ঢাকা ২৫ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৮৬

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ এএম
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৮৬
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

গেল এক দিনে দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেড়েছে শনাক্ত রোগী। মারা যাওয়া ব্যক্তি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক দিনের ব্যবধানে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে ১ হাজার ১৮৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অথচ আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি নতুন রোগী ছিল ৬৬০ জন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

নিয়ে চলতি মাসের ১৪ দিনে ডেঙ্গুতে ৫২ জনের মৃত্যু হলো। আর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২৮৮ রোগী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ২০৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৯, খুলনা বিভাগে ১৫২, ঢাকা বিভাগে ১৩৩, বরিশাল বিভাগে ৯৬, রাজশাহী বিভাগে ৪১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩২, রংপুর বিভাগে ২১ ও সিলেট বিভাগে ডেঙ্গু নিয়ে ৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। আর হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছেন ৪৩ হাজার ৬৫৬ জন। এর মধ্যে ১১৪ ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। আর ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন হাসপাতালে। ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ও ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ। আর বয়সের বিশ্লেষণে এ বছর মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মশাবাহিত এই প্রাণঘাতী রোগে সবচেয়ে বেশি ছিলেন ২৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা। এ বয়সী আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৫। তবে আক্রান্ত বেশি হচ্ছেন ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা। চলতি বছর এ বয়সীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৯৩।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু হয় গতবছর। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। আর ডেঙ্গু শনাক্তের পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী।

সেমিনারে নৌপরিবহন উপদেষ্টা স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩০ এএম
স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য
ছবি: সংগৃহিত

পুলিশকে মানবিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 


গতকাল শনিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) উদ্যোগে আয়োজিত ‘জনমুখী পুলিশ সেবা নিশ্চিতকল্পে পুলিশ কমিশন গঠন ও অন্যান্য সংস্কারের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত রাষ্ট্রব্যবস্থার চলমান সংস্কার কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ এখন আর রাজনীতিকরণের অংশ হতে চায় না। দানবিক পুলিশ থেকে মানবিক পুলিশ গঠন করতে হলে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন অপরিহার্য। 


কমিশনের সদস্যসংখ্যা পাঁচের বেশি না হওয়ার বিষয়ে মতামত তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কমিশনের প্রধান হিসেবে একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। পুলিশকে জনমুখী করার লক্ষ্যে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এই উপদেষ্টা।


এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের পরে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠন এখন সময়ের দাবি। পুলিশের অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করতে পুলিশে বিদ্যমান তিন ধাপের নিয়োগ কমিয়ে দুই ধাপের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের নিচের দিকের সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা অত্যন্ত কম। তাদের পদোন্নতির সুযোগ নেই। তারা যে পদে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন সেই পদ থেকেই অবসরে যান। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট যখন পদোন্নতির কোনো আশা দেখেন না, তখন তিনি হতাশ হন। নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। নিচের দিকের পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের দুর্নীতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। 


সেমিনারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রিজওয়ানুল ইসলাম, পলিটিক্যাল সায়েন্স এবং সমাজবিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইশরাত জাকিয়া সুলতানা পুলিশ সংস্কারের সম্ভাব্য রোডম্যাপ এবং একটি সম্ভাব্য পুলিশ কমিশন গঠনের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম জহিরুল ইসলাম, ডিআইজি ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মাহবুবুল করিম। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী।

সমাবেশে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি নাট্যকর্মীদের

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২২ এএম
সমাবেশে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি নাট্যকর্মীদের
ছবি: সংগৃহিত

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক মঞ্চায়নের ইস্যুতে যে অস্থিরতা চলছে, তা দ্রুত নিরসন করে নাট্যচর্চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন নাট্যকর্মীরা। নাট্যচর্চায় বাধা দেওয়া দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।


গতকাল শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ। এ সময় অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকারসহ মঞ্চশিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝুনা চৌধুরী, মাসুম রেজা, আকতারুজ্জামান, তপন হাফিজ, ফেডারেশনের অনুষ্ঠান সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম।


কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নাট্যচর্চা চালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু বিক্ষোভের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চাইছে। তাই নাট্য প্রদর্শনী চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাই।’ 


তিনি বলেন, নাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় ও কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুনির্দিষ্ট পরিচয় নেই এমন কয়েকজন ব্যক্তি গত ২ নভেম্বর হুমকি দিয়ে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করেছে। এদের ‘দুষ্কৃতকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে কামাল বায়েজিদ বলেন, তারা শুক্রবার বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা করেছে। বিক্ষোভকারী নামধারীর এসব উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে নাট্যচর্চায় সংকট নেমে এসেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের শাস্তির আওতায় এনে শিল্প-সংস্কৃতিচর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান কামাল। তবে সেই পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আগামী ১৫ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বলে জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে নাট্যকর্মীরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় কিছু দুষ্কৃতকারী দুদকের গেটের দিক থেকে সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট ও ডিম ছুড়ে মারে। এতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি’। এতে নাটক দেখতে আসা অনেক দর্শক শিল্পকলা একাডেমি ছেড়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনের বাইরে বিক্ষোভ, ৪ জন থানায়


এদিকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন চলাকালে শিল্পকলা একাডেমির মেইন গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ১০ থেকে ১৫ জন বিক্ষোভকারী। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ/শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘তুমি কে আমি কে বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তারা ‘সাধারণ জনতা’ বলে নিজেদের পরিচয় দেন। তবে তারা নিজেদের নাম বলতে রাজি হননি। তাদের একজন এ সময় বলেন, ‘আমি সংস্কৃতি অঙ্গনের কেউ না। তবে দেশ নাটকের এহসান বাবু আওয়ামী লীগের দালাল। আমাদের উপদেষ্টাদের নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। আমরা তার নাটক এখানে করতে দেব না।’


এহসান বাবুর কোনো নাটক তিনি দেখেছেন কি না বা কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না প্রশ্নে তিনি  বলেন, ‘আমি মালিবাগে থাকি, সংস্কৃতি অঙ্গনের কেউ না।’ পরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানোদের মধ্য থেকে চারজনকে রমনা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 
নাট্যকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আরণ্যক নাট্যদল ‘কম্পানি’ নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করেছে।

গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের ২৪ ঘন্টা, অচল মহাসড়ক

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ এএম
গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভের ২৪ ঘন্টা, অচল মহাসড়ক
গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে পোশাকশ্রমিকরা। ফলে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ইব্রাহিম খান।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া শ্রমিক আন্দোলন ২৪ ঘণ্টার বেশি অতিবাহিত হয়ে গেছে। মহাসড়কে শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছে। এ কারণে মহাসড়কের উভয় পাশে টঙ্গী থেকে রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, অবরোধের ফলে এই মহাসড়কে চলাচলকারীরা বিকল্প পথে চলাচল করছে।

এ ছাড়াও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিকল্প সড়ক ব্যবহারে অনুরোধে করে ট্রাফিক আপডেট দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে লাঠিসোটা হাতে কিছু বহিরাগত যোগ দিয়েছে। অবরোধের জায়গার উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে বিভিন্ন যানবাহন। এর মধ্যে ট্রাকগুলোতে পচনশীল পণ্যও রয়েছে। যাত্রীবাহী বাসগুলো থেকে যাত্রীরা নেমে বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করেছে। ফলে অনেক যানবাহন যাত্রীশূন্য অবস্থায় আটকে রয়েছে।

এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন কম চলাচল করছে। স্বল্প দূরত্বের লোকাল পরিবহন চলাচল করলেও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন যাত্রীরা।

সকালে রাজধানীর উদ্দেশে যেতে মাওনা চৌরাস্তায় দূরপাল্লার বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন ষাটোর্ধ্ব আব্দুল কাদির। তিনি জানান, সকাল থেকে ঢাকায় যেতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৫০ টাকা ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্য বাসগুলো জানাচ্ছে, রাজেন্দ্রপুর পর্যন্ত যাওয়া যাবে। বাকি রাস্তায় যানজট। এখন বেশ চিন্তায় আছি। 

পলাশ প্রধান/অমিয়/

কালিয়াকৈরে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ এএম
কালিয়াকৈরে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নিহত ৩
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। 

গতকাল শনিবার রাত ২টা ৪০মিনিটে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শিলাবৃষ্টি ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) সকালে নাওজোড় হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহতরা হলেন, মোসলেম উদ্দিন (৩০), নাসির (২৩) ও জুয়েল (৩২)। তাদের সবার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থানার আনজি গ্রামে। তারা টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে এক বন্ধুকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্ধুকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন তারা। পথে তাদের প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন করে শিলাবৃষ্টি পাম্পে প্রবেশের সময় ঢাকাগামী আল বারাকা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নাসির ঘটনাস্থলেই, মোসলেম উদ্দিন কালিয়াকৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ও জুয়েল কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় অপর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। 

দুর্ঘটনার শিকার প্রাইভেটকার ও বাসটি আটক করা হয়েছে। বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পলাশ প্রধান/অমিয়/

আইসিএসসির সদস্য নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩২ এএম
আইসিএসসির সদস্য নির্বাচিত রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস কমিশনের (আইসিএসসি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি ২০২৫ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত আইসিএসসির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

শুক্রবার(৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বাংলাদেশ, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ও চীন বিজয়ী হয়। 

রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, বাংলাদেশের এই জয় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর আস্থা ও বিশ্বাস এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও অবদানেরই স্বীকৃতি। আইসিএসসি হলো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ সংস্থা। এ কমিশন জাতিসংঘের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ক্ষতিপূরণ প্রদান, কর্মীদের প্রাপ্যতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সুপারিশ করার কাজ সম্পাদন করে থাকে।

রাষ্ট্রদূত মুহিত ২০২২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন এবং বর্তমানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের দ্বিতীয় কমিটির (ইকোনমিক ও ফিন্যান্সিয়াল কমিটি) চেয়ার এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি), ইউনাইটেড নেশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) এবং ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেসের (ইউএনওপিএস) এক্সিকিউটিভ বোর্ডের ২০২৪ সালের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘ পিস বিল্ডিং কমিশনের চেয়ার, ইউএন উইমেনের এক্সিকিউটিভ বোর্ডের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন।