ইউনান একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের সাবেক সভাপতি রেন জিয়া, ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের মহাপরিচালক শচীন চতুর্বেদি, দ্য সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শ্রীধর ক্ষত্রি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

আজ চালু হচ্ছে না পদ্মা রেলসেতু

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ এএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ পিএম
আজ চালু হচ্ছে না পদ্মা রেলসেতু
ছবি: সংগৃহীত

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাই পদ্মা রেলসেতু সংযোগ চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন রবিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রবিবার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেনকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।

রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রেনচালক, সহ-চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়। ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫-১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এ জন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।

মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক বেসিকের সমপরিমাণ টাকা বেশি পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিন ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই-তিন মাসের সমপরিমাণ। তাদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাদের পেনশন দেওয়া হয়।

কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করে। এর পর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছে।

রেলওয়ের মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগেই রেলওয়েকে জানিয়েছি, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তারা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন সময়) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব-লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।

সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন রবিবার রাতে বলেন, ‘তাদের কর্মবিরতিতে প্রায়ই বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রা বাতিল করতে হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়েকে। এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সর্বপ্রথম এই ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায়, তা নিয়ে ভাবছি আমরা।’

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার দোসরদের ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার দোসরদের ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ
শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের সাবেক মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে যুক্তরাজ্যে

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের সাবেক মন্ত্রীসহ রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে যুক্তরাজ্যে। দেশটির আবাসন খাতে তাদের লগ্নি করা সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৪০ কোটি পাউন্ড (৬ হাজার কোটি টাকা) বা আরও অনেক বেশি হতে পারে। 

ব্রিটিশ দৈনিক অবজারভার ও বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। শনিবার যুক্তরাজ্যের দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এই অনুসন্ধান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, অবজারভার ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের যৌথ অনুসন্ধানে যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনা-ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যক্তির নামে প্রায় ৩৫০টি সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে।

অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা এই সম্পত্তির অনেকটির মালিকানায় রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের সদস্যরা। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে মাঝারি মানের ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে সুবিশাল অট্টালিকা (ম্যানশন) পর্যন্ত রয়েছে। যুক্তরাজ্য ও দেশটির বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (অফশোর কোম্পানি) নামে সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে।

বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বর্তমানে বাংলাদেশে কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। সালমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, সালমানের পরিবারের সদস্যদের লন্ডনের মেফেয়ার এলাকার গ্রোসভেনর স্কয়ারে সাতটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টের মালিকানা বা মালিকানায় অংশীদারত্ব রয়েছে। এগুলোর বেশির ভাগই অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা। এর মধ্যে ২০২২ সালের মার্চ মাসে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান রহমান। সেখানে ৩ কোটি ৫৫ লাখ পাউন্ডে কেনা তার একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে। ২০২২ সালে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা লন্ডনে শায়ান রহমানের একটি বাড়িতে বিনা ভাড়ায় থাকতেন বলে খবর বেরিয়েছিল।

গ্রোসভেনর স্কয়ারে এবং এর কাছাকাছি এই পরিবারের আরেক সদস্য আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের ২ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড মূল্যের আরও চারটি সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তি অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছে। এ বিষয়ে শায়ান রহমান ও শাহরিয়ার রহমানের আইনজীবীরা বলেছেন, মানি-লন্ডারিং আইনসহ আর্থিক বিধিবিধান পুরোপুরি মেনেই সম্পত্তিগুলো কেনা হয়েছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের ৩০০টির বেশি সম্পদ রয়েছে। এগুলোর মূল্য অন্তত ১৬ কোটি পাউন্ড। কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা গত সেপ্টেম্বরে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বৈশ্বিক সম্পত্তি নিয়ে ‘দ্য মিনিস্টার্স মিলিয়নস’ শিরোনামের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশে তার আনুমানিক ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি রয়েছে।

বিএফআইইউ বাংলাদেশে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে। তার ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সরকার সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ অর্জনের অভিযোগ তদন্ত করছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনীতিকদের বাইরে বাংলাদেশের ধনী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদেরও যুক্তরাজ্যে সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের সারে এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পরিবারের সদস্যদের দুটি সম্পত্তি রয়েছে। ১ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড দিয়ে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে এ সম্পত্তি কেনা হয়েছে। অবজারভার এলাকাটিতে পরিদর্শনে গিয়ে আহমেদ আকবর সোবহানের এক ছেলের মালিকানাধীন একটি অট্টালিকারও সন্ধান পেয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার গত ২১ অক্টোবর আহমেদ আকবর সোবহানসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যের ওপর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করেছে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে গার্ডিয়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও আহমেদ আকবর সোবহানের ছেলে সাফওয়ান সোবহান। তিনি বলেন, তার পরিবার তাদের বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

সিআইডি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করছে। তার সম্পত্তিও জব্দ করা হয়েছে। লন্ডনের কেনসিংটনে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কীভাবে ৩ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডের পাঁচটি সম্পত্তি কিনেছেন তা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে নজরুল ইসলাম মজুমদারের ঘনিষ্ঠ সূত্র তিনি এসব সম্পত্তি অবৈধ উপায়ে কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলে জানায়।

তবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংক খাত থেকে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার পরিমাণ আরও বেশি।’

রবিবার (১ ডিসেম্বর) জমা দেওয়া শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানান, শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে অর্থনীতির প্রতিটি খাত ধরে ধরে আলাদা বিশ্লেষণ করে দেখানো হয়েছে উন্নয়নের গল্প সাজাতে কিভাবে পরিসংখ্যানকে ম্যান্যুপুলেট করা হয়েছে। উন্নয়নের গল্প শোনানো হলেও ভেতরে ভেতরে চলেছে লুটতরাজের এক মহাযজ্ঞ। তথ্যসূত্র বাসস। 

 

জনপ্রশাসন নিয়ে বেশির ভাগ মানুষ অসন্তুষ্ট: আবদুল মুয়ীদ

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
জনপ্রশাসন নিয়ে বেশির ভাগ মানুষ অসন্তুষ্ট: আবদুল মুয়ীদ
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

জনপ্রশাসন নিয়ে মানুষের মূল্যায়ন কি- এমন এক প্রশ্নের জবাবে দেশের বেশির ভাগ মানুষ অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। 

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আমলাদের ওপরে আমলারাই বেশি জুলুম করে। তাই জনপ্রশাসনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সুপারিশ করবে এই কমিশন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি না হয়। এ ছাড়া ক্যাডার ও জেলা প্রশাসক এ ধরনের শব্দগুলো বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। এক দিনে পরিবর্তন আনা সম্ভব না। তবে আমাদের সুপারিশ থাকবে।’

মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘বিপুলসংখ্যক মানুষ সন্তুষ্ট নয় বলেই সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের অগ্রাধিকারটা বোঝার চেষ্টা করছে কমিশন। 
ইতোমধ্যে কমিশন একটা প্রশ্নমালা তৈরি করে জনপ্রশাসন সংস্কারে অগ্রাধিকার বিষয়ে বিভিন্ন পেশার নাগরিকদের অভিপ্রায় ও অভিমত জানার চেষ্টা করছে, জনমত সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে।’

নতুন আরও দুটি প্রশ্ন ১০ দিনের জন্য সবার কাছে পাঠাব উল্লেখ করে কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আমরা জানতে চাইছি, কোনো সেবাপ্রার্থী যদি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে থাকেন তবে তার অভিজ্ঞতা কি? এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিও রয়েছে এমন আরেকটি প্রশ্ন।’

এ সময় কমিশনের সদস্যসচিব ও জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েকটি অফিস সম্পর্কে মানুষের নেগেটিভ ধারণা রয়েছে। এর মধ্যে এসিল্যান্ড, রেজিস্ট্রেশন অফিস সম্পর্কে মানুষের ধারণা বাজে। সবাই সেখানে দিচ্ছে, নিচ্ছে। তারা এটাও বলে, আগের স্যারের থেকে কম নিচ্ছেন।’ 

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনকে তখন ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারির ফল ১২ ডিসেম্বর

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারির ফল ১২ ডিসেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের ফল লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। আগামী ১২ ডিসেম্বর এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল খবরের কাগজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, ভর্তির আবেদনের সময় নতুন করে আর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি।

মাউশি সূত্র জানায়, গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া হয়। এতে মোট ৯ লাখ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন আবেদন করে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করে ৬ লাখ ২৫ হাজার ৯০৪ জন। আর বেসরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী। সারা দেশে বিদ্যালয়ে ভর্তিযোগ্য শূন্য আসন ১১ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে সরকারি স্কুলে আসনের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৬৬২টি। বেসরকারিতে শূন্য আসন ১০ লাখ ৭ হাজার ৬৭১টি। সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আসনের তুলনায় ৬ গুণ বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করে। অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যালয়ে আসনের চেয়ে সাত লাখ আবেদন কম পড়েছে।