ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টারপ্ল্যান পুনর্গঠন হচ্ছে: উপদেষ্টা

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের মাস্টারপ্ল্যান পুনর্গঠন হচ্ছে: উপদেষ্টা
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

শুধু আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয়, কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মহাপরিকল্পনা পুনর্গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সচিবালয়ে নৌপরিবহন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
 
এ সময় 'জাইকার' কারিগরি সহায়তা প্রত্যাশা করে উপদেষ্টা বলেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুটি বিবেচনা করতে হবে। সরকার এখানে একটি আন্তর্জাতিকমানের ডক-ইয়ার্ড নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য বন্দরগুলোর কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় ও গতিশীলতা আনাতে ন্যাশনাল পোর্ট স্ট্র্যাটেজি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।

জাহাজভাঙা শিল্পের পরিবেশগত মান যাচাইয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ কমিটি শিপ রিসাইকেলিং ইয়ার্ডগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে সরকারকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিবে। 

তিনি আরও বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। মাতারবাড়ি বাংলাদেশের একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর।  জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যাজেন্সি 'জাইকার' আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি। এর মাধ্যমে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। 

এ সময় ২০৩০ সালের মধ্যে সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব বলে আশা করেন উপদেষ্টা।

এ ছাড়া বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলোর উন্নয়নে জাপান সরকারের পেশাগত ও কারিগরি সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব-সম্পদ ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নে পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় জাপান বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। জাপানের স্বেচ্ছাসেবীরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম চালাচ্ছে। জাইকা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কার্যক্রম সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। 

এ সময় সকলের সহযোগিতায় যথাসময়ে বন্দরের কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এ ছাড়া বাংলাদেশের জাহাজভাঙা শিল্পে সহযোগিতার আগ্রহও প্রকাশ করেন। 

আনিসুর রহমান তপন/মেহেদী/এমএ/

অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত ও শক্তিশালী করে সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি মনে করি বাংলাদেশ কাস্টমস আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ ও পণ্যের নিরাপদ সরবরাহের নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও খালাস নিশ্চিত করবে। ফলে পণ্যের সাপ্লাই চেইন সুসংহত হবে এবং নিশ্চিত হবে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি’ -মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডব্লিউসিও- ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন-এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করছে।’’

বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্প ও বাজার সুরক্ষাসহ দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ কাস্টমসের অনন্য ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল দেশের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের পরিবেশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি কাস্টমস দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি’- অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ।’’

তিনি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫’ এর সাফল্য কামনা করেন।

অমিয়/

শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আইএলওর সহযোগিতা কাম্য: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম
শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আইএলওর সহযোগিতা কাম্য: শ্রম উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতা একান্ত কাম্য বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের ঢালি আম্বার নিবাসে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রম সেক্টরে একটি কার্যকর বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের কর্মশালার মাধ্যমে একটি খসড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা হবে এবং শ্রমবিরোধ নিরসনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (অউজ) ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং শ্রম আদালতের উপর চাপ কমানোর জন্য অউজ নিয়ে কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, আমরা স্বীকার করি যে, অউজ পদ্ধতির কার্যকারিতা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। কিছু মূল চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে অউজ বেনিফিট সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের সীমিত ক্ষমতা এবং অউজের জন্য একটি মানসম্মত পদ্ধতির অভাব। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সরকার, শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং উন্নয়ন অংশীদারসহ সকল স্টেকহোল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এ সময় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহমিদা আখতার এনডিসি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিনসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেদী/

দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তারের পূর্বাভাস

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম
দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তারের পূর্বাভাস
রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবে। ছবি: খবরের কাগজ

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও এটি বিস্তার লাভ করতে পারে।

শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা খবরের কাগজকে বলেন, রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেশি কমতে পারে। সেই হিসাবে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২৫ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়ায় ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়ার পাশাপাশি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

সিফাত/

আবেদন করেও দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পেলাম না: সারোয়ার ওয়াদুদ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আবেদন করেও দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পেলাম না: সারোয়ার ওয়াদুদ
“দুর্নীতি নির্মূলে করনীয় শীর্ষক” আলোচনা সভা

চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আগামী এক মাসের মধ্যে দুদকসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী।

একইসঙ্গে গত ২৬ ডিসেম্বর দুদকের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাতের আবেদনের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি বলে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে সেল সেন্টার অডিটরিয়ামে “দুর্নীতি নির্মূলে করনীয় শীর্ষক” আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ডক্টর লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় এবং দলাদলি শিক্ষা ধ্বংসের অন‍্যতম কারন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ডক্টর লুৎফর রহমান। তিনি প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা ব‍্যবস্থার জন‍্য অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দলীয় প্রভাবমুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী। এবং দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাথে সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের ঘোষণা দেন আইয়ুব ভূঁইয়া।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল, পারভীন নাসের খান ভাসানী, সাবেক সিনিয়র সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, জাতীয় তরুণ সংঘের সভাপতি একেএম ফজলুল হক, ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন, বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, উইং কমান্ডার মীর আমিনুল ইসলাম (অব.), গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. ফরিদ উদ্দিন (অব.) স্কোয়াড্রন লিডার আওলাদ হোসেন (অব.), উইং কমান্ডার ওয়ালিউল ইসলাম (অব.) লে. কর্নেল মহসিন আলী খান (অব.), মেজর (অব.) নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী লুৎফর রহমান, ডক্টর শফিকুল ইসলাম কানু, এস. এম. ইকবাল আলমগীর, প্রকৌশলী মনির আহমেদ, কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, শওকত আলী খান, আদিনা খান, অধ্যক্ষ রিক্তার হোসেন, কবি কাজী আলম, মো. এমদাদ উল্লাহ, সুকুমার দাস বাচ্চু প্রমুখ।

সিফাত/

ভারতে বাংলাদেশিকে ধর্ষণের পর হত্যা ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাজমা নামের বাংলাদেশি এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। 

বিক্ষোভ মিছিলে তারা ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘আমাদের ধমনিতে, আবরার-আবু সাঈদের রক্ত’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, নাজমা-ফেলানী হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার বোন মরল কেন, ভারত তুই জবাব দে’,  ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘ভারত কখনো জুলাই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেনি। জুলাই অভ্যুত্থানকে ভারতের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক মহল ও তাদের দেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টি করেছে। তারা শুধু উগ্রতাই ছড়িয়েছে। গত শুক্রবার ভারতে আমাদের বোন নাজমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উগ্রতা ছড়ানোর ফলাফল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে অবশ্যই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। হাইকমিশনারকে ডেকে জবাবদিহি করতে হবে, যেন আগামীতে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নাজমা হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডাকা হয়নি। এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কোনো জবাব চাওয়া হয়নি। আমরা চাই না আর নতজানু হয়ে চলতে। আমরা চাই, নতজানু না হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’

সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঈনুল ইসলাম, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ, ঢাবি শিক্ষার্থী মোফাজ্জল হোসাইন সাদাত প্রমুখ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভারতের কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে নাজমার লাশ উদ্ধার করা হয়। ভারতের পুলিশের ধারণা, নাজমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মেহেদী/