ঢাকা ৫ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

বিএসএমএমইউতে মাহবুব উর রাহমানের মরণোত্তর দেহদান

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
বিএসএমএমইউতে মাহবুব উর রাহমানের মরণোত্তর দেহদান
বিএসএমএমইউতে মাহবুব উর রাহমানের মরণোত্তর দেহদান। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাহবুব উর রাহমানের (৭৪) মরণোত্তর দেহদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় তার ছেলে জ্যোতির্ময় রহমান ও মেয়ে উজ্জয়ী রহমান  দেহ হস্তান্তর করেন।

বিএসএমএমইউ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম এবং এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। 

এমবামিং প্রক্রিয়া শুরুর প্রাক্কালে এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিনের পরিচালনায় এবং এনাটমি বিভাগের সকল শিক্ষক, কর্মচারী ও রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়। 

উপাচার্য এই ধরণের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। মরণোত্তর দেহ দানকারী মাহবুব উর রাহমানের ছেলে জ্যোতির্ময় রহমান ও মেয়ে উজ্জয়ী রহমানসহ পরিবারের সবাইকে এই ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দেশের সকল মানুষের প্রতি এরকম মহতী কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরিফ সাওন/নাবিল/এমএ/

সরকার একা পলিথিনবিরোধী যুদ্ধে জিততে পারবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
সরকার একা পলিথিনবিরোধী যুদ্ধে জিততে পারবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা
পলিথিন বিরোধী ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি: খবরের কাগজ

জনগণ যদি আচরণ পরিবর্তন না করে তাহলে সরকার একা পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় লাভ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বন, পরিবেশ ও জলাবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বিকল্প হিসেবে চটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ ইত্যাদির ব্যবহার বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পলিথিন-প্লাস্টিক সস্তা নয় বরং পলিথিন-প্লাস্টিক জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় নগরের থিয়েটার ইন্সটিটিউটে পলিথিন বিরোধী ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

এরপর তিনি নগরের কাজির দেউড়িস্থ সিডিএ কাঁচাবাজার পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।

দোকানে থাকা পলিপ্রোপাইলিনের ব্যাগগুলো আলাদা করে রেখে এগুলো সরবরাহকারী কোম্পানিকে ফেরত দিতে বিক্রেতাদের নির্দেশনা দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, পলিপ্রোপাইলিনও প্লাস্টিক। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া কোম্পানির দায়িত্ব।

পলিথিন ব্যবহারকারীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য আপনারা সরকারকে দায়ী করেন, কিন্তু এর জন্য আপনারা দায়ী। আপনারা নিজেরা পলিথিন-প্লাস্টিক ব্যবহার করবেন, এখানে সেখানে ফেলবেন, আর সরকারকে বলবেন সাফ করে দাও তাই কি হয়? 

জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আপনাদের জন্য আমরা ৮ হাজার কোটি টাকা আনছি। এই টাকা অলরেডি পানিতে চলে গেছে। আমরা যদি এই টাকাটা নদী ভাঙনের এলাকার মানুষকে দিতাম তাদেরকে আমরা বাঁচাতে পারতাম। পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে পারলে চট্টগ্রামের মানুষ আর কোনদিন সরকারকে জলাবদ্ধতার কথা বলবে না।'

বিক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনাদের তিনটি কাজ। চটের ব্যাগ ব্যবহার করবেন, রাখবেন এবং ক্রেতাদের দিয়ে দেবেন। বলবেন, অনেকবার ব্যবহার করা যাবে। আর এই নাইলন, পলিথিন, পলিপ্রোপাইলিন, নেট ব্যবহার করা যাবে না। আইন হয় জনগণের স্বার্থে। এটা দেশের আইন। মানতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, ' পলিথিন, প্লাস্টিক মাটিতে মেশে না। একটা পলিথিন ব্যাগ ১০০ বছরেও নষ্ট হবে না। এর জন্য গোটা চট্টগ্রামের মানুষ পানির নিচে থাকবে। আমাদের লবণের মধ্যে, মাছের মধ্যে, মায়ের দুধে, ব্রেইনে, রক্তে প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। খাবারে মাধ্যমে প্লাস্টিক আপনার শরীরে ঢুকছে। আপনি পলিথিন না নিলে কোম্পানি আর বানাবে না। আপনি নেন বলেই তারা বানায়।'

পলিথিন বিষয়ে সবার প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, 'প্রথম এক মাস আমরা মনিটরিং করব, সচেতনতার মধ্য দিয়ে নিব। আমাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজন আসবেন। দেখবেন, আপনারা কী করছেন। এরপর আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে আমরা জরিমানাও করব, জব্দও করব।'

মনির/সিফাত/

আব্দুস শহীদ ও স্ত্রীসহ কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
আব্দুস শহীদ ও স্ত্রীসহ কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার ও তার স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাত কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। এ ছাড়া নিজ ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮টি হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করেছেন। টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, সাত কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রেখেছেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদ। এ ছাড়া নিজ ও তার প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে ১৮টি হিসাবে মোট ২৬ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা সন্দেহজনকভাবে লেনদেন করেছেন। টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তর করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আর তার স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে ৩৯ লাখ ২২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ছাড়া তার নামে-বেনামে আরও সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ছাড়া কবির বিন আনোয়ারের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দুই কোটি ৮৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। এর বাইরেও তার ৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দুদক। তৌফিকা আহমেদ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৪ কোটি ৫৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ করছে দুদক। তার ৬টি ব্যাংক হিসাবে সাত কোটি ৭৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং ২২ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে অবৈধ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কবির বিন আনোয়ার সরকারী কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার অবৈধ অর্থ বৈধ করতে স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের নামে সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে সহায়তা করেছেন। যে কারণে তৌফিকা আহমেদ ও কবির বিন আনোয়ারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। সূত্র: ইউএনবি

সালমান/

এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর

২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে রয়েছেন। 

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এবছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন। ভর্তি পরীক্ষার পাশ নম্বর ৪০। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ জন উত্তীর্ণ হন। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। ছেলে পরীক্ষার্থী পাশ করেছেন ২২ হাজার ১৫৯ জন। যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

উত্তীর্ণ মেয়ে পরীক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন। যা উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৭ জানুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। 

'বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল' প্রণীত নীতিমালার শর্তানুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও এসএসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ হতে প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীদের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল ব্যতিত দেশের সমতল অঞ্চলের উপজাতীয় কোটার (কোড নং ৭৭) শিক্ষার্থীদের তালিকা কোটার স্বপক্ষে সনদ/প্রমাণসমূহ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইয়ান্তে পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, সরকারি মেডিকেল কলেজে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়সীমা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে।

আরিফ সাওন/এমএ/

ডব্লিউএইচও থেকে পুতুলকে সরাতে দুদকের চিঠি

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
ডব্লিউএইচও থেকে পুতুলকে সরাতে দুদকের চিঠি
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এই চিঠি পাঠানো হয়।

গত ১৫ জানুয়ারি দুর্নীতির মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক বানাতে তিনি (শেখ হাসিনা) ক্ষমতাকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন। এ অভিযোগের প্রাথমিক তথ্য যাচাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অমিয়/

হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারে অগ্রাধিকার দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার: প্রেস সচিব
বক্তব্য রাখছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি : সংগৃহীত

হত্যা ও গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনাকে অন্তর্বর্তী সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে (পিআইবি) কৃষি সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শফিউল তিনি এ কথা বলেন।

ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে চলছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ গুম করা হয়েছে এবং প্রায় দুই হাজার যুবক খুনের শিকার হয়েছেন।

নির্বাচনের সময়সীমা ঐকমত্যের অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তবে নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ওপর।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার গুজব নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘দল নিষিদ্ধ করার কোনো ইচ্ছা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। রাজনৈতিক দলগুলোকেই এসব বিষয়ে সমাধান করতে হবে। তবে, আওয়ামী লীগ জাতির কাছে দুঃখ প্রকাশের পরিবর্তে অবিরত মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।’

এ সময় প্রেস সচিব মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা এবং দ্রব্যমূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের মাধ্যমে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে সরকারের প্রচেষ্টাগুলোকেও তুলে ধরেন। তাছাড়া এই সাফল্যের পিছনে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং বাজার সিন্ডিকেট প্রতিহত করার পদক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেন।

ভুল উৎপাদন তথ্য দিয়ে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির জন্যও শেখ হাসিনার সরকারের সমালোচনা করেন শফিউল আলম বলেন, ‘সরকারি প্রতিবেদনে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্তের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে বাস্তব পরিসংখ্যান মেলেনি। এই মিথ্যা রেকর্ডগুলো খাদ্যের দাম বাড়াতে ভূমিকা রেখেছিল। কারণ, ব্যবসায়ীরা প্রকৃত উৎপাদনের মাত্রা সম্পর্কে জানতেন।’

শফিউল আলম বলেন, গত বছর অতিরিক্ত চাল উৎপাদনের দাবি করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এক কোটি ২৫ লাখ টন চাল আমদানি করেছে। 

ঐতিহাসিক তুলনা টেনে তিনি বলেন, ‘১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মিথ্যা দাবি করার কারণে জাতি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল।’

অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে, মুদ্রাস্ফীতি এবং জিডিপি পরিসংখ্যানকে হেরফের করায় ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি করেছিল। সঠিক তথ্য প্রকাশের ফলে নাগরিকরা একটি টেকসই অর্থনীতি এবং কৃষির সুবিধা পেতে সক্ষম হবে।’

সরকারি খাতের বেতন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম। ‘মহার্ঘ ভাতা এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ।’

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেও আয়বৈষম্য হ্রাস করতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সরকার দেশের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদা পূরণের জন্য একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং টেকসই কৃষি ব্যবস্থাপনা তৈরির দিকে মনোনিবেশ করছে। সূত্র: ইউএনবি

অমিয়/