ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সমাবেশে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি নাট্যকর্মীদের

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২২ এএম
সমাবেশে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি নাট্যকর্মীদের
ছবি: সংগৃহিত

রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক মঞ্চায়নের ইস্যুতে যে অস্থিরতা চলছে, তা দ্রুত নিরসন করে নাট্যচর্চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন নাট্যকর্মীরা। নাট্যচর্চায় বাধা দেওয়া দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।


গতকাল শনিবার সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা ভবনের সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজিদ। এ সময় অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকারসহ মঞ্চশিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঝুনা চৌধুরী, মাসুম রেজা, আকতারুজ্জামান, তপন হাফিজ, ফেডারেশনের অনুষ্ঠান সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম।


কামাল বায়েজিদ বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নাট্যচর্চা চালিয়ে যেতে চাই। কিন্তু বিক্ষোভের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতে চাইছে। তাই নাট্য প্রদর্শনী চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চাই।’ 


তিনি বলেন, নাটকের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় ও কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুনির্দিষ্ট পরিচয় নেই এমন কয়েকজন ব্যক্তি গত ২ নভেম্বর হুমকি দিয়ে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করেছে। এদের ‘দুষ্কৃতকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে কামাল বায়েজিদ বলেন, তারা শুক্রবার বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের প্রতিবাদ সমাবেশে হামলা করেছে। বিক্ষোভকারী নামধারীর এসব উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডে নাট্যচর্চায় সংকট নেমে এসেছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে দুর্বৃত্তদের শাস্তির আওতায় এনে শিল্প-সংস্কৃতিচর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান কামাল। তবে সেই পরিবেশ সৃষ্টি না হলে আগামী ১৫ নভেম্বর রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বলে জানানো হয়।


সংবাদ সম্মেলনে নাট্যকর্মীরা অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার শিল্পকলা একাডেমির প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে নাট্যজন মামুনুর রশীদ বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় কিছু দুষ্কৃতকারী দুদকের গেটের দিক থেকে সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট ও ডিম ছুড়ে মারে। এতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ‘যথাযথ দায়িত্ব পালন করেননি’। এতে নাটক দেখতে আসা অনেক দর্শক শিল্পকলা একাডেমি ছেড়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনের বাইরে বিক্ষোভ, ৪ জন থানায়


এদিকে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন চলাকালে শিল্পকলা একাডেমির মেইন গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ১০ থেকে ১৫ জন বিক্ষোভকারী। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ/শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘তুমি কে আমি কে বাংলাদেশ বাংলাদেশ’। তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাইলে তারা ‘সাধারণ জনতা’ বলে নিজেদের পরিচয় দেন। তবে তারা নিজেদের নাম বলতে রাজি হননি। তাদের একজন এ সময় বলেন, ‘আমি সংস্কৃতি অঙ্গনের কেউ না। তবে দেশ নাটকের এহসান বাবু আওয়ামী লীগের দালাল। আমাদের উপদেষ্টাদের নিয়ে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। আমরা তার নাটক এখানে করতে দেব না।’


এহসান বাবুর কোনো নাটক তিনি দেখেছেন কি না বা কোনো সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছেন কি না প্রশ্নে তিনি  বলেন, ‘আমি মালিবাগে থাকি, সংস্কৃতি অঙ্গনের কেউ না।’ পরে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানোদের মধ্য থেকে চারজনকে রমনা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 
নাট্যকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আরণ্যক নাট্যদল ‘কম্পানি’ নাটকের প্রদর্শনী বাতিল করেছে।

জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাস পরিবর্তনের ‘নায়িকা’: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ পিএম
জুলাই বিপ্লবের কন্যারা ইতিহাস পরিবর্তনের ‘নায়িকা’: প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: পিআইডি

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া মেয়েদেরকে ইতিহাস পরিবর্তনের নায়িকা বলে সম্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘তোমরা বাংলাদেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে গেছ, সেটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। এই ঐতিহাসিক ঘটনার নায়িকারা বাংলাদেশে যা ঘটিয়েছে, তা পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। পৃথিবীতে অনেক অভ্যুত্থান হয়েছে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। কেউ তোমাদের উদ্বুদ্ধ করেনি। তোমরা নিজেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছ। এটা তোমাদের সম্পূর্ণ নিজেদের হাতে গড়া এক বিপ্লব।’

জুলাই বিপ্লবের কন্যাদের কীর্তিগাঁথা ও অবদানকে উপজীব্য করে ‘জুলাইয়ের কন্যারা আমরা তোমাদের হারিয়ে যেতে দেব না’ শীর্ষক নারী সমাবেশে মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ আয়োজন করে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা অংশ নেন। কর্মজীবী নারীদেরও এতে অংশ নিতে দেখা যায়।

ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা, স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া, চাকরিজীবী, পরিবারের যে যেখান থেকে পেরেছে সবাই বিপ্লবে যোগ দিয়েছে এবং সমানভাবে এগিয়ে এসেছে ও একেবারে পরিবর্তন করে দিয়েছে। ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়ব, এটা আমাদের শপথ’।

গণ-অভ্যুত্থানে হতাহতের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমরা যারা প্রাণ দিয়েছ, আহত হয়েছ, তোমাদেরকে আমরা ভুলিনি’।গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েরা এমন শক্তি দেখিয়েছে, যা অন্য কোনো দেশের মেয়েরা এখনো দেখাতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়- তোমরা অনেক এগিয়ে। এই যে এগিয়ে থাকাটা বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার। তোমরা একটা সুযোগ পেয়েছ এবং সুযোগটা গ্রহণ করে দেখিয়ে দিয়েছ যে আমাদের শক্তি আছে এবং আমরা সেটা প্রকাশ করতে পারি।

নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তোমরা পুরোনো বাংলাদেশ বদলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে ভূমিকা নিয়েছ সেটা পূরণ করতে হবে। শুধু সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না। কাজেই এটার পেছনে থাকতে হবে, এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন তোমাদের মনে আছে, বাংলাদেশের সব মানুষের মনে আছে সেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে’।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছ তোমাদের প্রজন্ম একেবারে ভিন্ন। তোমরা মহা শক্তিশালী মানুষ। এই শক্তি শেষ হয়ে যায়নি, আমাদের পৃথিবীর সামনে আরও দৃষ্টান্তমূলক ইতিহাস সৃষ্টি করে যাব। তোমাদের কাছে সে সম্ভাবনা আছে। নতুন প্রজন্মের মেয়েদেরকে কোনো ভুল পথে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, তোমাদের মধ্যে যে সম্ভাবনা আছে সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে সম্পূর্ণ নতুন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। কেবল বাংলাদেশ নয় নতুন এক পৃথিবী গড়ে তোলার মহা কর্মযজ্ঞে নিজেদের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জুলাই-আগস্ট উত্তাল সময়ের বিপ্লবী কন্যাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শিক্ষার্থীরা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও দাবির কথা তুলে ধরলে তা মনোযোগ দিয়ে শোনেন তিনি।

গণহত্যার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৫ পিএম
গণহত্যার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ: তথ্য উপদেষ্টা
তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম

তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যে গণহত্যা চালিয়েছে, তা এক কথায় কল্পনাতীত। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ চায়, এ গণহত্যার বিচার হোক। অন্তর্বর্তী সরকার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে এ গণহত্যার বিচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পৃথিবীর সামনে এ গণহত্যার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তুরস্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অন্তর্বর্তী সরকারকে গণহত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে জানান। সাক্ষাতের শুরুতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তৈরি করা ভিডিও ‘জুলাই অনির্বাণ’ জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলকে দেখানো হয়।

তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার গণহত্যার বিচারের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে দ্রুততম সময়ে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে।

দুই নৌযানসহ ৭৯ নাবিককে ধরে নিয়ে গেল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পিএম
দুই নৌযানসহ ৭৯ নাবিককে ধরে নিয়ে গেল ভারতীয় কোস্টগার্ড
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ নাবিকসহ মাছ ধরার দুটি নৌযান ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে ৭৯ নাবিকসহ মাছ ধরার দুটি নৌযানকে ভারতীয় কোস্টগার্ড ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার ভারতের জলসীমার কাছ থেকে গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে মালিক পক্ষ এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

ওই নৌযান দুটি হলো এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২। এফভি মেঘনা-৫-এর মালিক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড। এফভি লায়লার মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর ফিশিং।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রোর নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, ‘সোমবার দুপুর নাগাদ জাহাজ দুটিকে ভারতের কোস্টগার্ডের সদস্যরা আটক করে নিয়ে গেছেন বলে জানতে পারি। এফভি মেঘনা-৫ ও এফভি লায়লা-২ খুলনা বেল্টের হিরণ পয়েন্ট এলাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ছিল নৌযান দুটি।’

তিনি বলেন, ‘এ সংবাদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে যোগাযোগ করেছি। এফভি মেঘনাতে ক্রু ও জেলে মিলিয়ে মোট ৩৭ জন এবং লায়লাতে ৪২ জন ছিলেন। তাদের সঙ্গে সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার সকালেও কথা হয়েছে। তারা ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন।’ তবে তাদের সর্বশেষ অবস্থান জানাতে না পারলেও নৌযান দুটি সমুদ্রেই ভাসমান অবস্থায় রয়েছে বলে ধারণা সুমন সেনের।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ‘ভারতের সমুদ্রসীমার কাছ থেকে জাহাজ দুটি আটক করে নিয়ে গেছে। কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ওই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা বিষয়টি নজরে রেখেছি।’

কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’

নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি: সংগৃহীত

পানিসম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘আগামী পহেলা বৈশাখে নদ-নদীর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই তালিকা প্রকাশের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয়কেও যুক্ত করা হবে।’

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পানি ভবনের মাল্টিপারপাস হলরুমে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা নির্ধারণবিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সেমিনারে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন সারা দেশের জেলা প্রশাসকরা। তাদের আগামী তিন মাসের মধ্যে জেলার সব খালের তালিকা রেকর্ড অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।

উপদেষ্টা বলেন, ‘মৃত নদী বলতে কোনো নদী নেই, প্রবহহীন বলতে পারেন। প্রবহহীন নদীকে প্রবহমান করার অনেক প্রক্রিয়া বা রাস্তা আছে।’ 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সরকার হাওরের তালিকা চূড়ান্ত করেছে। বিলেরও একটা তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। এবার খালের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।’ 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ঢাকার ভেতরে থাকা ২১টি খাল দখল ও দূষণমুক্ত করে একটা ব্লু নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। দ্রুত এর বাস্তবায়ন শুরু হবে। অচিরেই প্রতিটি জেলায় ১টি করে নদীকে দখল ও দূষণমুক্তের কাজ শুরু করা হবে। 

সেমিনারে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নদ-নদীর ওপর নির্ভরশীল। দুঃখজনক হলেও সত্যি, উন্নয়নের নামে এ দেশে নদ-নদী, খাল-বিল দখল করা হয়েছে। নদীকে বাঁচাতে হলে দূষণ ও অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করতে হবে।’ 

নেচারের সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
নেচারের সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় ড. ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী নেচারের সেরা ১০ ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ তালিকায় ৭ নম্বরে রয়েছে ড. ইউনূসের নাম।

গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নেচারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ২০২৪ সালে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিদের এ খেতাব প্রদান করা হয়।

প্রতিবেদন অনুসারে তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন একহার্ড পেইক। তাকে ফাদার টাইম বলে খেতাব দেওয়া হয়েছে। ড. একহার্ড পেইক কোয়ান্টাম অপটিকস এবং পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান সেক্টরে সেরাদের একজন। তিনি লেজার-কুলড অ্যাটম এবং আয়ন নিয়ে কাজ করেছেন। তালিকার ৭ নম্বরে থাকা ড. ইউনূসকে ‘নেশন বিল্ডার’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এরপর তার নেতৃত্বে রাষ্ট্র সংস্কার এবং ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে।

নেচারের প্রতিবেদনে ইউনূস সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছয় দশকের কর্মজীবনে ড. ইউনূস দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নতুন ধারণা পরীক্ষার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গবেষণার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং অবস্থা বুঝে সমস্যার সমাধান করা ইউনূসের কাজের মূল ভিত্তি।

চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ইউনূস ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সত্তরের দশকে তার প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ মডেল ন্যায্য ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র মানুষের জীবন বদলে দেয়।

পরে ১৯৮৩ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং একই সঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণে একটি বৈশ্বিক আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তবে এখন তার সামনে ১৭ কোটি মানুষের একটি দেশ সংস্কারের বড় চ্যালেঞ্জ। জনগণ জানতে চায়, তিনি কীভাবে দুর্নীতি দূর করবেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা করবেন।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });