ঢাকা ২৪ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

চট্টগ্রাম পৌঁছেছে করাচিতে জরুরি অবতরণ করা বিমান

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৭ পিএম
চট্টগ্রাম পৌঁছেছে করাচিতে জরুরি অবতরণ করা বিমান
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের করাচিতে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

জেদ্দা থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট করাচি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে দুই যাত্রীকে নামিয়ে দেয়। পরে ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ফিরে আসে।

এদিকে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে না আসায় বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের স্বজনের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিলেও পরে স্বস্তি ফিরে আসে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল।

তিনি জানান, বিজি ১৩৬ জেদ্দা থেকে উড্ডয়নের পর ফ্লাইটে ফারজানা নামে এক নারী যাত্রী অসুস্থ হওয়ায় পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। করাচি বিমানবন্দরে শিশুসহ ওই নারীযাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। বেলা ১টায় ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে নিরাপদে অবতরণ করে। তিনি জানান, ওই যাত্রীর গন্তব্য ছিল ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবদুল্লাহ আল ফারুক খবরের কাগজকে বলেন, বুধবার রাত ১২টায় ফ্লাইটটি জেদ্দা থেকে রওনা দিয়েছিল। সেটি বুধবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। কিন্তু করাচিতে অসুস্থ যাত্রীকে নামিয়ে দিতে জরুরি অবতরণ করতে হয়। তাই চট্টগ্রাম পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। ফলে যাত্রীদের স্বজনরা একটু হতাশার মধ্যে পড়েছিল, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। অসুস্থ যাত্রীর চিকিৎসা তো আগে করতে হবে। 

মেহেদী

আ.লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আ.লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: বাসস

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে বর্তমান সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাসসকে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রথমত এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও এক ধরনের ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ তৎকালীন ক্ষমতাসীন ওই দলের অগণতান্ত্রিক এবং একগুয়েমী মনোভাব ও কার্যকলাপ মেনে নিতে পারেনি বলেই ৫ আগস্টের আগে ও পরে তাদের মধ্যে দলটি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমন ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার সহসাই কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক দল, যে বা যারাই হই না কেনো, আমরা এ দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ফলে ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ও চাওয়ার জায়গা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দেয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সে জায়গা থেকে বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি উঠেছে, আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাতে চাই।’

অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন,  ‘বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও চারটি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার নির্বাহী আদেশে যেকোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে এটার লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কটা (আইনি কাঠামো) কী হবে, এ বিষয়ে সরকার এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জুলাই আগস্টের গণহত্যার সঙ্গে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করা, নিবন্ধন বাতিল করাসহ যেকোনো ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করতে পারে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইনের বাস্তয়নের সঙ্গে যুক্ত, সেক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে চাই, বাংলাদশের জনগণের চাওয়া প্রতিফলন ঘটাতে সরকার এ ব্যাপারে দ্রুতই পদক্ষেপ নেবে।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছি। একটি গণঅভ্যুত্থান যারা ঘটায়, পরবর্তী প্রক্রিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা না থাকার কারণে আমরা অতীতে দেখেছি যে, অভ্যুত্থানের অর্জনগুলো সব নষ্ট হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরেও মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ বিষয়গুলো বিবেচনা করেই যারা স্বৈরাচার হটানোর আন্দোলনে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা একটি দল গঠনের চিন্তা করেছে। তাছাড়া ৫ আগস্টের পর গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া অনেকেই কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে যায়নি।’

বর্তমানে তাদের ভেতরেও রাষ্ট্র গঠনের স্পৃহা তৈরি হয়েছে। এই শক্তিটাকে সংহত করার জন্য একটা রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে আসিফ বলেন, ‘দল গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও এ দলের কোন নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে নতুন দলটির আত্মপ্রকাশের বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে বলে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি।’

ছাত্রদের নতুন দলে সরকারের কোনো প্রতিনিধি থাকবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জাবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের নীতিগত অবস্থান হলো- বর্তমান সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি যারা আছেন তাদের মধ্যে থেকে কেউ যদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে তাদের সরকারে থাকাটা ঠিক হবে না। কেউ যদি সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যায় তো অবশ্যই সরকার থেকে পদত্যাগ করে তবেই সেখানে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ এ সরকার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার দায়িত্ব নিয়েছে। পাশাপাশি দেশের সংস্কার এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার কাজ শেষ করার দায়িত্বও তাদের ওপর অর্পিত রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো ধরণের কনফ্লিক্ট যেন তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দলে তিনি থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি ভাবিনি। কিছু বিষয় পর্যালোচনা করছি। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে সবাই জানতে পারবে।’

সরকার চায় সংস্কার, রাজনৈতিক দলগুলো চায় নির্বাচন, এক্ষেত্রে বিষয়দুটি সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি উপদেষ্টা বলেন, ‘না, মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। এ বিষয়গুলোর পুরোটাই আমাদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকার স্পষ্টই একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক কাঠামো নির্মাণের দায়িত্ব নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। ৫ আগস্টের পরে মানুষের মধ্যে এই মনোভাবই ছিল যে- যেকোনো একটি রাজনৈতিক দলকে যদি ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া হয়, তবে সেও ওই একই গতানুগতিক ধারায় কাজ করবে। তবে এসব বিষয়ে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এই সরকারও ফেইস করছে। কারণ সমাজের প্রত্যেকটি কাঠামোতেই স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে।’

সংস্কার কমিশনের ছয় প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, এই রিপোর্টগুলো যথাযথ স্টেক হোল্ডারের কনসালটেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাঠ তৈরি হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দলগুলো শেখ হাসিনার সময় বলে আসছিল, বিদ্যামান কাঠামোতে নির্বাচন সম্ভব নয়, তারা এখন আবার একই বিদ্যমান কাঠামোতে নির্বাচনের কথা কোন গ্রাউন্ড থেকে বলছে এটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। সেটাও তাদেরকে স্পষ্ট করতে হবে। একই সংবিধান, আইনকানুন রেখে নির্বাচন করলে সেটা স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলের নির্বাচন থেকে কতটা আলাদা হবে সেটা আমার বোধগম্য নয়।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করে কোনো দলের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেই, তাদের জন্য সরকার চালানো কঠিন হবে। এ কারণেই ছয়টা সংস্কার কমিশনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারণ এগুলো শাসনতান্ত্রিক। বাকি সংস্কারগুলো জনস্বার্থমূলক। সেগুলোও সমান গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আমরা মনে করি, এখানে মিনিংফুল সংস্কারের মাধ্যমেই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত হতে পারে এবং সংস্কার কার্যক্রম ও আওয়ামী লীগের দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমেই নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।’

সুমন/

মিডিয়া সেন্সরশিপ নিয়ে ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনটি মিথ্যা: প্রেস উইং

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
মিডিয়া সেন্সরশিপ নিয়ে ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনটি মিথ্যা: প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশের মিডিয়া সেন্সরশিপ সম্পর্কে ইন্ডিয়া ডটকমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টস- এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আবারও তারা অন্তর্বর্তী সরকার সম্পর্কে এমন জঘন্য দাবি করছে, বাস্তবতার সঙ্গে যার কোনও সম্পর্ক নেই।’ 

ভারতীয় গণমাধ্যমে এবার দাবি করা হচ্ছে যে, দরিদ্রদের জন্য যোদ্ধা হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্সরশিপের এক ভয়াবহ অভিযান শুরু করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিবেদনে কোনও সূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি এবং কোনও বিবরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।’ 

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, তারা বর্তমান গণমাধ্যমের ওপর সেন্সরশিপের কোনও প্রক্রিয়া শুরু করেনি এবং এ ধরনের কোন ইচ্ছাও তাদের নেই।

বিবৃতি অনুসারে, মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ইউনূসকে আরও জানিয়েছে যে, তারা হাসিনার শাসনামলের কিছু বিতর্কিত কনটেন্ট তাদের আর্কাইভ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং সহিংসতা উসকে দিতে পারে এমন মিডিয়া কনটেন্ট অপসারণের জন্য তারা যথাযথ ও আইনি দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। সূত্র: বাসস

এমএ/

গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই: ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই: ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী
এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত 'জনগণের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা। ছবি: খবরের কাগজ

দ্রুত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। যার কারণে রাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলো ভেঙ্গে পড়ে। গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হলে, জনগণ অধিকার বঞ্চিত হবেই। শোষিত শাসকদের হাতে যুগ যুগ ধরে জনগণ অধিকার বঞ্চিত হয়েছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থা আয়োজিত 'জনগণের প্রত্যাশা, আগামীর বাংলাদেশ ও মানবাধিকার বিষয়ক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান দেশের অশান্তি বিরাজ করছে একমাত্র নির্বাচিত সরকার না থাকার কারণে। তবে ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১৪, ১৮ ও ২৪-এর নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে জনগণকে গণতন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। সরকারকে মনে রাখতে হবে গণতান্ত্রিক সমাজ মানেই সর্বস্তরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন গণতন্ত্র চাই, ভোটের অধিকার এবং আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা চাই। তাছাড়া নির্বাচনে যেন দিনের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয় এবং এই ভোটের মাধ্যমে দেশে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র যেন ফিরে আসে সেটাই চায় জনগণ।’

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নামান্তর স্বাধীনতা দিয়েই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।’

এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার উপদেষ্টা ও ঢাকা গ্রিন ওয়াচের সম্পাদক সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বেপারি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুক্তরাষ্ট্র শাখা) এ.এস.এম রহমত উল্লাহ, লেখক ও কলামিস্ট কালাম ফয়েজী ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্মের মোজাম্মেল হোসেন শাহীন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

হরিণাকুণ্ডুতে শেখ মুজিবের ২ ম্যুরাল ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
হরিণাকুণ্ডুতে শেখ মুজিবের ২ ম্যুরাল ভাঙচুর
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি ম্যুরাল ভাংচুর করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। ছবি: খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে শেখ মুজিবুর রহমানের দুটি ম্যুরাল ভাঙচুর করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের সামনে ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ভেতরে শেখ মুজিবের দুটি ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেন তারা। 


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সমবেত হন। 

সে সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বুলডোজার দিয়ে ম্যুরাল দুটি ভেঙে দেন। 

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবের কোনো ম্যুরাল বা ভাস্কর্য রাখা হবে না। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ না করে তা হলে রবিবারের (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে।’

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে ফ্যাসিস্টদের কোনো ভাস্কর্য থাকতে পারে না। যদি থাকে, তা হলে নতুনভাবে পাওয়া স্বাধীনতার সম্মান রক্ষা হয় না। এ দেশে আর ফ্যাসিজম কায়েম হবে না। তাই এ ভাস্কর্যগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’

এদিকে ম্যুরাল ভাঙচুর করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

মাহফুজুর/পপি/

দেশের বৃহত্তম মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
দেশের বৃহত্তম মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরাল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালীগঞ্জের বারোবাজারের শমশেরনগরে অবস্থিত ম্যুরালটি ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করেন তারা। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কালীগঞ্জের কাষ্ঠভাঙ্গা ইউনিয়নের শমশেরনগর গ্রামে কয়েক বছর আগে ১২৩ ফুট উচ্চতার ‘দ্য স্ট্যাচু অব লিবার্টি অ্যান্ড ফ্রিডম’ নামে একটি টাওয়ার তৈরি করা হয়। শমশেরনগর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমশের এটি তৈরি করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে এ ম্যুরাল ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করেন। এর পর ভাঙা ম্যুর‌ালটি বারোবাজার শহরে নিয়ে সড়কের ওপরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক হোসাইন আহমেদ বলেন,  ‘খুনি শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ম্যুরাল বা স্থাপনা এ দেশে থাকবে না। বাংলার জমিনে কোনো ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না। এ জন্য শেখ মুজিবের ওই ম্যুরালগুলো করে ভেঙে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ম্যুরাল ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার সময় শত শত ছাত্র-জনতা অংশ নেন।’

মাহফুজুর/পপি/