ঢাকা ২১ কার্তিক ১৪৩১, বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মিলার
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গত কয়েক মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।’

গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র মিলার।

এ সময় ম্যাথিউ মিলার আরও বলেন, চূড়ান্তভাবে গত কয়েক মাসে যারা বাংলাদেশি জনগণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন দুর্গাপূজার সময়। নিরাপত্তা নিয়ে নানা উদ্বেগের মধ্যে দেশটির হিন্দু সম্প্রদায় তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে হিন্দু সম্প্রদায় যাতে শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে বার্তা দিয়েছে প্রতিবেশী ভারত। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন সরকার কি সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেছে? এর উত্তরে মিলার বলেন, ‘অবশ্যই, তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চান। আর এ কথা সারা বিশ্বের ক্ষেত্রেই সত্য।’

আরেক প্রশ্নে বলা হয়, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতা (মব ভায়োলেন্স) ও বিচারবহির্ভূত হত্যার (লিঞ্চিং) ঘটনা নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা জেএমবিএফের জরুরি আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবে কি? এ ছাড়া নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে করা মামলার সংখ্যা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের আলোকে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে জবাবদিহি কিভাবে নিশ্চিত করবে যুক্তরাষ্ট্র? 

মিলার বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আমি কথা বলতে পারি না। তবে আমি বলতে পারি, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন।’

কর্মী ছাঁটাই ও পাওনা পরিশোধের দাবিতে সংবাদকর্মীদের মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
কর্মী ছাঁটাই ও পাওনা পরিশোধের দাবিতে সংবাদকর্মীদের মানববন্ধন
ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিউজটাইম ডটনেটের কার্যক্রম আকস্মিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে সব কর্মীকে ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও আইনসঙ্গত পাওনা পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সংবাদকর্মীরা।  

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

কর্মসূচিতে চাকরি হারানো সংবাদকর্মীরা বলেন, রংধনু শিল্পগ্রুপের মালিকানাধীন অনলাইন সংবাদমাধ্যম নিউজটাইম ডটনেটের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে আকস্মিকভাবে জানায় মালিকপক্ষ। কোনো লিখিত নোটিশ না দিয়ে কেবল মৌখিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর কেবল সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিয়ে সব কর্মীকে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়। 

মানববন্ধনে নিউজটাইম ডটনেটের বার্তা সম্পাদক মোতাহার হোসেন বুলবুল বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে রংধনু গ্রুপের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আহমেদ অপু দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। কাওসার আহমেদ অপু নিউজটাইম ডটনেটের প্রকাশক এবং মো. রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। অথচ নিউজটাইম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর পর তারা কর্মীদের আইনসঙ্গত পাওনা পরিশোধের বিষয়ে কোনো ধরনের আলোচনায় সাড়া দেননি। 

মানবন্ধনে আরও বক্তব্য দেন নিউজটাইম ডটনেটের বার্তা প্রধান সঞ্জয় দে, সহকারী বার্তা সম্পাদক মেহরিন জাহান, নিজস্ব প্রতিবেদক মেহনাজ মুন্নি প্রমুখ।

কর্মসূচিতে আকস্মিক চাকরিচ্যুতির কারণে মানবেতর জীবনে পড়ার কথা জানান নিউজটাইম ডটনেটের সংবাদকর্মীরা। এ বিষয়ে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পাশাপাশি নিউজটাইম ডটনেটের সংবাদকর্মীদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজকে সোচ্চার ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয় মানববন্ধনে। 

প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও কর্মীদের চাকরিচ্যুতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াসহ আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দেন নিউজটাইম ডটনেটের সংবাদকর্মীরা। 

রাজু/এমএ/

পরিত্যক্ত অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিস্তল উদ্ধার

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
পরিত্যক্ত অবস্থায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিস্তল উদ্ধার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের লাইসেন্স করানো একটি পিস্তল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া পিস্তল ছাড়াও ২টি ম্যাগাজিন ও ২৫ রাউন্ড গুলি রয়েছে। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর মণিপুরি এলাকা থেকে ওই পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেজগাঁও থানাধীন মণিপুরিপাড়ার ১৩২ ও ১৩৯ নম্বর বাড়ির মধ্যবর্তী রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি শপিং ব্যাগ পাওয়া যায়। শপিং ব্যাগ তল্লাশি করে পুলিশ একটি প্লাস্টিকের অস্ত্রের বাক্স থেকে ১টি ৩২ বোর ৭.৬২ মিমি পিস্তল, ২টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও আরও একটি পিস্তলের লাইসেন্স জব্দ করা হয়। 

পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধান ও প্রাপ্ত লাইসেন্স পর্যালোচনায় জানতে পারে, ওই অস্ত্রের মালিক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিধিমোতাবেক উদ্ধারকৃত অস্ত্র-গুলি তেজগাঁও থানা হেফাজতে রয়েছে। 

বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। 

৫ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পর সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মগোপনে চলে যান। তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কয়েক দিন আগে একটি স্যাটেলাইট টিভিতে তাকে কলকাতার একটি পার্কে দেখা গেছে। তবে তিনি কিভাবে দেশত্যাগ করেছেন তা জানে না আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।

ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ড. মুহাম্মদ ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ট্রাম্পকে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় আপনাকে আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’ ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আপনাকে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করায় এটাই প্রতিফলিত হয় যে, আপনার নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে অনুরণিত হয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অসংখ্য ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অংশীদারত্ব আরও জোরদার করতে এবং নিরন্তর উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি আমি। দৃঢ়ভাবে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ অংশীদারত্বের নতুন নতুন পথ অন্বেষণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের অঙ্গীকারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে সবার জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার প্রচেষ্টায় অংশীদার হতে ও সহযোগিতা করতে আগ্রহী বাংলাদেশের সরকার ও শান্তিকামী মানুষ।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত ছিল।’

তরুণদের দলকানা না হওয়ার আহ্বান সারজিসের

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
তরুণদের দলকানা না হওয়ার আহ্বান সারজিসের
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ

তরুণদের দলকানা না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এ সময় আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘আমাদের পূর্ব প্রজন্ম ব্যর্থ, এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কাঁধ শক্ত করতে হবে।’ 

বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তারা। 

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের দলকানা হওয়া যাবে না। সেটা যে দলই হোক। কেউ যদি আপনার কথা শোনে, আপনার কথা বলে, আপনার জন্য কাজ করে এবং আপনার কাছে জবাবদিহি করার জন্য প্রস্তুত থাকে- সে যেই হোক না কেন প্রতিনিধি হিসেবে তাকেই বেছে নেবেন। আমাদের তরুণদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। দেশে এত বড় একটা গণহত্যা চালানো হয়েছে, সেটা কী কারণে হয়েছে তা মনে রাখতে হবে। যারা ক্ষমতাপিপাসু, যাদের কাছে জীবনের চেয়ে ক্ষমতার মূল্য বেশি তাদেরকে এখন থেকে পরিত্যাগ করতে হবে।’ 

সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করতে চাই, যত প্রত্যন্ত এলাকা হোক না কেন, সরকারের যতগুলো পদ আছে, আমরা কোনো পদকে আনটাচেবল মনে করতে চাই না। আমাদের মানুষিকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের নেতৃত্বের জায়গায় যেতে হবে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশের যে নেতৃত্ব, এই নেতৃত্ব তরুণ প্রজন্মকে নিতে হবে। তরুণ প্রজন্ম হিসেবে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে। বৃদ্ধ বাবা-মা যারা আছেন, তারা অসামর্থ্যের পরিচয় দিয়েছেন। সুতরাং তাদেরকে আমাদের কাঁধে ভর দিয়ে চলতে হবে। এ কারণে আমাদের কাঁধটাকে শক্ত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং আমরা যেন তাদের দায়িত্ব নিতে পারি। একই সঙ্গে আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’ 

এর আগে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়সহ ফটো সেশন করেন তারা। এতে স্থানীয় সমন্বয়কসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ড. ইউনূসের সঙ্গে শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৪ পিএম
ড. ইউনূসের সঙ্গে শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আবু সাঈদের দুই ভাই

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের দুই ভাই সাক্ষাৎ করেছেন। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড স্যালুট দেন। এ সময় দুই ভাই অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন।

দুই ভাই জানান, গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে অধ্যাপক ইউনূস যখন তার ঐতিহাসিক ভাষণে আবু সাঈদ ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের অন্য শহিদদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করেন তখন বাবা-মাসহ তারা সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বড় ভাই রমজান আলী ড. ইউনূসকে বলেন, ‘আপনি প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার এক দিন পর রংপুরে আমাদের গ্রামে গিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং আপনি জাতিসংঘে আবু সাঈদসহ বিপ্লবে শহিদদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন। এ জন্য আমরা অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করেছি।’

অপর ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যখন আমরা মঞ্চে দাঁড়িয়েছিলাম এবং সৈন্যরা আমাদের স্যালুট দিয়ে সম্মান জানায়, তখন আমাদের কেমন লেগেছিল তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করতে চাই। এ ফাউন্ডেশন দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কাজ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শহিদ ভাইয়ের স্মরণে গ্রামে একটি মডেল মসজিদ ও একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং এ বিষয়ে সহায়তার জন্য দুটি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছি।’

এ সময় ড. ইউনূস আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি। আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছে তা বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।’ 

প্রধান উপদেষ্টা জানান, সাঈদের পরিবারের জন্য তার দরজা সব সময় খোলা থাকবে। দুই ভাইকে তাদের বাবা-মাকে তার সালাম পৌঁছে দিতে বলেন এবং সব সময় তাদের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।