ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

নির্বাচিত সরকার ভালোভাবে দেশ চালাবে, বিশ্বাস ৭৯ শতাংশ মানুষের

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ পিএম
নির্বাচিত সরকার ভালোভাবে দেশ চালাবে, বিশ্বাস ৭৯ শতাংশ মানুষের
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারবে বলে মনে করেন দেশের ৭৯ শতাংশ মানুষ। আর রাজনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে অভিমত ৫৬ শতাংশ মানুষের।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিআইবিতে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ: মানুষ কী ভাবছেন’ শীর্ষক সভায় উপস্থাপিত জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য জানানো হয়। জরিপটি পরিচালনা করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)। ‘পালস সার্ভে দ্বিতীয় ধাপ: অক্টোবর ২০২৪’ শীর্ষক এই জরিপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নানা বিষয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৪ হাজার ১৫৮ জনের মতামত নেওয়া হয়।

জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, ৫৬ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করেন দেশ রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছে। ৩৪ শতাংশ মনে করে ভুল পথে যাচ্ছে। অপরদিকে ৫২ শতাংশ মনে করে অর্থনৈতিকভাবে দেশ সঠিক পথে নেই। ৪৩ শতাংশের মত সঠিক পথে রয়েছে। এই বিষয়ে গত আগস্ট মাসে মানুষের যে প্রত্যাশা ছিল সে তুলনায় হতাশা প্রকাশ পেয়েছে। এ ছাড়া ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন সহনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ৩১ শতাংশ মনে করে হ্রাস পেয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করেন এই সরকারের মেয়াদ দুই বছর হওয়া উচিত। ৪৬ শতাংশের অভিমত এক বছর। আর তিন বছর থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন ২৪ শতাংশ মানুষ, যা আগস্ট মাসে ছিল ৩৮ শতাংশ। ৪৬ শতাংশ মনে করে সরকার জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। ৫৬ শতাংশ মনে করে সরকার দৃঢ়ভাবে দেশ চালাচ্ছে। তবে ৩৯ শতাংশ ভিন্নমত পোষণ করে। ৭৯ শতাংশ মানুষ অভিমত দেন যে, নির্বাচিত একটি রাজনৈতিক সরকার অন্তর্বর্তী সরকারের চেয়ে দেশ ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে। ১৫ শতাংশ এই মতের বিপক্ষে অবস্থান নেন।

অপরদিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ১৬ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে, ১১ শতাংশ জামায়াতে ইসলামীকে এবং ৯ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। ৩৮ শতাংশ মানুষ এখনো ভোট দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। আর ৪০ শতাংশ মানুষ শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক দল গঠন করলে তাদের ভোট দেবেন বলে মত দিয়েছেন।

জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত সময়কালে একাধিক জটিল সমস্যার সমাধান করা অত্যন্ত কঠিন বটে। তবে আমরা সবাই মিলে দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা চায়, যাতে তারা বুঝতে পারে সরকার কীভাবে এবং কী কী কাজ করে দেশের উন্নতি করবে।

পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, অভ্যুত্থানের পর জনগণের উচ্ছ্বাস তাদের প্রত্যাশাকেও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার কারণে জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। জনমনে এত প্রত্যাশা জন্মানোর পেছনে সরকারের বার্তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং এই বার্তা পুনর্মূল্যায়ন করা জরুরি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) পরিচালক ড. আহমেদ আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ সোমবার থেকে

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ সোমবার থেকে
ছবি: সংগৃহীত

ভোটার তালিকা হালনাগাদে আগামী সোমবার (২০ জানুযারি) থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্প্রতি ইসির জারি করা একটি পরিপত্রে এসব তথ্য জানানো হয়। 

ইসি সূত্র জানায়, হালনাগাদকালে যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবেন ইসির মাঠকর্মীরা। এ ছাড়া বিগত দিনে বাদ পড়াদের অন্তর্ভুক্ত, মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়াসহ বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের কাজ করা হবে। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন কেন্দ্রে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক গ্রহণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিলের মধ্যে উপজেলা ও থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারদের নাম কর্তনের তথ্যাদি এবং নতুন ভোটারের তথ্য আপলোড করা হবে। আইন অনুযায়ী, এসব নতুন ভোটারের তথ্য আগামী ২০২৬ সালের ২ জানুয়ারি তালিকায় যুক্ত হবে। এরপর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী বছরের ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে ইসি।

এসব বিষয়ে শনিবার (১৮ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের এই কার্যক্রমে ইসিকে ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করবে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। আজ রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে সরঞ্জামগুলো হস্তান্তর করবে সংস্থাটি। তাদের ল্যাপটপ ও স্ক্যানার দিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ছবি তুলতে ও চোখের আইরিশ এবং ১০ আঙুলের ছাপ নিতে কাজে লাগানো হবে।

এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ইসির কী ধরনের সহায়তা লাগবে, সে বিষয়ে বৈঠক করে নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, মাঠকর্মীরা ভোটারদের যেসব তথ্য আনবেন, সেসব তথ্য কাস্টমাইজেশনে ইসিকে সহায়তা করবে ইউএনডিপি। এ ছাড়া এই কাজে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন, যোগাযোগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা করবে সংস্থাটি। এর আগেও প্রায় ২০ বছর ধরে বাংলাদেশের নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ও নির্বাচনি সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করে আসছে ইউএনডিপি। এই সময়ে এ দেশের অনুষ্ঠিত হওয়া সব নির্বাচনে (৪টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন) আর্থিক ও কারিগরিসহ নানা কাজে উন্নয়ন সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে ইউএনডিপি।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজের জন্য ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা, সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেয় নির্বাচন কমিশন।

এ বিষয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় মোট ৬৬ হাজার জনকে। তাদের মধ্যে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা ও সহকারী উপজেলা এবং অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রয়েছেন ১ হাজার ১৮ জন।

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ তালিকায় নতুন ১৮ লাখ ভোটারকে যুক্ত করা হয়। এর ফলে দেশের মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জনে।

সীমান্তে উত্তেজনা জিরো পয়েন্ট এড়িয়ে চলার আহ্বান বিজিবির

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৯ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
জিরো পয়েন্ট এড়িয়ে চলার আহ্বান বিজিবির
বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। ছবি: ইউএনবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনার পর জিরো পয়েন্টে না যেতে দেশের নাগরিকদের প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক ও বিএসএফ সদস্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সীমান্তে জড়ো হতে থাকেন স্থানীয়রা। ফলে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ সময় দুই দেশের নাগরিকের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ সদস্যরা হঠাৎ করেই কাঁটাতারের বেড়ার পাশে ৫ শতাধিক ভারতীয় নাগরিক নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তারা বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় একাধিক ককটেলও ফাটান তারা। পাশাপাশি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেন বিএসএফ সদস্যরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাদেশের ভেতরে লাগানো বেশ কিছু আম গাছ কেটে নষ্ট করা হয়েছে।

এ খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন বিজিবি সদস্যরা। এ বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, বাংলাদেশিদের আম গাছ কাটা নিয়ে সীমান্তের দুই পাশের জনগণের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তবে এই সময়ে বাংলাদেশি সাধারণ নাগরিকদের সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে না যেতে আহ্বান জানান তিনি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিএসএফ সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, যাতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হয়েছে। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে এবং বিষয়টি বিজিবির উচ্চপর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতীয় নাগরিকরা যে আম গাছ কেটে ফেলেছে, এজন্য বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।’

এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি চৌকা সীমান্তে আইন অমান্য করে বিএসএফের পক্ষ থেকে শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করলে বিজিবি বাধা দেয়। এতে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর দশ দিন যেতে না যেতেই সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল। সূত্র: ইউএনবি

এমএ/

আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের ৬৫ শতাংশই টিনএজ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের ৬৫ শতাংশই টিনএজ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দেশে গত বছর ৩১০ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা করা এসব শিক্ষার্থীর শতকরা ৬৫ শতাংশই ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী। আর পুরুষ শিক্ষার্থীদের তুলনায় নারী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৬১ শতাংশ নারী, ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গ ও ট্রান্সজেন্ডার।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে আঁচল ফাউন্ডেশন। ‘২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরি’ শীর্ষক এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ গলায় ফাঁস দিয়ে, ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বিষপানে এবং ৪ দশমিক ৬ শতাংশ অন্যভাবে আত্মহত্যা করেছে।

আত্মহত্যার শীর্ষ কারণগুলোর মধ্যে অভিমানে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ, রোমান্টিক সম্পর্কের কারণে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ, একাডেমিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং মানসিক অস্থিরতায় আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে আত্মহত্যা একটি ক্রমবর্ধমান সামাজিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। সামাজিক ও ধর্মীয়ভাবে আত্মহত্যাকে নিষিদ্ধ এবং ঘৃণার চোখে দেখা হলেও প্রতিবছরই আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ অপসংস্কৃতির প্রভাব খুব বেশি। প্রতিবছরের মতো এ বছরও আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের সদস্যরা দেশের জাতীয় ও স্থানীয় ১০৫টিরও বেশি সংবাদপত্রে প্রকাশিত আত্মহত্যার সংবাদের তথ্য খুঁজে পান।

সংবাদ সম্মেলনে আঁচল ফাউন্ডেশনের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ইউনিটের টিম লিডার শেখ রফিকউজ্জামান বলেন, ‘২০২২ সালে দেশে আত্মহত্যাকারী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৫৩২ জন এবং ২০২৩ সালে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ৫১৩ জন এবং ২০২৪ সালে ৩১০ জন। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আত্মহত্যা-সম্পর্কিত খবর গণমাধ্যমে কম এসেছে বলেই আমাদের গবেষকরা মনে করছেন। নারী শিক্ষার্থীরা সাধারণত আত্মহত্যার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই মানসিক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সহযোগিতা নারীদের জন্য আরও বেশি প্রয়োজন।’

প্রতিবেদনে দেখা যায়, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে প্রাথমিকে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, মাধ্যমিকে ৪৬ দশমিক ১ শতাংশ, উচ্চমাধ্যমিকে ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ এবং স্নাতক পর্যায়ে ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী রয়েছে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তরে ১ দশমিক ৯ শতাংশ, ডিপ্লোমায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং সদ্য পড়াশোনা শেষ করা শিক্ষিত তবে বেকার শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।

শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা নিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট নিয়ে পরিবার, সরকার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও সচেতন নয়। প্রতিনিয়ত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও আমরা তত গুরুত্বের সঙ্গে নিই না, যার কারণে আত্মহত্যার হার কমছে না।’

বেসরকারিভাবে কিছু কাজ হলেও সরকারিভাবে খুব বেশি কাজ হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেরাই মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে না। সরকারের কাছে আবেদন জানাই, দ্রুত গতিতে যেন দেশব্যাপী মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়।’

আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশন ১৪টি সুপারিশ করেছে। সেগুলো হলো মানসিক স্বাস্থ্য অ্যাম্বাসেডর প্রোগ্রাম, বন্ধু সহযোগিতা গ্রুপ গঠন, লাইফ স্কিলস ওয়ার্কশপ আয়োজন, গেমিফিকেশন টেকনিক, ফিলিংস অ্যালার্ম সিস্টেম চালু করা, পারিবারিক কাউন্সেলিং প্রোগ্রাম, সৃজনশীল থেরাপি ক্লাস, ডিজিটাল মেন্টাল হেলথ ক্যাম্পেইন, রিভারসাইড হেলথ রিট্রিট পরিকল্পনা, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির স্কলারশিপ, আত্মহত্যা প্রতিরোধ গবেষণা তহবিল, জীবন সংরক্ষণ প্রতিশ্রুতি দিবস, কৃতজ্ঞতা চর্চা সেশন ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপেন হেল্প লাইন চালু করা।

শেখ হাসিনাকে বিচারের সম্মুখীন করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
শেখ হাসিনাকে বিচারের সম্মুখীন করা সরকারের প্রধান দায়িত্ব: প্রেস সচিব
ইবিতে ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করা। আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে দেশে এনে বিচার করা হবে। জাস্টিস অ্যান্ড একাউন্টিবিলিটি নিশ্চিতে গুম, খুন, গণহত্যার বিচারের কাজ চলমান রয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ইবিসাস) যৌথভাবে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে তার বাবার খুনিদের খুঁজে-খুঁজে দেশে এনেছে, আমরাও সেভাবে জুলাই আন্দোলনের খুনিদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করব। জুলাই বিপ্লবের জনআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রত্যাশিত রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই ইমেজ বিশ্বকে জানাতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ইতিহাস সংরক্ষণে কাজ করতে হবে। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়য়ের যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম স্বৈরাচারের নামে রয়ে গেছে সেগুলো পরিবর্তন করে শহিদদের নামে করার আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রেস সচিব বলেন, দেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ করার বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে। জুলাই আন্দোলনের ফসল কমিশনের রিপোর্ট। আপনারা এগুলো পড়ুন ও ক্যাম্পাসে এসব নিয়ে বিতর্ক করুন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ সংবাদদাতা এস এম রাশিদুল ইসলাম।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িম। সূত্র: বাসস

এমএ/

ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৮ পিএম
ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার: জ্বালানি উপদেষ্টা
চট্টগ্রামে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জ্বালানি উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

সজনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) পতেঙ্গায় চিটাগং বোট ক্লাবে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের বেসরকারি চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির (সিআইইউ) সমাবর্তন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

এ সময় তিনি রাষ্ট্রপতির পক্ষে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সফল ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানান।

তিনি বলেন, সব শিক্ষা ক্লাস রুম থেকে পাওয়া যায় না। কিছু শিক্ষা পরিবেশ প্রকৃতি থেকে অর্জন করতে হয়৷ আপনারা গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন। আপনাদের প্রতিষ্ঠান পড়ালেখার পাশাপাশি সততা ও মূল্যবোধের শিক্ষা দিয়েছে। যা আপনারা কর্মজীবনে কাজে লাগাবেন। নিজেকে প্রমাণ করার ক্ষেত্র হল কর্মজীবন। একইসঙ্গে অন্যের জন্য কাজ করার মানসিকতাও তৈরি করতে হবে।

ক্রিয়েটিভ এবং কম্পিউটারে দক্ষ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিগ্রি থাকলেও কিন্তু মার্কেটে তোমাকে প্রমাণ করতে হবে।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, 'বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ তাদের ভোট দিতে পারেনি। মানুষের সেই হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে জুলাই অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।' বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার কাজও চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। আমাদের সরকারের মেয়াদ ৫ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে আপনারা দেখেছেন আমরা শতভাগ জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ করার চেষ্টা করছি। কারণ বর্তমান সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। তাই আমরা সব ধরণের বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সংস্কার কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।

সমাবর্তনে শিল্পগ্রুপ ইয়ংওয়ান করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী (সিইও) কিহাক সুাং তার বক্তব্যে বলেন, আজ যারা গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন আপনাদের সামনে রয়েছে একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ। কঠোর পরিশ্রম, ধৈর্য্য ও সহনশীলতার মাধ্যমে আপনারা নিজেদের যোগ্য লিডার হিসেবে গড়ে তুলবেন। এটা আপনার বিশ্ব। এ বিশ্বকে শাসন করার যে সুযোগ পেয়েছেন তা কাজে লাগাবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোরিয়ায় আমি বাংলাদেশি হিসেবে পরিচিত। আর চট্টগ্রামে চিটাগনিয়ান হিসেবে। চট্টগ্রামবাসীর কারণেই আমাদের সক্ষমতা হয়েছে। আমি নিজেকে চট্টগ্রামের মানুষ ভেবে গর্ববোধ করি। কোরিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করছে এ অ্যাপারেলস সেক্টর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে তোমরা আলো ছড়াবে। দক্ষ লিডারশিপের মাধ্যমে দেশকে নেতৃত্ব দিবে। পুরো বিশ্ব তোমাদের সামনে। নেতৃত্ব দিতে হবে তোমাদের।

সিআইইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীর মোহাম্মদ নুরুল আবসারের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নুরুন আখতার, সিআইইউর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্ট এডুকেশন, সায়েন্স, টেকনোলজি অ্যান্ড কালচারাল ডেভেলপম্যান্ট ট্রাস্ট (ইসটিসিডিটি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া খান, সিআইইউ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব প্রমুখ।

সিআইইউ’র বিভিন্ন অনুষদের মোট ২ হাজার ১৮৯ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। তারমধ্যে ১ হাজার ৪৫২ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রকৌশল, আইন এবং লিবারেল আর্টস অনুষদ থেকে পাস করা স্নাতক এবং ৭৩৭ জন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে তাদের স্ব স্ব প্রোগ্রামে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ‘টপ অ্যাচিভার্স’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

মেহেদী/