ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

একতাবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার রাজনৈতিক দলগুলোর

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
একতাবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার রাজনৈতিক দলগুলোর
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। ছবি : পিআইডি

দেশের বিদ্যমান সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলো ভারতীয় আগ্রাসন ও পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সৃষ্ট জাতীয় সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে একমত পোষণ করেছে। তারা বলেছে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় তারা সরকারের পাশে থাকবে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দল এ বৈঠকে অংশ নিলেও আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দলসহ গত নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই বৈঠক বিকেল সোয়া ৪টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শেষ হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বসবেন। সংলাপে অংশ নিতে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রবেশ করে। 

অন্যরা হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম অংশ নেন। 

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম, তারা এটাকে মুছে দিয়ে আগেরটায় ফিরে যেতে চায়। মুখে বলছে না যে আগেরটা, কিন্তু ভঙ্গি হলো আগেরটা ভালো ছিল। তাদের শক্তি এত বেশি যে তারা মানুষকে এর ভেতরে ভেড়াতে পারছে। তাদের কল্পকাহিনির কারণে মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করছে যে এটা কী ধরনের সরকার হলো।’

বহির্বিশ্বের মিডিয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার তাদের বলছি যে আপনারা আসেন এখানে, দেখেন, এখানে কোনো বাধা নেই। কিন্তু না, তারা ওখান থেকেই কল্পকাহিনি বানিয়ে যাচ্ছেন। এখন আমাদের সারা দুনিয়াকে বলতে হবে যে আমরা এক, আমরা যেটা পেয়েছি সেটা একজোট হয়ে পেয়েছি, কোনো মতবাদের কারণে পাইনি, ধাক্কাধাক্কি করে পাইনি, যারা আমাদের ওপর চেপে ছিল, তাদের উপড়ে ফেলেছি। এটাই সবার সামনে তুলে ধরতে হবে, সবাই মিলে যেন এটা করতে পারি। আমাদের নতুন বাংলাদেশের যাত্রাপথে এটা মস্তবড় একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

জানা গেছে, বৈঠকে মূলত আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা এবং দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের আন্তর্জাতিকভাবে যে গল্প শোনানো হচ্ছে, এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চাওয়া হয়। বৈঠকে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন নেতারা। এগুলো হলো বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের দূতাবাসে আগের সরকারের নিয়োগপ্রাপ্তদের সরিয়ে বিপ্লবের পক্ষের শক্তিকে নিয়োগ দেওয়া, আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছর ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করেছে তা প্রকাশ করা এবং স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল করাসহ ক্ষতিপূরণ আদায়, জাতীয় ঐক্যের প্রতীকী সংহতি দিবস হিসেবে একদিন পালন করা এবং এই দিন যার যার অবস্থান থেকে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন, আন্তর্জাতিক মহলের প্রোপাগান্ডা প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয়ভাবে পাবলিক রিলেশন সেল গঠন করা এবং তা বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে প্রকাশ করার পক্ষে মত দেন।

সংলাপে এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু যেকোনো একদিন জাতীয় ঐক্যের প্রতীকী সংহতি হিসেবে সর্বস্তরের নাগরিকদের সারা দেশে একযোগে একই সময়ে যার যার অবস্থানে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচির প্রস্তাব দেন। তার এই প্রস্তাবকে অধিকাংশ দলের নেতারা সমর্থন জানান। এ ছাড়া সংলাপে বিএনপির বক্তব্যের প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে কয়েকটি দলের উত্থাপিত দাবি এ আলোচনার বিষয়ে তিনি ইতিবাচকভাবে নেননি। 

সূত্র জানায়, বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার কঠোর জবাব দিতে আহ্বান জানান। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় দূতাবাস এবং দেশের যেসব প্রতিষ্ঠান ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের সহযোগী যারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন তাদের সরিয়ে দিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। কারণ এদের রেখে বিপ্লব সফল হবে না। গণ অধিকার পরিষদ জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিলে অন্য দলগুলো তাতে সম্মত হয়নি। বেশ কয়েকটি দল মাঝে মাঝে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে বৈঠক করার পরামর্শ দেয়। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জাতীয় ঐক্যের সমঝোতা দলিল প্রণয়ন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ভলান্টিয়ার গঠন। সরকারের পক্ষে থেকে বলা হয়, দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশ ঐক্যবদ্ধ আছে। কেউ যদি আমাদের ক্ষতি করে তাহলে সেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সরকারের জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে সার্বিক সংস্কারের পর রোডম্যাপ ঘোষণা করে দ্রুত নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আমরা ঐকমত্য প্রকাশ করেছি, যেভাবে সবাই মিলে জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি, সেভাবেই ছাত্র-জনতা মিলে ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্রও মোকাবিলা করব।’

বিএনপি জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য ও নির্বাচনি রোডম্যাপ চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পতিত সরকার আজকে বিদেশে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশের যেসব দেশ পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগিতা করছে- বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।’ 

তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তারা দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। এখন প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলে আর কেউ ষড়যন্ত্রের সাহস পাবে না।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। এই সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ওয়াদাবদ্ধ। তাই আমরা অতি দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ দিতে বলেছি। যাতে জনগণ রোডম্যাপ পেলে নির্বাচনমুখী হয়।’

বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ভারতের সঙ্গে গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি রামপালসহ যত ক্ষতিকারক চুক্তি হয়েছে তা বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে শক্তিহীন, দুর্বল ও নতজানু ভাবার কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, অস্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষায় আমরা সবাই একজোট। যেকোনো ধরনের অপপ্রচার ও উসকানির বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়, একতাবদ্ধ ও সাহসিকতার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকব।’

ভারতীয় অপপ্রচার মোকাবিলায় গোটা জাতির ঐক্যবদ্ধ থাকার পাশাপাশি একটি সমাবেশ করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপনের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই এক জায়গায় ঐকমত্য হয়েছি যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় নয়, এ ক্ষেত্রে আমরা সিমেন্টের মতো ঐক্যবদ্ধ। যেমন অতীতে ছিলাম, ৫ আগস্টে ছিলাম, ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। চরমপন্থা যেদিক থেকেই আসুক, বরদাশত করা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমরা প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কই রাখতে চাই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাদের ভূমিকা উসকানিমূলক ও সহিংস বলেই মনে হচ্ছে। তারা মিথ্যা তথ্যের ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশকে কলুষিত করার জন্য, এ দেশের জনগণ ও সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য অপপ্রয়াস ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা আশা করি, ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে চূড়ান্ত সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে দেশ। চূড়ান্ত সফলতা না আসা পর্যন্ত আমাদের ঐক্য অটুট থাকবে।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘ভারত যদি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়, তাহলে ভারতকেও বিপদে পড়তে হবে। তাদের আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানাই। ভারত ও বাংলাদেশ ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে সবাই একমত হয়েছেন।’

গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘সারা দেশে জাতীয় ঐক্য প্রকাশে সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে সমাবেশ করার আহ্বান করা হয়েছে। একটি জাতীয় কাউন্সিল করার আহ্বান আমরা জানিয়েছি।’

এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বর্তমান সভাপতি শাহ আলম, বাসদের উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মামুনুল হক, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ১২-দলীয় জোটের প্রধান নেতা মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হক হুদা, জাগপা সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, খেলাফত মজলিসের আবদুল বাসিত আজাদ ও জাহাঙ্গীর হোসেন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, জাতীয়তাবদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হাকিম লালা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাসদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য প্রমুখ বৈঠক অংশ নেন।

তবে বৈঠকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং তাদের জোট শরিক ও সহযোগী কোনো দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে রাজনীতিবিদদের নামের তালিকায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নাম না থাকায় তিনি ফিরে গেছেন।

দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তারের পূর্বাভাস

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৩ এএম
দুই জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তারের পূর্বাভাস
রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবে। ছবি: খবরের কাগজ

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলেও এটি বিস্তার লাভ করতে পারে।

শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা খবরের কাগজকে বলেন, রবিবার দেশের বিভিন্ন স্থানের তাপমাত্রা কমবে। দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেশি কমতে পারে। সেই হিসাবে শৈত্যপ্রবাহের বিস্তৃতি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ২৫ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়ায় ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু এলাকায় অব্যাহত থাকতে পারে ও বিস্তার লাভ করতে পারে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়ার পাশাপাশি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

সিফাত/

আবেদন করেও দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পেলাম না: সারোয়ার ওয়াদুদ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আবেদন করেও দুদক চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পেলাম না: সারোয়ার ওয়াদুদ
“দুর্নীতি নির্মূলে করনীয় শীর্ষক” আলোচনা সভা

চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আগামী এক মাসের মধ্যে দুদকসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী।

একইসঙ্গে গত ২৬ ডিসেম্বর দুদকের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাতের আবেদনের উত্তর আজও পাওয়া যায়নি বলে দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে সেল সেন্টার অডিটরিয়ামে “দুর্নীতি নির্মূলে করনীয় শীর্ষক” আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ডক্টর লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

শিক্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় এবং দলাদলি শিক্ষা ধ্বংসের অন‍্যতম কারন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ডক্টর লুৎফর রহমান। তিনি প্রাথমিক স্তর থেকে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা ব‍্যবস্থার জন‍্য অবিলম্বে শিক্ষা কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দলীয় প্রভাবমুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন ডক্টর চৌধুরী হাসান সারওয়ারদী। এবং দুর্নীতি বিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাথে সাংবাদিক সমাজের ঐক্যের ঘোষণা দেন আইয়ুব ভূঁইয়া।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী আব্দুল আউয়াল, পারভীন নাসের খান ভাসানী, সাবেক সিনিয়র সচিব মাকসুদুর রহমান পাটওয়ারী, জাতীয় তরুণ সংঘের সভাপতি একেএম ফজলুল হক, ড. সৈয়দ জাভেদ মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন, বিসিএস ইনফরমেশন এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, উইং কমান্ডার মীর আমিনুল ইসলাম (অব.), গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. ফরিদ উদ্দিন (অব.) স্কোয়াড্রন লিডার আওলাদ হোসেন (অব.), উইং কমান্ডার ওয়ালিউল ইসলাম (অব.) লে. কর্নেল মহসিন আলী খান (অব.), মেজর (অব.) নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী লুৎফর রহমান, ডক্টর শফিকুল ইসলাম কানু, এস. এম. ইকবাল আলমগীর, প্রকৌশলী মনির আহমেদ, কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, শওকত আলী খান, আদিনা খান, অধ্যক্ষ রিক্তার হোসেন, কবি কাজী আলম, মো. এমদাদ উল্লাহ, সুকুমার দাস বাচ্চু প্রমুখ।

সিফাত/

ভারতে বাংলাদেশিকে ধর্ষণের পর হত্যা ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৪ পিএম
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের বেঙ্গালুরুতে নাজমা নামের বাংলাদেশি এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হত্যার কারণ অনুসন্ধান ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। 

বিক্ষোভ মিছিলে তারা ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘আমাদের ধমনিতে, আবরার-আবু সাঈদের রক্ত’, ‘বিচার চাই বিচার চাই, নাজমা-ফেলানী হত্যার বিচার চাই’, ‘আমার বোন মরল কেন, ভারত তুই জবাব দে’,  ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘ভারত কখনো জুলাই অভ্যুত্থানকে সমর্থন করেনি। জুলাই অভ্যুত্থানকে ভারতের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক মহল ও তাদের দেশে বাংলাদেশ সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টি করেছে। তারা শুধু উগ্রতাই ছড়িয়েছে। গত শুক্রবার ভারতে আমাদের বোন নাজমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উগ্রতা ছড়ানোর ফলাফল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতকে অবশ্যই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। হাইকমিশনারকে ডেকে জবাবদিহি করতে হবে, যেন আগামীতে এমন কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি নাজমা হত্যাকাণ্ডের বিচারে পদক্ষেপ না নেন, তাহলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রাকিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডাকা হয়নি। এই ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের কোনো জবাব চাওয়া হয়নি। আমরা চাই না আর নতজানু হয়ে চলতে। আমরা চাই, নতজানু না হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হোক।’

সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মঈনুল ইসলাম, ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ, ঢাবি শিক্ষার্থী মোফাজ্জল হোসাইন সাদাত প্রমুখ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ভারতের কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে নাজমার লাশ উদ্ধার করা হয়। ভারতের পুলিশের ধারণা, নাজমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।

মেহেদী/

বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত তালিকা স্থগিত

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৩ পিএম
বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত তালিকা স্থগিত
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা জানান।

পোস্টে তিনি লেখেন, ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা প্রয়োজন, যে আজব নীতিমালা এ ধরনের উদ্ভট এবং কোটারি পুরস্কারের সুযোগ করে দেয় সেগুলা দ্রুত রিভিউ করা আমাদের প্রথম কাজ। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি কীভাবে পরিচালিত হবে, কোন সব নীতিতে চলবে- এই সব কিছুই দেখতে হবে। একাডেমির আমূল সংস্কারের দিকে আমরা যাব এখন। দেশের সংস্কার হবে, বাংলা একাডেমির সংস্কার কেন নয়?’

এ বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম জানান, ‘একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এটি স্থগিত করা হয়েছে। বাংলা একাডেমির ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি ব্যাখাও দেওয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪-এর জন্য ১০ জন কবি ও লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়। বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

পুরস্কার পেতে যাওয়া কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে ছিলেন কবিতায় মাসুদ খান, কথাসাহিত্যে সেলিম মোরশেদ, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে শুভাশিস সিনহা, প্রবন্ধ বা গদ্যে সলিমুল্লাহ খান, শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, অনুবাদে জি এইচ হাবীব, গবেষণায় মুহম্মদ শাহজাহান মিয়া, বিজ্ঞানে রেজাউর রহমান, মুক্তিযুদ্ধে মোহাম্মদ হাননান ও ফোকলোরে সৈয়দ জামিল আহমেদ।

জয়ন্ত/সিফাত/

তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে
ছবি: সংগৃহীত

ওমানে অনুষ্ঠেয় ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের পাশাপাশি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠক হতে যাচ্ছে।

ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি ওমানের রাজধানী মাস্কাটে অষ্টম ভারত মহাসাগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সমুদ্র অংশীদারত্বের নতুন দিগন্তে ভ্রমণ’।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ওমানে ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যোগ দেবেন। কনফারেন্সের পাশাপাশি দুজনের বৈঠকে বসার বিষয়ে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। এ নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে দুই দেশই কাজ করছে।

বৈঠকে আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এবং কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটেছে। গত সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে প্রথম বৈঠক করেছিলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপরও দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট টানাপোড়েন কাটেনি। এবার তৌহিদ হোসেন ও এস জয়শঙ্করের মধ্যে আসন্ন বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব বিষয়, বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে সম্প্রতি যেসব বিষয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বর্তমানে সীমান্ত উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই প্রসঙ্গটি বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রসঙ্গ, তিস্তা ইস্যু, গঙ্গা চুক্তির নবায়নসহ দুই দেশের চলমান বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় স্থান পেতে পারে।

ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সিঙ্গাপুরে ২০১৬ সালে প্রথম ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০টি দেশ যোগ দিয়েছিল। এরপর থেকে প্রতিবছর এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।