গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সরকারি চাকরিজীবীদের ‘মহার্ঘ ভাতা’ (ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স) দেওয়ার জন্য সাত সদস্যের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মুখ্য সচিব। ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের ওপর ভিত্তি করে এই ভাতা দেওয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব সৈয়দ আলী বিন হাসান স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়।
বিষয়টি পর্যালোচনা করে কমিটি সুপারিশ প্রণয়ন করবে। অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিয়ন্ত্রণ) কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, অর্থ বিভাগের সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ও সংসদীয় বিভাগের সচিব।
কমিটির রেফারেন্স টার্মস অনুযায়ী, কমিটি মহার্ঘ ভাতা দেওয়া যায় কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ জমা দেবে। প্রয়োজনে এক বা একাধিক কর্মকর্তাকে সহযোগী সদস্য হিসেবে নিতে পারবে কমিটি।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার ৮১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা রাজস্ব বাজেটের ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত অর্থবছর থেকে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘বিশেষ বৃদ্ধি’ (ইনক্রিমেন্ট) হিসাবে ৫ শতাংশ প্রদান করে আসছে, যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের সর্বশেষ পে-স্কেল কার্যকর করা হয় ২০১৫ সালে। তখন শতভাগ বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বর্তমান কাঠামোতে ২০টি ধাপে সরকারি চাকরিজীবীরা বেতন-ভাতা পান। এখন সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। এর মধ্যে জনপ্রশাসনে ১৪ লাখ। বাকি ৭ লাখ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা রয়েছেন, যারা নিয়মিত সরকারি কোষাগার থেকে মাসিক বেতন পান।