রাজধানীতে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে ডিমসহ শাকসবজি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পেঁপে, লাউ, কাঁচা মরিচ কিনে আজ মঙ্গলবার থেকে ২০টি এলাকায় খোলা বাজারে বিক্রি (ওএমএস) করা হবে। প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, ডিমের ডজন ১৩০ টাকা, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং শাকসবজি বিদ্যমান বাজারদরের চেয়ে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ কম দামে বিক্রি করা হবে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) কৃষিসচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান খবরের কাগজকে এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত রবিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। নিত্যপণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। গত ৯ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে। অপরিশোধিত চিনির আমদানি খরচ প্রতি কেজিতে ১১ টাকা ১৮ পয়সা এবং পরিশোধিত চিনির খরচ ১৪ টাকা ২৬ পয়সা কমানো হয়েছে। সরকার অন্যান্য পণ্যের ওপরও শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ করা হয়নি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সকে কৃত্রিমভাবে মূল্যবৃদ্ধির জন্য সিন্ডিকেটগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেন। এ ছাড়া তিনি নিত্যপণ্য আমদানিকারকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার জন্য বাণিজ্য উপদেষ্টাকে নির্দেশ দেন।
কৃষিসচিব বলেন, সারা দেশে বন্যা ও অধিক বৃষ্টিতে সবজিসহ কিছু জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে হিমশিম খাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার তাদের কথা ভেবে ভর্তুকি মূল্যে কিছু পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, পচনশীল নয় এমন সবজি যেমন লাউ, পেঁপে বিক্রি করা হবে। প্রথমে ২০টি এলাকায় এটা সরবরাহ করা হবে। পরে সংখ্যা বাড়ানো হবে।