ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ছবি : খবরের কাগজ

হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘একইভাবে বাঁধের কাজে যাতে বিলম্ব না হয়, এই বাঁধের কারণে মানুষ যেন বিপর্যয়ের মুখোমুখি না হয়, তাই সরকার আগাম সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ 

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের মাটিয়ান হাওর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পরিবেশ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমরা দুই উপদেষ্টা পানি ও কৃষি উপদেষ্টা এসেছি হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে। আগে হাওর বোর্ড ছিল, যা এখন অধিদপ্তর হয়েছে। বাঁধ ভেঙে ফসলের যে ক্ষতি হয় তা আগে থেকেই দেখতে এসেছি। এর ফলে কোথায় কোথায় ভাঙন হয়, কোথায় ক্ষতি হয়, আর কোথায় কোথায় শক্ত করে বাঁধ দিতে হবে সেগুলো দেখব।’

টাঙ্গুয়ার হাওর নিয়ে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘টাঙ্গুয়ার হাওরে ট্যুরিজম চলবে। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রিতভাবে চলবে। এই হাওরে কত লোক আসতে পারবে, কত হাউজবোট চলতে পারবে, কোন নিয়মগুলো মেনে চলবে, প্লাস্টিকের বোতল আনতে পারবে কি-না, গান বাজাবে কি-না এগুলো সব আমরা নিয়ন্ত্রণ করব।’

তিনি আরও বলেন, হাওর নিয়ে সরকারের একটা মাস্টারপ্ল্যান আছে। হাওরকে যেন পরিবেশবান্ধব করা যায় এটা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা।

এ সময় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পানি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার, কবি নজরুল কলেজের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর ইসলাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমন দোজা আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দেওয়ান গিয়াস/সালমান/ 

সরকার রক্ষায় ৫ আগস্টও পুলিশ ‘সর্বাত্মকভাবে’ মাঠে ছিল

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০০ পিএম
সরকার রক্ষায় ৫ আগস্টও পুলিশ ‘সর্বাত্মকভাবে’ মাঠে ছিল
৫ আগস্টও সরকারকে রক্ষায় পুলিশ ‘সর্বাত্মকভাবে মাঠে ছিল’

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। কিন্তু এই ৫ আগস্টও সরকারকে রক্ষায় পুলিশ ‘সর্বাত্মকভাবে মাঠে ছিল’। ‘মার্চ টু ঢাকা’ থামাতে বিক্ষোভকারীদের শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিতে তখনো পুলিশ অনেক জায়গায় প্রাণঘাতী গুলি চালাচ্ছিল। এদিন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, চানখাঁরপুল, শাহবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, উত্তরার আজমপুর, সাভার ও আশুলিয়ায় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে। সাভারে সেদিন ভ্যানভর্তি লাশ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্দোলনরত নেতাদের প্রকাশ্য ঘোষণা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব জানতে পারেন, ৫ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রস্থলে বড় প্রতিবাদ মিছিলের পরিকল্পনা করছেন আন্দোলনকারীরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৪ আগস্ট দুই দফায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে এই কর্মসূচি মোকাবিলার পরিকল্পনা হয়। এর একটি বৈঠক হয় সকালে। আরেকটি বৈঠক হয় সন্ধ্যার পর। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪ আগস্ট সকালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। ওই বৈঠকে সেনা, বিমান, নৌ, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই, পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধানরা অংশ নেন। বৈঠকে শেখ হাসিনা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। তারা ‘মার্চ টু ঢাকা’ প্রতিরোধের জন্য আবার কারফিউ জারি ও তা বলবৎ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

একই দিন সন্ধ্যার পর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে (গণভবন) আরেকটি বৈঠক হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজে অংশ নেন। অন্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও আনসার/ভিডিপির প্রধান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার ও সেনাবাহিনীর কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, বৈঠকে সেনাপ্রধান ও অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা ঢাকা রক্ষার বিষয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, কোনো বিরতি ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের জন্য কঠোর কারফিউ চলবে। আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী একটি বিবৃতি দেন। তিনি দেশবাসীকে ‘এই সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন’ করার আহ্বান জানান।

বৈঠকগুলোতে অংশ নেওয়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, বৈঠকে একটি পরিকল্পনার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছিল যে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের ঢাকার কেন্দ্রস্থলে প্রবেশে বাধা দিতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি সাঁজোয়া যান ও সেনা মোতায়েন করে ঢাকার প্রবেশের পথগুলো অবরুদ্ধ করবে, বিক্ষোভকারীদের প্রবেশে বাধা দেবে। অন্যদিকে পুলিশ ‘উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে নিয়ন্ত্রণ’ করবে। 

৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে (রাত ১২টা ৫৫ মিনিট) শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের তৎকালীন মহাপরিচালক বিজিবির মহাপরিচালককে পরপর দুটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠান। সেই বার্তাগুলোর হার্ডকপি পেয়েছে ওএইচসিএইচআর। হার্ডকপির তথ্য অনুসারে, প্রথমটি ছিল একটি ফরোয়ার্ড করা সম্প্রচারিত বার্তা, যা আন্দোলনের নেতাদের বলে মনে হয়। এতে তারা ঢাকায় প্রবেশের পথগুলো সম্পর্কে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বার্তাটি প্রতিরক্ষা আদেশের রূপরেখার একটি ভিডিও রয়েছে। এতে প্রতিরক্ষার প্রথম ও দ্বিতীয় লাইন, একটি তৃতীয় দূরপাল্লার ইউনিট, একটি ব্যাকআপ ইউনিট, একটি পশ্চাদভাগের বাহিনীর কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মার্চ টু ঢাকা’ থামাতে, বিক্ষোভকারীদের শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছাতে বাধা দিতে তখনো পুলিশ অনেক জায়গায় বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রাণঘাতী গুলি চালাচ্ছিল। পুলিশের একজন কমান্ডার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘ সেদিন (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই সেনাবাহিনী জানত, শেখ হাসিনার পতন হয়ে গেছে। কিন্তু পুলিশ জানত না। তাই পুলিশ তখনো সরকারকে রক্ষা করতে সর্বাত্মকভাবে মাঠে ছিল।’

ওএইচসিএইচআর ওই দিন বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের গুলি করার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। সব কটির ধরন ছিল একই। উদাহরণস্বরূপ, চানখাঁরপুলে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা ও অন্যান্য পুলিশ রাইফেল থেকে প্রাণঘাতী গুলি করেছেন। শাহবাগের দিকে অগ্রসর হতে চেষ্টা করা বিক্ষোভকারীদের থামাতে তারা কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, পুলিশ যাকে দেখছিল, তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছিল।

রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে বাড্ডায় যাওয়ার চেষ্টাকালে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ ধাতব গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। এতে শিক্ষার্থী বিক্ষোভকারীরা আহত হন। ওই এলাকায় সকালে গুলিতে আহত বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উত্তরার আজমপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ১২ বছর বয়সী এক বালক বলেছে, পুলিশ ‘সব জায়গায় বৃষ্টির মতো গুলি চালাচ্ছিল’। কীভাবে সে ওই স্থানে অন্তত এক ডজন মৃতদেহ দেখেছিল, সেই বর্ণনা করেছিল। 

৫ আগস্ট সকালে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ ও আনসার সদস্যরা থানা ও এর কর্মকর্তাদের রক্ষায় বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করার নির্দেশ পান। তারা থানার ভেতর এবং আশপাশে অবস্থান নিয়ে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারীর ওপর প্রাণঘাতী রাইফেল ও শটগান দিয়ে গুলি চালান। 

ঘটনাস্থলে মোতায়েন থাকা কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিলেন। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। বহুসংখ্যক আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন অটিস্টিক ব্যক্তিও ছিলেন, তার শরীরে দুটি গুলি লেগেছিল।

সাভার বাসস্ট্যান্ডের আশপাশে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে বিপুলসংখ্যক হতাহত হন। একজন সাংবাদিক এলাকাটির বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তারা তাকে বলেছিলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের জোর করে মোতায়েন করেছেন। 

৫ আগস্ট বিকেলে বিক্ষোভকারীরা আশুলিয়া থানাকে নিশানা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিপুলসংখ্যক জনতা থানাটি ঘেরাও করেন। পুলিশ বারবার পিছু হটার চেষ্টা করলেও তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে অগ্রসর হতে থাকেন। জবাবে পুলিশ প্রাণঘাতী গুলিভর্তি সামরিক রাইফেল ব্যবহার করে নির্বিচার গুলি চালায়।

ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশে পুলিশ পরে গুলিবিদ্ধ মৃতদেহগুলো একটি ভ্যানে স্তূপ করে। তারা গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মনে হচ্ছিল, তারা কাজটি করেছে এই আশায় যে মৃতদেহ পোড়ানোর বিষয়টি এই মিথ্যা ধারণা তৈরি করবে যে এসব লোক আন্দোলনকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন।

পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার পুনর্গঠনের দাবি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার পুনর্গঠনের দাবি

বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা সাধারণ ক্যাডারের সদস্যদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ পরিবার কল্যাণ সার্ভিস’ নামে একটি স্বতন্ত্র সার্ভিস গঠন করার দাবি জানিয়েছে বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশন। পাশাপাশি জনপ্রশাসন সংস্কার পরিকল্পনায় বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার সার্ভিস পুনর্গঠনের কোনো সুপারিশ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, অন্যান্য সাধারণ ক্যাডারের মতো এই ক্যাডার সার্ভিসের কাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়নমূলক পরিবর্তনের প্রত্যাশা থাকলেও কমিশনের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা নেই।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডার দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তাই এই খাতে নেতৃত্বদানকারী ক্যাডারের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া জরুরি।
একটি স্বতন্ত্র সার্ভিস গঠন করার দাবি জানিয়ে সংগঠনটি জানায়, এটা সম্ভব না হলে এই ক্যাডার কর্মকর্তাদের অন্য কোনো সাধারণ ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করা হোক।

বিবৃতিতে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অফিসপ্রধানের পদমর্যাদা পুনর্নির্ধারণ, ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি নিশ্চিত করা এবং সার্ভিস লেন্থ অনুযায়ী গ্রেড উন্নীতকরণ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদবি থেকে পরিবার পরিকল্পনা শব্দটি বাদ দেওয়া, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করা, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের জন্য পৃথক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সঙ্গে প্রাইমারি হেলথ কেয়ার কার্যক্রম সংযুক্ত করার দাবি জানানো হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টা ডিসেম্বরে নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
ডিসেম্বরে নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে
দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: পিআইডি

সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ প্রস্তুত করে সংস্কারের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করা হবে এবং এরপর এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটের (ডব্লিউজিএস) প্লেনারি সেশনে এ কথা বলেন। সিএনএনের সাংবাদিক বেকি এন্ডারসন ওই সেশনটি পরিচালনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের প্রথম দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করা। তারপর দেশ, সমাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় তৈরি করা। এগুলো করার জন্য আমাদের সংস্কারের মতো প্রক্রিয়া হাতে নিতে হয়েছে। আমরা ১৫টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছি। কমিশনগুলো তাদের সুপারিশ ইতোমধ্যে দিয়েছে। এখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাজ যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করব। আমি যে কাজ করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, সেই কাজেই ফিরে যাব।’

সবকিছু ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের এক একটি টুকরো গেঁথে নতুন করে তৈরি করতে হবে। যেমন- আমাদের ব্যাংকিং সিস্টেম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ব্যাংক থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার চুরি করা হয়েছে। বছরে ১৭ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হয়। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, আমাদের নতুন করে সেগুলো করতে হয়েছে, রিজার্ভ ছিল নিম্নমুখী।’

শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে ভারতের কাছ থেকে কোনো সাড়া মিলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। হত্যা, গুম, নির্যাতন, কীভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষার্থীদের গুলি করে মারা হয়েছে, সবকিছু প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। সবকিছু রেকর্ডে আছে এখন। সুতরাং আমাদের এখন কারও কাছে গিয়ে কী কী হয়েছে জানানোর প্রয়োজন নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘের সুপারিশগুলো নিয়ে কাজ করব, যাতে এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। আমরা বিশ্বের কাছ থেকে ব্যাপক সহায়তা পেয়েছি। সবাই আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সহায়তা করার। তারা আমাদের সঙ্গে মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চান। পুরো দেশ ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। আমরা সেগুলো ফেরত আনার চেষ্টা করছি, কিন্তু প্রক্রিয়া অনেক জটিল।’

ইংরেজি ভাষাতেও মিলবে ৯৯৯ সেবা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম
ইংরেজি ভাষাতেও মিলবে ৯৯৯ সেবা
জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯

জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বর বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও সেবা দেওয়া শুরু করেছে। মোবাইল কিংবা ল্যান্ডফোন থেকে ফোন করে এই সেবা নিতে পারবেন বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি নাগরিকরাও। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার দেশি বা বিদেশি নাগরিক এবং বাংলাদেশে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বিদেশি পর্যটকরা এখন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সিম বা ল্যান্ডফোন ব্যবহার করে ইংরেজি ভাষায় ৯৯৯-এ কল করে জরুরি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। 

এতে আরও বলা হয়, পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশনায় বিদেশি নাগরিকদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি থেকে এই সেবাটি চালু হয়েছে। ইংরেজি ভাষাভাষী জরুরি সেবাপ্রার্থীদের সহায়তার জন্য প্রতিদিন তিনটি ডিউটি শিফটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেডিকেটেড ডিউটি ডেস্ক বরাদ্দ করা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করার পর ইংরেজি ভাষায় সেবা পেতে ২ চাপতে হবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বর। বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা পরিচালিত একটি জাতীয় জরুরি হেল্পডেস্কের অধীনে পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স বা ফায়ার সার্ভিসসংক্রান্ত পরিষেবাগুলো দেওয়া হয়।

এনআইওএইচসি সভাপতির দায়িত্ব নিল নৌবাহিনী

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
এনআইওএইচসি সভাপতির দায়িত্ব নিল নৌবাহিনী
নর্থ ইন্ডিয়ান ওশান হাইড্রোগ্রাফিক কমিশনের (এনআইওএইচসি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী

নর্থ ইন্ডিয়ান ওশান হাইড্রোগ্রাফিক কমিশনের (এনআইওএইচসি) সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। 

গত ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এনআইওএইচসির ২৪তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) ও ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে। 

আইএসপিআর জানায়, এই সভায় বাংলাদেশ ছাড়াও কমিশনের সদস্যরাষ্ট্র মিসর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ছয়টি সহযোগী সদস্যরাষ্ট্র ও তিনটি পর্যবেক্ষক দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সভায় হাইড্রোগ্রাফি কর্মকাণ্ডের মানোন্নয়ন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সুনীল অর্থনীতি প্রসারে হাইড্রোগ্রাফির ভূমিকা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা এবং নিরাপদ নৌচলাচলে হাইড্রোগ্রাফির গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ ছাড়াও সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-১৪ (জলজ জীবন) অর্জনে হাইড্রোগ্রাফির ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা হয়। 

আইএসপিআর আর জানায়, কমিশনের ২৪তম সভার সমাপনী দিনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৫-২০২৭ সালের জন্য থাইল্যান্ড নৌবাহিনীর কাছ থেকে এনআইওএইচসির সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এনআইওএইচসির সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নির্বাচিত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও কার্যকর নৌপরিবহন নিশ্চিত করতে হাইড্রোগ্রাফিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিশ্রুতির বহিঃপ্রকাশ।