ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে ৩৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১৩৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৭১ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে বরিশালে ২ জন, চট্টগ্রামে ১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে এক কন্যাশিশু, চার নারী ও তিন পুরুষ রয়েছেন। শিশুটির বয়স শূন্য থেকে ৫ বছর, নারীদের একজনের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছর, একজনের বয়স ৩৬ থেকে ৪০ বছর, একজনের ৪১ থেকে ৪৫ বছর এবং একজনের ৬১ থেকে ৬৫ বছর। পুরুষ একজনের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছর, একজনের ৪১ থেকে ৪৫ এবং একজনের ৬১ থেকে ৬৫ বছর। এ নিয়ে চলতি মাসের ৯ দিনে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল বিভাগে ১৩১ জন, চট্টগ্রামে ১৬৩, ঢাকা বিভাগে ২৬১, ঢাকা উত্তরে ২৪৩, ঢাকা দক্ষিণে ১৪৫, খুলনায় ১১০, ময়মনসিংহে ৪১, রাজশাহীতে ৩৩, রংপুরে ৫ এবং সিলেট বিভাগে ২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের ৯ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ২৩৯ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৮০ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ৬৬ হাজার ২৭৩ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ১ হাজার ৫৫ জন, তার মধ্যে ১৪ জন মারা যান। ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি হন ৩৩৯ জন, মারা যান ৩ জন। মার্চে ভর্তি হন ৩১১ জন, মারা যান ৫ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ৫০৪ জন, মারা যান ২ জন। মে মাসে ভর্তি হন ৬৪৪ জন, মারা যান ১২ জন। জুনে ভর্তি হন ৭৯৮ জন, মারা যান ৮ জন। জুলাইয়ে ভর্তি হন ২ হাজার ৬৬৯ জন, মারা যান ১২ জন।
আগস্টে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের তুলনায় ওই মাসে অনেক বেশি রোগী শনাক্ত হয়। ওই মাসে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬ হাজার ৫২১ জন, মারা যান ২৭ জন। এরপর সেপ্টেম্বরে ভর্তি হন ১৮ হাজার ৯৭ জন, মারা যান ৮০ জন। অক্টোবরে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন, মারা যান ১৩৪ জন।
ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০২৩ সালে। ওই বছর ১ হাজার ৭০৫ জন মারা যান। এর আগে ২০২২ সালে মারা যান ২৮১ জন। ২০২১ সালে মারা যান ১০৫ জন। ২০২০ সালে করোনার কারণে তেমন ডেঙ্গুর একটা প্রভাব বোঝা যায়নি। তবে ২০১৯ সালে ৩০০ জনের মৃত্যু হয়।