ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, আক্রান্ত ৩১৭ জন

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু নেই, আক্রান্ত ৩১৭ জন

ডেঙ্গুতে শুক্রবার আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৭ জন রোগী। তবে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রেরিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। 

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ ডা. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের হাসপাতালে ৩১৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২৭৩ জন সরকারি হাসাপাতালে এবং ৪৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সব মিলিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৭৩ জন। গত ১ অক্টোবর থেকে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪৩৮ জন, মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৭ জন। ছাড়পত্র পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৮৮ জন। 

অন্যদিকে ঢাকা মহানগরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি ১৬৪ জন। গত ১ অক্টোবর থেকে আক্রান্ত সংখ্যা ১৪ হাজার ৯৪৭ জন। মৃত্যু ১২৩ জন। ছাড়পত্রপ্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৮ জন। বর্তমানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৬ জন।

‘কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে’

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
‘কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে’
প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ। ছবি : সংগৃহীত

কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ সব সময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ‘দাওয়াত ও তাবলীগ হেফাজতের লক্ষ্যে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাওলানা মো. ফজলুল করীম কাসেমী।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ওলামাবিদ্বেষী, টঙ্গীতে মানুষ হত্যাকারী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী সাদপন্থিদের কাকরাইল ও টঙ্গীতে কোনো অধিকার নেই, থাকার কোনো প্রশ্নই নেই।’ 

মো. ফজলুল করীম কাসেমী বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যারা দুর্নীতিবাজদের তেলমর্দন করে মদদ দিয়েছে, ভোটারবিহীন নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দলীয় কর্মী হিসেবে মাঠে-ময়দানে কাজ করেছে, আজকে প্রায় ষাটের অধিক আলেম-ওলামাসহ দুই হাজারের অধিক শহিদের রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত নতুন বাংলাদেশে আমাদের আস্থার প্রতীক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামণ্ডলী এবং সমন্বয়কদের আশপাশে ওই সাদপন্থিদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী মতলববাজদের কোনো ষড়যন্ত্রমূলক পরামর্শে কান দেওয়া যাবে না। কাকরাইল মসজিদ ও টঙ্গীর ইজতেমার মাঠ সব সময়ের জন্যই ওলামাবিদ্বেষী সাদপন্থিমুক্ত রাখতে হবে।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশ এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে, দেশবাসী আলোর মুখ দেখার প্রহর গুনছে। সরকার দেশবাসীকে একটি শান্তির দেশ উপহার দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাদপন্থিদের নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা সানাউল্লাহ প্রমুখ।

শফিকুল/সালমান/

 

বেসরকারি ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিল

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
বেসরকারি ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিল
ট্রেন। ফাইল ছবি

বেসরকারি অপারেটর দিয়ে পরিচালিত ২৪টি ট্রেনের লিজ বাতিল করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান ইজারা বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন ট্রেনগুলোর লিজ বাতিল হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। 

সম্প্রতি রেলপথ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ রেলওয়েকে একটি চিঠি দিয়ে এসব ট্রেনের ইজারা বাতিলের নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী।

তিনি জানান, মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেয়ে রেলের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় জোনের মহাব্যবস্থাপকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ২৪ ট্রেনের ইজারা বাতিলের পেছনে কোনো বিশেষ কারণ উল্লেখ করা হয়নি।

জনবল সংকটের কারণে বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কার্যক্রম শুরু করে। তখন থেকে ৩৭টি ট্রেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। এগুলোর মধ্যে ২৪টি ট্রেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিন রিপন এবং তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল। রিপন ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন এলআর ট্রেডিং, টিএম ট্রেডিং, এসআর ট্রেডিং এবং এনএল ট্রেডিং এসব ট্রেন পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য চুক্তি করেছিল রেলওয়ের সঙ্গে। কিন্তু মেয়াদ ফুরালেও চুক্তি নবায়ন না করে তারা ট্রেনগুলো চালাতে থাকে। 

রিপন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং বরিশাল-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। 

অভিযোগ রয়েছে, তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও রেলের অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কমিউটার ট্রেনগুলো পরিচালনা করছিলেন।

তবে বেসরকারিভাবে পরিচালিত অন্য ১৩ ট্রেনের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রী পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

এ নিয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

জয়ন্ত/সালমান/

কপ-২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
কপ-২৯ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও আরব-আমিরাতে প্রেসিডেন্টসহ ২০ জন বিশ্ব নেতা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা জলবায়ু সংকট সমাধানের উপায় এবং পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত এই জলবায়ু সম্মেলনে তারা এ বিয়য়ে আলোচনা করেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ছাড়াও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, ঘানার রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আড্ডো, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাষ্ট্রপতি ডেনিস বেচিরোভিচ সাক্ষাত করেছেন।

এছাড়া তিনি বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইদি রামা, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারির সাথেও সাইডলাইনে সাক্ষাৎ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, জলবায়ু সম্মেলনের সাইডলাইনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও আরব-আমিরাতে প্রেসিডেন্টসহ ২০ জন বিশ্ব নেতা আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ায় তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান।

অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান অধ্যাপক ইউনূসকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এবং চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

অধ্যাপক ইউনূস তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিককে মুক্তি দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা আরব-আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা জলবায়ু সম্মেলননে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বর্তমানে চার দিনের সরকারি সফরে বাকুতে অবস্থান করছেন।

সোমবার আজারবাইজানের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বাকু পৌঁছান।

তিনি কপ-২৯ সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবেন এবং সাইডলাইনে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।

গতকাল ১১ নভেম্বর সোমবার সম্মেলন শুরু হয়েছে, যা চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত।

বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট সমাধানের লক্ষ্যে এবারের সম্মেলনে প্রায় ২০০ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রিত হয়েছেন।

এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য জলবায়ু সংকটের ভুক্তভোগী দরিদ্র দেশগুলোকে আরও অর্থসহায়তা দেওয়ার পথ খুঁজে বের করা।

অমিয়/

১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ দাবিতে মানববন্ধন
১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের এত সব দিবস থাকলে, উপকূলের জন্য কেন একটি দিবস থাকবে না। যে ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের কেন স্মরণ করা হবে না, তাদের স্মরণে ও উপকূলের উন্নয়নে কেন একটি দিবস হবে না?

বক্তারা আরও বলেন, তিনটি পার্বত্য জেলা নিয়ে মন্ত্রণালয় আছে। উপকূলের ১৯ জেলা নিয়ে কেন মন্ত্রণালয় গঠন করা হবে না?

এ সময় তারা ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণা ও উপকূলবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনের শুরুতে স্বেচ্ছাসেবীরা ১৯৭০এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।

এ কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যসহ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আনুমানিক ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সাগর, নদী, খাল-বিলে ভেসে ছিল অসংখ্য লাশ। এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি গবাদি পশু। ঘরবাড়ি, স্বজন হারিয়ে পথে বসেন উপকূলের লাখ লাখ মানুষ।

২০১৮ সালের মে মাসে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ভয়াবহ প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে এই ঘূর্ণিঝড়টিকে প্রাণঘাতীতে প্রথম স্থানে রাখা হয়। 

সবুজ সংহতি-যুব সমন্বয় কমিটি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম ও বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের (বারসিক) আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, শ্যামনগর উপজেলা সবুজ সংহতির আহ্বাহক কুমুদ রঞ্জন, শ্যামনগর পৌরসভার সভাপতি গাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক তৃপ্তি বিশ্বাস, কোহিনুর ইসলাম, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রতিমা চক্রবর্তী ও বর্ষা গাইন।

সুলতান শাহাজান/সুমন/অমিয়/

বাধ্যতামূলক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা তুলে দিতে গভর্নরকে নতুন প্রস্তাব

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
বাধ্যতামূলক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা তুলে দিতে গভর্নরকে নতুন প্রস্তাব
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে বহুল আলোচিত ‘বাধ্যতামূলক ব্যাংকিং ডিপ্লোমা’ তুলে দেওয়ার নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও)।

তবে ডিপ্লোমাধারীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ৫ নম্বর যোগ করা যেতে পারে বলেও অভিমত দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এমডি ও সিইওরা এ দাবি জানান বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা শিখা।
 
মুখপাত্র আরও জানান, এ দাবির বিষয়ে প্রয়োজনে একটি কমিটি গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও এমডি ও সিইওরা উল্লেখ করেছেন। জবাবে গভর্নর তাদের তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। গভর্নর এ বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পক্ষে মত দিয়েছেন বলে মুখপাত্র জানান।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতিতে ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই নিয়ম আরোপের পর গত দুই বছরে অসংখ্য কর্মকর্তা পেশাগত জ্যেষ্ঠতা ও দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার নিরসন করতেই এমডি ও সিইওরা নতুন করে প্রস্তাবনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, ওই সভায় বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ, রিজার্ভ ও বিনিময় হার সম্পর্কিত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শীর্ষ ব্যাংকাররা এ সময় গভর্নরকে জানান, এই মুহূর্তে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই এবং আগামী জানুয়ারি নাগাদ পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।
 
মুখপাত্র জানান, যেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে আমদানি দায় পরিশোধে দেরি করার অভিযোগ রয়েছে, সেসব ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন ঋণপত্র খোলার অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করে দেন গভর্নর।

মুখপাত্র জানান, গভর্নর এমডি ও সিইওদের অনুরোধ করেন যে সচ্ছল ব্যাংকগুলো তারল্যসংকটে ভুগতে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে যেন এগিয়ে আসে। এ ব্যবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিশ্রুত গ্যারান্টি কার্যকর রাখা হয়েছে। তারল্য সহায়তা পেলে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিজেদের উন্নয়নের সুযোগ পাবে এবং ব্যাংকিং খাত নিয়ে সৃষ্ট নেতিবাচক ধারণার অবসান হবে।

সভায় সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী, ব্র্যাক, এনসিসি, এমটিবি, যমুনা ব্যাংকসহ আরও ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের এমডি ও সিইওরা যোগ দেন বলে মুখপাত্র জানিয়েছেন।