ঢাকা ১২ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ পিএম
গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ, র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্যরা। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগের শাসনামলের বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। শনিবার বিকেলে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের (দ্য কমিশন অব ইনকোয়ারি অন এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স) সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের ঘটনার নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র‌্যাবকে বিলুপ্তির সুপারিশ করা হয়েছে। 

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’ শিরোনামে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কমিশন সদস্যরা এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ১ হাজার ৬৭৬টি অভিযোগের মধ্যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তারা তিন মাস পর মার্চে আরও একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেবেন। কাজটি শেষ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে কমপক্ষে আরও এক বছর সময় প্রয়োজন বলেও এ সময় জানান গুম কমিশনের প্রধান। 

প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় কমিশনের প্রধান ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সমাজ কল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, গুমের ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং সাবেক এসবিপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও ডিএমপির সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। গুমের এসব ঘটনায় বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুসহ র‌্যাব বিলুপ্তিরও সুপারিশ করেছে গুম কমিশন। 

প্রধান উপদেষ্টা গুম কমিশনের সদস্যদের তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি এ সময় গুম কমিশনকে কাজটি এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। 

এ বিষয়ে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনপ্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী আরও জানান, গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা কাজটি এমনভাবে করেছেন, যাতে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন হয়ে যায়। বিভিন্ন ফোর্স নিজেদের মধ্যে ভিকটিম বিনিময় করেছে এবং পরিকল্পনা ভিন্ন ভিন্নভাবে বাস্তবায়ন করেছে। তিনি জানান, গুমের শিকার অনেকে এখনো শঙ্কামুক্ত হতে পারছেন না। তাদের ওপর এতটাই ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়েছিল যে তারা এখনো ট্রমায় ভুগছেন। 

প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ বক্তব্যে গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও সঠিক বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর এ ধরনের ঘটনার রিপোর্টের সংখ্যা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে কমিশনের সদস্যরা অধ্যাপক ইউনূসকে আয়নাঘর পরিদর্শনের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, ‘আপনি আয়নাঘর পরিদর্শন করলে ভিকটিমরা অভয় পেতে পারেন।’ প্রধান উপদেষ্টা তাদের এ অনুরোধে সম্মতি দিয়ে জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল, যা আয়নাঘর নামে পরিচিতি পেয়েছে সেগুলো দেখতে যাবেন। 

গুম কমিশন গঠন প্রক্রিয়া

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি ওঠে। এরই মধ্যে গোপন বন্দিশালা বা তথাকথিত আয়নাঘর থেকে অনেকেই দীর্ঘদিন পর মুক্ত হন। এতে করে গুমের তদন্ত ও বিচারের দাবি আরও তুঙ্গে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ওই কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর সরকার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এই কমিশনের কাছে ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগী নিজে অথবা পরিবারের কোনো সদস্য বা আত্মীয়স্বজন কিংবা গুমের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এরপর অপর এক প্রজ্ঞাপনে এই কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। 

কমিশনের আওতাধীন কর্মপরিধি

প্রজ্ঞাপনে বেসামরিক বাহিনীর পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত ঘটনাকেও কমিশনের তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ পুলিশ, র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলপ্রয়োগকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্য কর্তৃক জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের নিমিত্তে কমিশনটি গঠন করা হয়েছে।’

যে উদ্দেশ্যে গুম তদন্ত কমিশন

২০১০-এর ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত করা এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল সেটা নির্ধারণ করাই এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য বলে জানা যায়। জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা এবং এ ব্যাপারে সুপারিশ প্রদান, গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে আত্মীয়স্বজনকে অবহিত করা ও গুমের ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করা।

অভিযোগ ওঠা কর্মকর্তাদের বক্তব্য নিয়েছে কমিশন

গুমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দিষ্ট কিছু কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য গ্রহণ করেছে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। সুনির্দিষ্ট সংখ্যা না বলা হলেও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সদস্য ছিলেন। প্রাথমিকভাবে গুমের সঙ্গে ডিজিএফআই, র‌্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, সিআইডি ও পুলিশের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলেও জানান গুম কমিশনের তদন্তসংশ্লিরা।

মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ আর নেই

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৯ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৫ এএম
মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ আর নেই
সেক্টর কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম)

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ (বীর উত্তম) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।

জানা গেছে, সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করেন। 

মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন কে এম সফিউল্লাহ। 

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন তিনি।

১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

অমিয়/

পদোন্নতি পেলেন ১৪ যুগ্ম জেলা জজ

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ এএম
পদোন্নতি পেলেন ১৪ যুগ্ম জেলা জজ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ১৪ জন যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতি দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

পদোন্নতি পাওয়া জজরা হলেন-এস, এম, মাসুদ আমান, বেগম সেলিনা আক্তার, বেগম ফারহানা ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আব্দুল হাই, অসীম কুমার দে, বেগম খালেদা ইয়াসমিন, আব্দুল কুদ্দুস, মোছা. রুবিনা পারভীন, বেগম সানজিদা আফরীন দীবা, মো. আব্দুল্লল্লাহ আল মামুন, মো. কামরুজ্জামান মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন, মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন ইকবাল এবং মো. শাহিনুর রহমান।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ এর সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

মেহেদী/

দূষিত বাতাসের নগরীতে প্রথম লাহোর, ঢাকা তৃতীয়

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৯ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
দূষিত বাতাসের নগরীতে প্রথম লাহোর, ঢাকা তৃতীয়
ঢাকা। ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় আজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ১৪টা মিনিটে ঢাকার বাতাসে একিউআই স্কোর ছিল ১৯৬।

তাই ঢাকার বাতাস আজ অস্বাস্থ্যকর।

একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ২৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম এবং করাচি ২০৪ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/

অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
অর্থনীতি শক্তিশালী করতে কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত ও শক্তিশালী করে সমৃদ্ধ রাজস্ব ভাণ্ডার গঠনে বাংলাদেশ কাস্টমস অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘পরিবর্তিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি মনে করি বাংলাদেশ কাস্টমস আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ ও পণ্যের নিরাপদ সরবরাহের নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘বর্তমানে বৈশ্বিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি, বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল প্রযুক্তিনির্ভর উপায়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের দ্রুত পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও খালাস নিশ্চিত করবে। ফলে পণ্যের সাপ্লাই চেইন সুসংহত হবে এবং নিশ্চিত হবে দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি’ -মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ডব্লিউসিও- ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন-এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালন করছে।’’

বাংলাদেশ কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা ও অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দেশীয় শিল্প ও বাজার সুরক্ষাসহ দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ কাস্টমসের অনন্য ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ কাস্টমসের দক্ষ জনবল দেশের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিতের পাশাপাশি দেশের পরিবেশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথ্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দেশের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন সাধন করে আসছে। এ প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি কাস্টমস দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘কাস্টমস ডেলিভারিং অন ইটস কমিটমেন্ট টু ইফিসিয়েন্সি, সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রসপারিটি’- অত্যন্ত সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ।’’

তিনি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২৫’ এর সাফল্য কামনা করেন।

অমিয়/

শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আইএলওর সহযোগিতা কাম্য: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ এএম
শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আইএলওর সহযোগিতা কাম্য: শ্রম উপদেষ্টা
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের শ্রম খাতকে শক্তিশালী করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতা একান্ত কাম্য বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। 

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের ঢালি আম্বার নিবাসে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শ্রম সেক্টরে একটি কার্যকর বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের কর্মশালার মাধ্যমে একটি খসড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করা হবে এবং শ্রমবিরোধ নিরসনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (অউজ) ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং শ্রম আদালতের উপর চাপ কমানোর জন্য অউজ নিয়ে কাঠামোগত সংস্কার করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, আমরা স্বীকার করি যে, অউজ পদ্ধতির কার্যকারিতা বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। কিছু মূল চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে অউজ বেনিফিট সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের সীমিত ক্ষমতা এবং অউজের জন্য একটি মানসম্মত পদ্ধতির অভাব। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সরকার, শ্রমিকপক্ষ, মালিকপক্ষ এবং উন্নয়ন অংশীদারসহ সকল স্টেকহোল্ডারের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

এ সময় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহমিদা আখতার এনডিসি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিনসহ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেদী/