বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে অপপ্রচার চলায় ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে এনে এ বিষয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সরকারের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আলোচনার পর তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে ডেকেছিলাম। ছোট দুটি ঘটনা ঘটেছে, গত ২ নভেম্বর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই সদস্য বক্তব্য দিয়েছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতির ওপর। সে বক্তব্যে কিছু ভুল তথ্য রয়েছে, সেটি হাইকমিশনারকে জানিয়েছি। পার্লামেন্ট সদস্যরা তো যা ইচ্ছা তাই বলবেন, এখানে কারও কিছু করার নেই। কিন্তু বাংলাদেশের এ বিষয়ে যে অবস্থান রয়েছে, তা ব্রিটিশ সরকারকে জানাতে অনুরোধ করেছি। সারাহ কুক বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমেও বিষয়টি জানাতে অনুরোধ করেছেন। এ ছাড়া ব্রিটেনভিত্তিক কিছু সংগঠন কিছু তথ্য তুলে ধরেছে, যাতে প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হয়নি।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের অল পার্টি পার্লামেন্ট গ্রুপের একটি বড় প্রতিবেদন এসেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ দুঃখ পেয়েছে। কারণ সেখানেও দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, ৫ আগস্টের পরে বেশি মৃত্যু হয়েছে; বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৫ আগস্টের আগে মৃত্যুর সংখ্যা বলা হয়েছে ২৮০ জন এবং মোট সংখ্যা ১ হাজারের বেশি। ৫ আগস্ট এবং তারও আগে অন্তত দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, এটি হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৭৮০ জনের তথ্যসহ তালিকা করা হয়েছে। বাকিদের অনেকের পরিচিতি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তাদের লাশ পাওয়া গেছে।’
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর কিছু ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে যেভাবে তুলে ধরা হয়েছে, সেটি সঠিক নয়। একেবারেই সঠিক নয়, দুঃখজনক। বাংলাদেশে ৫ আগস্টের আগে এত বড় একটি ঘটনা যে ঘটেছে, বিপুলসংখ্যক ছেলেমেয়েকে রাস্তাঘাটে গুলি করে মারা হয়েছে, সেটি অল পার্টি পার্লামেন্ট গ্রুপের প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই।’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ডেস্কের মহাপরিচালক শাহনাজ গাজী খবরের কাগজকে বলেন, ‘এটি যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে অপপ্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের হাইকমিশনারকেও না জানিয়ে তার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।’