ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান: অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান: অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্কের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা সফররত অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি এবং তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। 

তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করা না গেলে এটি বৃহত্তর অঞ্চল প্রসারিত হয়ে বিশ্বের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’ 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্র, শিল্প, সাইবার নিরাপত্তা, অভিবাসন ও বহুসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য ও হাউস অব অস্ট্রেলিয়ার এই নেতা। 

এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরে দুদেশের মধ্যে কোস্টগার্ড ও সংস্কৃতি বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সংস্কৃতি উপদেষ্টার সঙ্গে সচিবালয়ে আলাদা বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা শেষে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়। বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত নৈতিক সহায়তার প্রশংসা করে এই সংকটের একটি টেকসই সমাধানের জন্য মায়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। 

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন উৎসাহিত করার পাশাপাশি অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও অভিবাসন বিষয়ে তার অবস্থানের সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং নিয়মিত অভিবাসন সহজতর করার জন্য উভয় পক্ষের কার্যকর পদক্ষেপের ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৯০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশির সমর্থন ও সহযোগিতা করার জন্য টনি বার্ককে ধন্যবাদ জানান। 

টনি বার্ক বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি সম্প্রদায় এবং বিশেষ করে তার নির্বাচনি এলাকায় বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন রয়েছে।’ তিনি কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশের অতীতের ভুল সংশোধন এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার প্রচেষ্টায় সরকারের প্রতি তার আস্থা প্রকাশ করেন। 

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার ব্যাপারে কথা বলেছি। তারা আগেও দুই হাজার রোহিঙ্গা নিয়েছে, আরও নেবে। বাংলাদেশ নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবৈধভাবে যে ৯৭ জন বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়াতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে ও যাদের বৈধ ভিসা ছিল না, তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফেরত নিয়ে আসব। তারা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারেনি। পাশের একটা দ্বীপে তাদের রাখা হয়েছে। তবে তাদের খাওয়া-দাওয়ার কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’ 

সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় এক ইঞ্চিও আটকাবে না সরকার: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় এক ইঞ্চিও আটকাবে না সরকার: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম

সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় অন্তর্বর্তী সরকার এক ইঞ্চিও আটকাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে ফ্রিডম অব প্রেস, স্পিচ, অ্যাসোসিয়েশন যেন নিশ্চিত করা হয়। কারো স্বাধীনতায় আমরা এক ইঞ্চি আটকাবো না। এরকম স্বাধীনতা বাংলাদেশের ইতিহাসে হয়নি। কেউ বলতে পারবে না কাউকে আমরা একটা নিউজের ক্ষেত্রে মাথা ঘামিয়েছি। অনেকে বলছেন, আমাদের সময়ে মামলা হচ্ছে, কিন্তু গিয়ে দেখেন আমরা কেউ এর মধ্যে আছে কি না।’

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের ১৪ তারিখ থেকে আগস্টের ৫ তারিখ পর্যন্ত একটা ভয়াবহ সময় পার করেছি। আমরা ট্রমার মধ্যে ছিলাম। মুখটাকে বন্ধ করতে যা ইচ্ছে তাই করেছে। অনেকে তাদের দালাল হিসেবে কাজ করেছে। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে দালালি করেছেন। অনেক সাংবাদিক কিন্তু স্বৈরাচারের সঙ্গে তেলযুদ্ধে পারেননি। কম তেল হলেই আউট। ১৫টি বছর আমরা এভাবে কাটিয়েছি।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘এমন বাংলাদেশ চাই যেখানে কোনো গণমাধ্যমকর্মী আহত হবেন না। যারা সংবাদপত্র চালান তাদের একটা বড় দায় রয়েছে। মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের সেফটি ইকুইপমেন্ট পর্যাপ্তভাবে দেন না। কোনো প্রতিবেদককে যেন সেফটি গিয়ার বাদে সংবাদ কভার করতে না হয়। বাংলাদেশের সবাই যেন প্রত্যেকটা ঘটনা রিস্ক ফ্রি ওয়েতে কভার করেন।’

পপি/

শহিদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: চসিক মেয়র

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
শহিদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান: চসিক মেয়র
ছবি: খবরের কাগজ

শহিদ বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাদের স্মৃতিকে তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মেয়র এ কথা বলেন।

এ সময় চসিক মেয়র বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা হচ্ছেন সেই মানুষরা; যারা শিক্ষায়, চিকিৎসায়, প্রকৌশলে, কৃষিতে, রাজনীতিতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে একটি জাতির উন্নয়ন সাধন করেন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তানদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দেশের বুদ্ধিজীবীরাও ছিলেন, যারা দেশের মেরুদণ্ড। আমরা আজকের দিনে তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

তিনি বলেন, ‘তাদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে এবং শহিদদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে অবশ্যই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা তাদের নাম ও ইতিহাস সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে যতদিন থাকব, ততদিন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের চেষ্টা করব এবং তাদের মর্যাদাকে যথাযথভাবে ফিরিয়ে দিতে সচেষ্ট থাকব। কীভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও ভালোভাবে তুলে ধরা যায় তা জানতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরামর্শ গ্রহণ করব।’

পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের এবং শহিদদের ইতিহাস ও অবদানের উপর ফলক তৈরি করা হবে বলেও জানান মেয়র। 

মেয়র আরও বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, কীভাবে শহিদ বুদ্ধিজীবীরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের একটি বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের উচিত তাদের আত্মত্যাগকে চিরকাল স্মরণ রাখা এবং তাদের দেখানো পথে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা মনে করি, দেশের এই ক্রান্তিকালে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে একটি মেধাবী, দুর্নীতিমুক্ত এবং সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, কারণ ঐক্য ছাড়া এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।’

এ সময় মেয়র শাহাদাতের সঙ্গে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. তৌহিদুল ইসলাম। 

আরও উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী, করপোরেশনের বিভাগীয় ও বিভিন্ন শাখার প্রধানসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে স্বার্থের ভিত্তিতে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে স্বার্থের ভিত্তিতে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দু’দেশের স্বার্থের ভিত্তিতে হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ভারতকে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আমরা ভালো সম্পর্ক চাই তবে সেটা দুপক্ষেরই সমান স্বার্থের ভিত্তিতে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) নরসিংদীর বেলাব উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান সরকার সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কিছু সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আমরা সরে যাব, তারা দেশ চালাবেন। তবে সবারই দায়িত্ব নিতে হবে পুনরায় যেন ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তায় নেমে আসতে না হয়, ছেলে-মেয়েদের প্রাণ যেন আর না ঝরে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মো. জাহিদ হোসেন, এমআরডিআইয়ের উপদেষ্টা মো. সাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক এয়ার কমোডোর মো. খালিদ হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহসান হাবীব বিপ্লব, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট অলিউর রহমান কাওসার প্রমুখ।

অমিয়/পপি/

আবহাওয়ার পূর্বাভাস: তাপমাত্রা আরও কমবে

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: তাপমাত্রা আরও কমবে
ছবি : খবরের কাগজ

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়।

পূর্বাভাসে বলা হয়, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পঞ্চগড়, রাজশাহী, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন।

সুমন/পপি/অমিয়/

বেড়েছে বৈষম্য, বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতার: সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
বেড়েছে বৈষম্য, বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতার: সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা
শনিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনাসভায় মতামত দেন সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার বক্তারা। ছবি:খবরের কাগজ

স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও ক্ষমতায় থাকা কোনো রাজনৈতিক দলই দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যবিলোপ নিশ্চিত করতে পারেনি বলে অভিমত প্রকাশ করেছে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মতামত দেন শিক্ষক ও অধিকারকর্মীরা।

তারা বলেন, ‘বাস্তবে সামাজিক বৈষম্য যেমন বেড়েছে তেমনি বিস্তার ঘটেছে সাম্প্রদায়িকতার।’

অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চার যুগ্ম সমন্বয়ক মনীন্দ্র কুমার নাথ।

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশের নানা এলাকায় ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ২০১০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ২০ আগস্টের পরেও এ ধরণের সহিংসতা বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে হলেও আজও তা অব্যাহত আছে। দুঃখজনকভাবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং কিছু রাজনৈতিক দল এ ঘটনাগুলোকে রাজনৈতিক সহিংসতার প্রলেপ লাগিয়ে পাশ কাটিয়ে যেতে চাইছে। নিপীড়নের ঘটনাকে লঘু করে দেখা বা যথারীতি অতীতের ন্যায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে যাওয়া প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।’

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংস ঘটনাগুলোর প্রতিবাদ করতে গেলে কোনো কোনো পক্ষ নানা ধরনের ট্যাগ লাগিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে বেড়াচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মনীন্দ্র নাথ।

সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও শ্রীপুণ্ডরীক ধামর অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলার প্রসঙ্গও আসে লিখিত বক্তব্যে।

মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে সংবিধান স্বীকৃত আইনের আশ্রয়লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তার মৌলিক মানবাধিকারকে অস্বীকার করা হচ্ছে না? চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা কতটুকু যৌক্তিক সে ব্যাপারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের নানা এলাকায় সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন বাস্তবতায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার রক্ষিত হচ্ছে কিনা তা বিরাট প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে।’

হাইকোর্টে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর প্রশ্নে রুলের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিদ্যমান সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়া যে প্রসঙ্গ তুলেছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় মনীন্দ্র নাথ বলেন, ‘সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিতে বলা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে অসামঞ্জ্যপূর্ণ নয় কি?’

অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কমিশনগুলোতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চা।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে এ আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, হাফিজুর রহমান কার্জন, জোবায়দা নাসরীন; জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকার সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রালের পাল পুরোহিত অ্যালবার্ট ডি রোজারিও পাল পুরোহিত, কারিতাস ডেভেলপমেন্টের পরিচালক থিও থিল নকরেকসহ আরও অনেকে।

জয়ন্ত সাহা/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });