ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী-প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (৫ অক্টোবর) এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে সুন্দর স্থান দান করুন।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতি একজন বিশিষ্ট জনসেবক ও একজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদকে হারালো।

বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা চিকিৎসক ও জনসেবক হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দীর্ঘ ও বহুল সম্মানিত কর্মজীবনের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী দেশের একজন প্রখ্যাত চিকিৎসক হিসেবে কল্যাণ ও সুস্বাস্থ্যের বার্তা ছড়িয়েছেন। এক সময় বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) তার উপস্থাপনায় প্রচারিত ‘আপনার ডাক্তার’ অনুষ্ঠানটি লাখ লাখ দর্শকের প্রিয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। এ অনুষ্ঠানটি তাকে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তিনি একই স্তরের একনিষ্ঠতা নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিলেন। পাঁচ বারের সংসদ সদস্য হিসাবে তিনি ৯০-এর দশকে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সংসদে তার বক্তৃতা সব মতের রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশংসিত হয়েছিল।’
 
প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন- তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব এই ক্ষতি বহন করার শক্তি সঞ্চয় করতে পারবেন।

তিনি জনগণকে তার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং ‘জনগণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার’ আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত তিনটা ১০ মিনিটে রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

অমিয়/

ইসি গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম আহ্বান সার্চ কমিটির

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ পিএম
ইসি গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম আহ্বান সার্চ কমিটির

দেশের ১৪তম নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের কাছ থেকে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম আহ্বান করেছে এ বিষয়ে গঠিত সার্চ কমিটি। ওইদিন বিকেল ৫টার মধ্যে অনধিক ৫ জনের নাম প্রস্তাব করা যাবে। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ আগ্রহীরা প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অথবা সার্চ কমিটির ই-মেইলে পাঠাতে পারবেন। 

এ বিষয়ে রবিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব নজরুল ইসলাম সরকার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুযায়ী ৫ সদস্যের নতুন ইসি কমিশন নিয়োগের জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার লক্ষ্যে আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম আহ্বান করছে অনুসন্ধান কমিটি। এ বিষয়ে আগ্রহী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠন আগামী ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে সুপারিশ করার জন্য অনধিক ৫ জনের নাম প্রস্তাব করতে পারবে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও আগ্রহী ব্যক্তিরা তাদের নিজ নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্তসহ প্রস্তাবিত নাম সরাসরি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অথবা সার্চ কমিটি নির্ধারিত ই-মেইল ([email protected]) এর মাধ্যমে পাঠাতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হলো।

এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে করা সার্চ কমিটি প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সার্চ কমিটির আহ্বায়ক আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে এই সভায়- কমিটির সদস্য হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং পদাধিকারবলে সদস্য বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শুরুর আগে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, সৎ, নির্ভীক ও দক্ষ লোকদের নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আইনে তাই বলা হয়েছে। আমি সার্চ কমিটির মেম্বার নই। আমরা কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবো। বৈঠকে সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। অন্যান্য কাজগুলো কীভাবে হবে সেগুলো নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নেবেন তারা। 

কবে নাগাদ নির্বাচন কমিশন গঠন হবে- জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ বলেন, ‘আইন অনুযায়ী এই কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশ দেবে। এরপর রাষ্ট্রপতি কবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন, সেটা তো আমরা বলতে পারবো না’।

গত ৩১ অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের মাধ্যমে নতুন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি নামে ছয় সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে সরকার। এবারের সার্চ কমিটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আইন অনুযায়ী, এই অনুসন্ধান কমিটিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে রাষ্ট্রপতির কাছে দু'জন ব্যক্তির নাম সুপারিশ করে পাঠাতে হবে।

এলিস/এমএ/

৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে সোহেল তাজের স্মারকলিপি

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে সোহেল তাজের স্মারকলিপি
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। ছবি : খবরের কাগজ

জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। 

রবিবার (৩ নভেম্বর) মিন্টো রোডের উদ্দেশে পদযাত্রা শুরুর আগে প্রধান উপদেষ্টার এক প্রতিনিধি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এসে তার কাছ থেকে স্মারকলিপিটি নিয়ে যান। 

এর আগে শাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে সাংবাদিকদের সোহেল তাজ বলেন, ‘বাংলাদেশ সুন্দর রাষ্ট্র হলে আমার বাবা-মায়ের আত্মা শান্তি পাবে। তাদের প্রেরণা তুলে ধরতেই আজকের এই পদযাত্রা। ব্যক্তি হিসেবে আমি লজ্জিত যে, রাষ্ট্রের কাছে আমার চাইতে হচ্ছে। এই দায়িত্বটা রাষ্ট্রেরই ছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ একক নেতৃত্বে হয়নি। অনেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শেখ মুজিব জেলে থাকার পর জাতীয় চার নেতার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ।’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সোহেল তাজ বলেন, ‘সংস্কারের প্রধান অংশ অভ্যুত্থান এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ। চব্বিশের অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে এবং সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, দেখতে দেখতে জেলহত্যা দিবসের ৪৯ বছর পার হয়ে গেছে। অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর, যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি, আজ পর্যন্ত তাদের কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ 

তিন দফা দাবি 

১. ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্মলাভ করে। এই দিনটিকে তাই ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে। 

২. ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে। 

৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা এবং গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তক এবং সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। 

নভেম্বরেও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
নভেম্বরেও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
ফাইল ছবি

চলতি নভেম্বরেও ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। 

রবিবার (৩ নভেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরে দীর্ঘ মেয়াদে পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভা শেষে এসব তথ্য জানানো হয়। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. ছাদেকুল আলম।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে হতে পারে। সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দিন ও রাতের তাপমাত্র ক্রমান্বয়ে কমবে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। নভেম্বরে সারা দেশে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হালকা, মাঝারি ধরনের কুয়াশা এবং নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

‘নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিন’

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
‘নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা সহায়তা দিন’
রবি ও গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। 

রবিবার (৩ নভেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পৃথক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার একটা পরিবর্তনকালীনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা খুলে যাবে। আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে। যেহেতু আন্দোলন শুরু হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে, তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য।’ 

যুবসমাজের আগ্রহ ও প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো এবং ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশে এখন কাজ করার উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থিত, তাই দেশ ও দেশের মানুষের উপকার হয় এমন যেকোনো কাজ করতে আমরা আগ্রহী। টেলিকমিউনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আগে টেলিযোগাযোগ খাতের কোনো অফিসে গিয়ে কথা বলার মতো পরিবেশ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন কথা বলা যাচ্ছে এবং ফিডব্যাকও পাওয়া যাচ্ছে। এটা টেলিকমিউনিকেশন খাতের জন্য খুবই ইতিবাচক।’

রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠী বলেন, ‘গত ১৫ বছরে টেলিকমিউনিকেশন খাতে কমিশন বেজড বিভিন্ন লেয়ার তৈরি হয়েছে, যার ফলে মোবাইল অপারেটররা মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছেন।’

বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম, গ্রামীণফোনের নতুন চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
পরিবর্তন আনতে তরুণদের স্বপ্ন দেখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করার ও স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রবিবার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে তিনি এ আহ্বান জানান তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বিশেষ করে তরুণদের তাদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হলো পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।’

তরুণদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিজেকে প্রশ্ন করুন আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি? একবার আপনি কী করতে চান তা বুঝতে পারলে আপনি তা করতে পারবেন, কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে বলে।’

প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ছাত্র বিপ্লবের দিকে তাকান, তবে এটি প্রযুক্তির বিষয়।  তারা একে অপরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারত। তাদের কোনো কমান্ড কাঠামো ছিল না।’

ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিপ্লব সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের তরুণ যুবকরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘তরুণরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়।’

বিশ্ব শান্তির কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘বেশিরভাগ সময়, মানুষ শান্তির নামে একে অপরকে হত্যা করে।’ 

তিনি বলেন, ‘...কিন্তু আমরা প্রতিদিন, আমাদের সমস্ত উচ্চারণ ও আমাদের সমস্ত দর্শনে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করি। আমরা শান্তি চাই। দেশের ভেতরে শান্তি, সব দেশের মধ্যে শান্তি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি।’

একটি উদাহরণ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানুষ গ্রহ ধ্বংস করতে পরিবেশ ধ্বংস করছে।’ 

প্রতিদিন মানুষ গ্রহকে ধ্বংস করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি ভুল সভ্যতা তৈরি করেছি- আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা।’

প্রধান উপদেষ্টা এনডিসি ও এএফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস

সালমান/