ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা পরিকল্পনার বাইরে’

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা পরিকল্পনার বাইরে’
বিআইপির সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির সেমিনার কনফারেন্স হলে এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা এখনো স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রয়েছে বলে জানা গেছে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপির) এক গবেষণায়।
 
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপির সেমিনার কনফারেন্স হলে ‘সমগ্র দেশের পরিকল্পনা করি, বৈষম্যহীন সুষম বাংলাদেশ গড়ি’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইপির সহসভাপতি পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন।
 
বিআইপির সুবর্ণজয়ন্তী এবং বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস-২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় সেমিনারটির আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক গোলাম রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, থাইল্যান্ডের অ্যাশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইমিরেটাস অধ্যাপক এ টি এম নুরুল আমিন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইপির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। 

সেমিনারে সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের ৮৫ ভাগ এলাকা এখনো স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকা দুর্যোগপূর্ণ। এই বিশাল এলাকা এখনো পরিকল্পনার বাইরে থাকার মূল কারণ হল, আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর দুর্বলতা। শহর ও গ্রামীণ পরিকল্পনার মধ্যেও বিস্তর ব্যবধান রয়ে গেছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পল্লী উন্নয়ন পরিকল্পনায় দেখা যায়, ২০ বছর আগে অ্যাজেন্ডা নেওয়া হয়, এরপর ওই এলাকাটি যখন পুরান ঢাকার মতো হয়ে যায় তখন তারা এলাকাটিকে পৌরসভা বানাতে চান। স্থানিক পরিকল্পনায় রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রশাসনের পরিকল্পনার ঘাটতি রয়েছে। এটি বড় চ্যালেঞ্জ।’

রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ডিটেইল অ্যারিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) নিয়ে রাজউক এখন অনেক চাপে আছে। বিগত দিনে ড্যাপে বিশেষ কিছু ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা এসে বলেছেন, সংশোধিত ড্যাপ প্ল্যান বাদ দেন, ২০০৮ সালের আগে ফিরে যান। এ ছাড়া ড্যাপ অ্যারিয়াতে যাদের জমি পড়েছে, তারা এখন জমি ছাড়তে নারাজ।’ 

উচ্চ আদালতের নির্দেশে রাজধানীর পূর্বাচলে আবাসন অবকাঠামোর অনেক কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে আইনি দিকটি সমাধান হলে পূর্বাচলের পাশাপাশি উত্তরা, ঝিলমিলে রাজউকের প্রকল্প এলাকায় ৫০ লাখ নাগরিককে আবাসন সুবিধা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
 
ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ড্যাপ বাস্তবায়নের পথে নগরীর চারটি নদী পাড়ের এলাকায় বিশেষ গুরুত্ব দেবে রাজউক। নদী পাড়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করে নগরের মধ্যভাগে জনঘনত্ব কমিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে ড্যাপের খসড়ায়।’ 

রাজউক চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে নগরীর জলাভূমি সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়ে করে বলেন, ‘জলাভূমি দখল করে কেউ পার পাবেন না।’ 

তুরাগের ওপাড়ে যারা বালু তুলে জলাভূমি ভরাট করছে তাদের হুশিয়ার করে তিনি বলেন, ‘বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে রাজউক সেই বালু তুলে বিক্রি করে দেবে।’

জয়ন্ত/পপি/

নির্বাচিত সরকার ভালোভাবে দেশ চালাবে, বিশ্বাস ৭৯% মানুষের

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পিএম
নির্বাচিত সরকার ভালোভাবে দেশ চালাবে, বিশ্বাস ৭৯% মানুষের
পিআইবিতে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ: মানুষ কী ভাবছেন’ শীর্ষক সভা। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে বলে মনে করেন দেশের ৭৯ শতাংশ মানুষ। আর রাজনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে অভিমত ৫৬ শতাংশ মানুষের।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিআইবিতে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ: মানুষ কী ভাবছেন’ শীর্ষক সভায় উপস্থাপিত জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানানো হয়। জরিপটি পরিচালনা করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। ‘পালস সার্ভে দ্বিতীয় ধাপ: অক্টোবর ২০২৪’ শীর্ষক এই জরিপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নানা বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪ হাজার ১৫৮ জনের মতামত নেওয়া হয়।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ৫৬ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন দেশ রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। ৩৪ শতাংশ মনে করে ভুল পথে যাচ্ছে। অপরদিকে ৫২ শতাংশ মনে করে অর্থনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে নেই। ৪৩ শতাংশের মত সঠিক পথে রয়েছে। এই বিষয়ে গত আগস্ট মাসে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল সে তুলনায় হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। এ ছাড়া ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন সহনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ৩১ শতাংশ মনে করে হ্রাস পেয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করেন এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর হওয়া উচিত। ৪৬ শতাংশের অভিমত এক বছর। আর তিন বছর থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন ২৪ শতাংশ মানুষ, যা আগস্ট মাসে ছিল ৩৮ শতাংশ। ৪৬ শতাংশ মনে করে সরকার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ৫৬ শতাংশ মনে করে সরকার দৃঢ়ভাবে দেশ চালাচ্ছে। তবে ৩৯ শতাংশ ভিন্নমত পোষণ করে। ৭৯ শতাংশ মানুষ অভিমত দেন যে, নির্বাচিত একটি রাজনৈতিক সরকার অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে দেশ ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে। ১৫ শতাংশ এই মতের বিপক্ষে অবস্থান নেন।

অপরদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ১৬ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১১ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে এবং ৯ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ৩৮ শতাংশ মানুষ এখনো ভোট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। আর ৪০ শতাংশ মানুষ শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল গঠন করলে তাদের ভোট দেবেন বলে মত দিয়েছেন।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত সময়কালে একাধিক জটিল সমস্যার সমাধান করা অত্যন্ত কঠিন বটে। তবে আমরা সবাই মিলে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায়, যাতে তারা বুঝতে পারে সরকার কীভাবে এবং কী কী কাজ করে দেশের উন্নতি করবে।

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, অভ্যুত্থানের পর জনগণের উচ্ছ্বাস তাদের প্রত্যাশাকেও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার কারণে জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। জনমনে এত প্রত্যাশা জন্মানোর পেছনে সরকারের বার্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং এই বার্তা পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) পরিচালক ড. আহমেদ আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘মজলুম যেন আবার জালিম না হয়ে ওঠে’, ফেসবুকে হাসনাত

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
‘মজলুম যেন আবার জালিম না হয়ে ওঠে’, ফেসবুকে হাসনাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ

‘মজলুম যেন আবার জালিম না হয়ে ওঠে’- এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

তবে হাসনাত আবদুল্লাহ তার মন্তব্যের মাধ্যমে কার দিকে ইঙ্গিত করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তার এমন মন্তব্যের পর থেকে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে, কাকে ইঙ্গিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক এমন মন্তব্য করলেন। পোস্ট দেওয়ার পর থেকে মন্তব্যের ঘরে একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন। 

ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৫ প্রাণ, হাসপাতালে ৩৪৪

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
ডেঙ্গু কেড়ে নিল আরও ৫ প্রাণ, হাসপাতালে ৩৪৪

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৫৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (১১ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৯৭ হাজার ৯৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম বিভাগের হাসপাতালে ১ জন, ঢাকা উত্তর সিটির হাসপাতালে ১ এবং দক্ষিণ সিটির হাসপাতালে ২ এবং রংপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। এ নিয়ে চলতি মাসের এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা উত্তরে ৬৯ জন, ঢাকা দক্ষিণে ৭০, ঢাকা বিভাগে ৪৪, বরিশাল বিভাগে ৪১, চট্টগ্রামে ৫১, খুলনায় ৪১, ময়মনসিংহে ৭, রাজশাহীতে ১৯, রংপুরে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬ হাজার ৪৭৮ জন।  

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪১৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ৯৫ হাজার ৫৬৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে ১৪ জন মারা যান। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মারা যান ৩ জন। মার্চে ভর্তি হন ৩১১ জন, মারা যান ৫ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন, মারা যান ২ জন। মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন, মারা যান ১২ জন। জুনে ভর্তি হন ৭৯৮ জন, মারা যান ৮ জন। জুলাইয়ে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন, মারা যান ১২ জন। আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় ওই মাসে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন, মারা যান ২৭ জন। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন, মারা যান ৮০ জন। অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন, মারা যান ১৩৪ জন। নভেম্বরে ভর্তি হন ২৯ হাজার ৬৫২ জন, মারা যান এই বছরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ, ১৭৩ জন।

বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১০ পিএম
বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৮৫তম বাফা কোর্সের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। ছবি: আইএসপিআর

যশোরে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিমান বাহিনীর ৮৫তম বাফা কোর্স, ডিরেক্ট এন্ট্রি-২০২৪ বি এবং এসপিএসএসসি-২০২৪ বি কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষ্যে এ রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়।

আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছে, যশোরে অবস্থিত বিমান বাহিনী একাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। তিনি গ্র্যাজুয়েটিং অফিসারদের মাঝে পদক এবং ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন। অফিসার ক্যাডেট জান্নাতুল ফেরদৌস মোহনা ৮৫তম বাফা কোর্সের প্রশিক্ষণে সার্বিক কৃতিত্বের জন্য ‘সোর্ড অব অনার’, অফিসার ক্যাডেট মো. রহমত উল্লাহ শিশির উড্ডয়ন প্রশিক্ষণে সেরা কৃতিত্বের জন্য ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’ এবং অফিসার ক্যাডেট মো. ফাহিম মোর্শেদ রাতুল জেনারেল সার্ভিস প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের জন্য ‘কমান্ড্যান্টস্ ট্রফি’ লাভ করেন। এছাড়াও ৮৫তম বাফা কোর্স (গ্রাউন্ড ব্রাঞ্চ) এ সেরা কৃতিত্বের জন্য অফিসার ক্যাডেট মো. ফাহিম মোর্শেদ রাতুল ‘বিমান বাহিনী প্রধানের ট্রফি’ লাভ করেন। এই শীতকালীন সেমিস্টারে বীর উত্তম বদরুল আলম স্কোয়াড্রন চ্যাম্পিয়ন বিবেচিত হয়ে একাডেমি পতাকা লাভ করেন।  

অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। বাহিনীতে সংযোজিত হচ্ছে নতুন নতুন সব সর্বাধুনিক বিমান, র‌্যাডার, সিমুলেটর এবং সরঞ্জামাদি। এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তিরক্ষাসহ দেশের অভ্যন্তরে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দূর্যোগ মোকাবেলা এবং অন্যান্য দেশে মানবিক সাহায্য পাঠানো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে। 

এ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ১২ জন মহিলা অফিসার ক্যাডেটসহ মোট ৭৪ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। অফিসার ক্যাডেট একাডেমি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আসিফ মাহমুদ আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব প্রদান করেন। কুচকাওয়াজ শেষে বিমান বাহিনী একাডেমির বিভিন্ন প্রকার বিমানের মনোজ্ঞ ফ্লাইপাস্ট, আকর্ষণীয় অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে এবং বিমান বাহিনীর চৌকশ প্যারাট্রুপারদের হেলিকপ্টার থেকে দৃষ্টিনন্দন প্যারা জাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। 

আলমগীর হোসেন/মাহফুজ/এমএ/

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য দিবসে রিকের র‌্যালি ও মানববন্ধন
ছবি : সংগৃহীত

আজ ১২ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক সর্বজনীন স্বাস্থ্য দিবস। রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জার্মান-বিএমজেড প্রকল্পের আওতায় দিবসটি উপলক্ষে র‌্যালি ও মানববন্ধন করে। 

দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘সরকারের ওপর নাগরিকদের স্বাস্থ্য নির্ভরশীল।’

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার অর্থই হচ্ছে কোনো আর্থিক চাপ ছাড়া নাগরিকরা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। জাতিসংঘভুক্ত রাষ্ট্র ও তার নাগরিকরা যে যেখানে আছেন তাদের স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ পান। 

মানববন্ধনে প্রবীণ বয়সের স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে এবং স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও সেবার অধিকার বাস্তবায়নে প্রবীণদের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপন করে রিক। 

বিজ্ঞপ্তি/সালমান/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });