রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনার মামলায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), পল্লবী থানার ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), পল্লবী থানার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ এলাকার আবু তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ভিকটিম আকরামের পিতা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়।
সূত্র জানায়, তদন্তাধীন এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মিরপুর ১১ থেকে আকরাম খান রাব্বী হত্যা মামলায় জড়িত আসামি মো. মামুন ও মো. সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বিকালে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ এর পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন ভিকটিম মো. আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। পরবর্তী সময়ে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ঘটনায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে হামলার ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান খবরের কাগজকে জানান, আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আল-আমীন/মাহফুজ/এমএ/