বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চারুশিল্পীদের ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে শিল্প হলো সভ্যতার মুখচ্ছবি বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চারুশিল্পী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ চারু শিল্পী পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক ড আব্দুর রব। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ফকির, সাবেক চেয়ারম্যান প্রাচ্যকলা বিভাগ অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, গীতিকার ও শিল্প সাহিত্য গবেষক ড আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, বিসিএ-এর সভাপতি আবেদুর রহমান, বাচিক শিল্পী শরীফ বায়েজীদ মাহমুদ, লেখক ও গবেষক ড মোস্তফা মনোয়ার, সেক্রেটারি চারুশিল্পী পরিষদ ড. আব্দুর রহীম, সাংবাদিক ও কথা সাহিত্যিক হারুন ইবনে শাহাদাত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মোফাচ্ছির আহমদ ফয়েজী। সভাপতিত্ব করেন চারুশিল্পী পরিষদ সভাপতি ইব্রাহীম মন্ডল।
প্রধান বক্তা অধ্যাপক ড. আব্দুর রব বলেন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবেলায় চারুশিল্পীদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে বিশ্বাসী শিল্পীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ড. আ জ ম ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিগত আগস্ট বিপ্লবে চারুশিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার প্রমাণ আমাদের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতিগুলো। ছবি মানসিক বিকাশে সহায়তা করে, সাইকো থেরাপির ভূমিকা পালন করে।
শরীফ বায়েজীদ মাহমুদ বলেন, চারুশিল্পী পরিষদের কাজ শিশু কিশোরদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে হবে। একটি শিশু শাখা খোলার জন্য আমি পরামর্শ দিচ্ছি।
তিথি/এমএ/