ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

ভারতের হাইকমিশনসহ কূটনৈতিকপাড়ায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
ভারতের হাইকমিশনসহ কূটনৈতিকপাড়ায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা
ভারতীয় হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছবি : খবরের কাগজ

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় এখন উত্তাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঢাকার রাজপথ। প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ অবস্থায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকার গুলশান-বারিধারা তথা কূটনৈতিকপাড়ায় নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কূটনৈতিকপাড়া ঘুরে দেখা যায়, ভারতের হাইকমিশনারসহ কূটনৈতিকপাড়ায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 

ভারতীয় দূতাবাস এলাকায় দূতাবাসে যাওয়ার রাস্তা ও এর আশপাশে লেকের পাড়ে বিপুলসংখ্যক সেনা ও পুলিশ সদস্যদের অবস্থান করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে সাঁজোয়া যানসহ (এপিসি) দাঙ্গা দমনের উপকরণ। রয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এবিপিএন) ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ ছাড়া বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগ।

পুলিশের ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘কূটনৈতিকপাড়ায় সব সময় নিরাপত্তা থাকে। তবে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে বিক্ষোভ ও ন্যক্কারজনক হামলার পর এখানে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। আমরা বদলি ডিউটি করে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দিচ্ছি। এ ছাড়া ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন।’ 

যেকোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে আরও ফোর্স রেডি রাখা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 

এ বিষয়ে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদ আহম্মেদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘সেনাবাহিনী, এপিবিএন, পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিএমও) ও গুলশান থানার পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। এই এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের হামলা বা বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই।’ 

ওসি বলেন, ‘যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি। শঙ্কামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই কড়া নিরাপত্তা বহাল থাকবে।’ 

গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বিক্ষোভকারীরা আগরতলায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালান। এ সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে ও আগুনে পুড়িয়ে দেন। পরে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।

ঘটনার পর ঢাকার গুলশানে ভারতীয় হাইকমিশন ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট এবং খুলনার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে ব্যাপক নিরপত্তা নেওয়া হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা জোরদার

আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনার পর চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনার ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের পাশাপাশি ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। 

সোমবার বিকেল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকায় অবস্থিত সহকারী হাইকমিশন ও নগরের ২ নম্বর গেটে ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী মো. তারেক আজিজ (এডিসি) বলেন, ‘ভারতের আগরতলায় ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ও ভারতীয় ভিসা সেন্টারে নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সহকারী হাইকমিশন ও ভিসা সেন্টারের আশপাশের এলাকায় কঠোরভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।’ 

সোমবার থেকে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ রাজশাহীর সহকারী হাইকমিশনারের কার্যালয়টিকে তিন স্তরের নিরাপত্তা দিচ্ছে। পাশাপাশি এই কার্যালয়ের আশপাশের এলাকায় সাদাপোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। অন্যদিকে খুলনায় বিক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্র-জনতা ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের অফিসের সামনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে নগরীর শামসুর রহমান রোডে অবস্থিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ঘিরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করে। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজশাহী শহরের পদ্মা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত সহকারী হাইকমিশন ভবন এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচলও সীমিত করা হয়। আর খুলনার সহকারী হাইকমিশনারের অফিসের সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে সশস্ত্র অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

রাজশাহী সহকারী হাইকমিশনের সামনে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কয়েক দিন ধরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হামলার ঘটনার পর পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবন এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে আশপাশের এলাকায়। এসব স্থাপনায় হামলার কোনো শঙ্কা নেই। তারপরেও আমরা সতর্ক আছি।’

এদিকে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে খুলনার সহকারী হাইকমিশনের অফিসের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ আহসান আহমেদ রোড ও শামসুর রহমান রোডের সংযোগস্থলে অবস্থান নিয়ে তাদের বাধা দেয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ইসকন ও ভারতবিরোধী স্লোগান দেন।

 

অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত ও শক্তিশালী করে সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি মনে করি বাংলাদেশ কাস্টমস আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ ও পণ্যের নিরাপদ সরবরাহের নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও খালাস নিশ্চিত করবে। ফলে পণ্যের সাপ্লাই চেইন সুসংহত হবে এবং নিশ্চিত হবে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি’ -মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডব্লিউসিও- ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন-এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করছে।’’

বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্প ও বাজার সুরক্ষাসহ দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ কাস্টমসের অনন্য ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল দেশের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের পরিবেশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি কাস্টমস দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি’- অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ।’’

তিনি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫’ এর সাফল্য কামনা করেন।

অমিয়/

শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আইএলওর সহযোগিতা কাম্য: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম
শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আইএলওর সহযোগিতা কাম্য: শ্রম উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতা একান্ত কাম্য বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের ঢালি আম্বার নিবাসে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রম সেক্টরে একটি কার্যকর বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের কর্মশালার মাধ্যমে একটি খসড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা হবে এবং শ্রমবিরোধ নিরসনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (অউজ) ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং শ্রম আদালতের উপর চাপ কমানোর জন্য অউজ নিয়ে কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, আমরা স্বীকার করি যে, অউজ পদ্ধতির কার্যকারিতা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। কিছু মূল চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে অউজ বেনিফিট সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের সীমিত ক্ষমতা এবং অউজের জন্য একটি মানসম্মত পদ্ধতির অভাব। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সরকার, শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং উন্নয়ন অংশীদারসহ সকল স্টেকহোল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এ সময় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহমিদা আখতার এনডিসি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিনসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেদী/

দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তারের পূর্বাভাস

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম
দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তারের পূর্বাভাস
রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবে। ছবি: খবরের কাগজ

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও এটি বিস্তার লাভ করতে পারে।

শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা খবরের কাগজকে বলেন, রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেশি কমতে পারে। সেই হিসাবে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২৫ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়ায় ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়ার পাশাপাশি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

সিফাত/

আবেদন করেও দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পেলাম না: সারোয়ার ওয়াদুদ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আবেদন করেও দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পেলাম না: সারোয়ার ওয়াদুদ
“দুর্নীতি নির্মূলে করনীয় শীর্ষক” আলোচনা সভা

চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আগামী এক মাসের মধ্যে দুদকসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী।

একইসঙ্গে গত ২৬ ডিসেম্বর দুদকের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাতের আবেদনের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি বলে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে সেল সেন্টার অডিটরিয়ামে “দুর্নীতি নির্মূলে করনীয় শীর্ষক” আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ডক্টর লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় এবং দলাদলি শিক্ষা ধ্বংসের অন‍্যতম কারন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ডক্টর লুৎফর রহমান। তিনি প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা ব‍্যবস্থার জন‍্য অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দলীয় প্রভাবমুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী। এবং দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাথে সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের ঘোষণা দেন আইয়ুব ভূঁইয়া।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল, পারভীন নাসের খান ভাসানী, সাবেক সিনিয়র সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, জাতীয় তরুণ সংঘের সভাপতি একেএম ফজলুল হক, ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন, বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, উইং কমান্ডার মীর আমিনুল ইসলাম (অব.), গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. ফরিদ উদ্দিন (অব.) স্কোয়াড্রন লিডার আওলাদ হোসেন (অব.), উইং কমান্ডার ওয়ালিউল ইসলাম (অব.) লে. কর্নেল মহসিন আলী খান (অব.), মেজর (অব.) নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী লুৎফর রহমান, ডক্টর শফিকুল ইসলাম কানু, এস. এম. ইকবাল আলমগীর, প্রকৌশলী মনির আহমেদ, কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, শওকত আলী খান, আদিনা খান, অধ্যক্ষ রিক্তার হোসেন, কবি কাজী আলম, মো. এমদাদ উল্লাহ, সুকুমার দাস বাচ্চু প্রমুখ।

সিফাত/

ভারতে বাংলাদেশিকে ধর্ষণের পর হত্যা ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাজমা নামের বাংলাদেশি এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। 

বিক্ষোভ মিছিলে তারা ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘আমাদের ধমনিতে, আবরার-আবু সাঈদের রক্ত’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, নাজমা-ফেলানী হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার বোন মরল কেন, ভারত তুই জবাব দে’,  ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘ভারত কখনো জুলাই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেনি। জুলাই অভ্যুত্থানকে ভারতের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক মহল ও তাদের দেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টি করেছে। তারা শুধু উগ্রতাই ছড়িয়েছে। গত শুক্রবার ভারতে আমাদের বোন নাজমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উগ্রতা ছড়ানোর ফলাফল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে অবশ্যই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। হাইকমিশনারকে ডেকে জবাবদিহি করতে হবে, যেন আগামীতে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নাজমা হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডাকা হয়নি। এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কোনো জবাব চাওয়া হয়নি। আমরা চাই না আর নতজানু হয়ে চলতে। আমরা চাই, নতজানু না হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’

সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঈনুল ইসলাম, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ, ঢাবি শিক্ষার্থী মোফাজ্জল হোসাইন সাদাত প্রমুখ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভারতের কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে নাজমার লাশ উদ্ধার করা হয়। ভারতের পুলিশের ধারণা, নাজমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মেহেদী/