সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের এত সব দিবস থাকলে, উপকূলের জন্য কেন একটি দিবস থাকবে না। যে ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন, তাদের কেন স্মরণ করা হবে না, তাদের স্মরণে ও উপকূলের উন্নয়নে কেন একটি দিবস হবে না?
বক্তারা আরও বলেন, তিনটি পার্বত্য জেলা নিয়ে মন্ত্রণালয় আছে। উপকূলের ১৯ জেলা নিয়ে কেন মন্ত্রণালয় গঠন করা হবে না?
এ সময় তারা ১২ নভেম্বরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘উপকূল দিবস’ ঘোষণা ও উপকূলবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি এবং দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনের শুরুতে স্বেচ্ছাসেবীরা ১৯৭০এর ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন।
এ কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যসহ উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে আনুমানিক ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সাগর, নদী, খাল-বিলে ভেসে ছিল অসংখ্য লাশ। এতে মারা যায় প্রায় এক কোটি গবাদি পশু। ঘরবাড়ি, স্বজন হারিয়ে পথে বসেন উপকূলের লাখ লাখ মানুষ।
২০১৮ সালের মে মাসে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ভয়াবহ প্রাণঘাতী প্রাকৃতিক দুর্যোগের তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে এই ঘূর্ণিঝড়টিকে প্রাণঘাতীতে প্রথম স্থানে রাখা হয়।
সবুজ সংহতি-যুব সমন্বয় কমিটি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম ও বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের (বারসিক) আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, শ্যামনগর উপজেলা সবুজ সংহতির আহ্বাহক কুমুদ রঞ্জন, শ্যামনগর পৌরসভার সভাপতি গাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক তৃপ্তি বিশ্বাস, কোহিনুর ইসলাম, বিশ্বজিৎ মন্ডল, প্রতিমা চক্রবর্তী ও বর্ষা গাইন।
সুলতান শাহাজান/সুমন/অমিয়/