ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

৫৪তম মহান বিজয় দিবস বর্ণিল সাজে জাতীয় স্মৃতিসৌধ

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩১ এএম
বর্ণিল সাজে জাতীয় স্মৃতিসৌধ
আগামীকাল মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শেষ সময়ের প্রস্ততি চলছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ছবি: খবরের কাগজ

রাত পোহালেই মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কোটি বাঙালি পেয়েছিল বিজয়ের আনন্দ। ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের পর এদিন বিজয় কেতন ওড়ায় জাতি। ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধোয়া-মোছা থেকে শুরু করে সৌন্দর্যবর্ধনের সব কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে গণপূর্ত বিভাগ। তিন বাহিনীর সশস্ত্র কুচকাওয়াজ, মহড়া আর বিউগলে বাজছে যেন বিজয়ের সুর। 

মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে এক মাস ধরেই জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় চলছে নানা কর্মযজ্ঞ। সৌধ প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা যায়, শহিদ বেদি থেকে সৌধের প্রধান ফটক পর্যন্ত পুরো এলাকা ধুয়ে-মুছে চকচকে করে তোলা হয়েছে। পায়ে হাঁটার লাল ইটের পথগুলোতে সাদা রঙের আঁচড়ে শুভ্র করে তুলেছেন চিত্রশিল্পীরা। বাগানগুলোতে লাগানো হয়েছে গাদাসহ বাহারি ফুলের চারা। শোভাবর্ধনকারী গাছ ও ঘাস ছেঁটে পরিপাটি করে তোলা হয়েছে। পরিষ্কার লেকের স্বচ্ছ পানিতে শোভা পাচ্ছে রক্তিম লাল শাপলা। সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে লাল-সাদা ফুলগাছের টব শোভা বাড়িয়েছে কয়েক গুণ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার আগমন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারে পুরো সৌধ এলাকায় সিসিটিভি স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হয়েছে।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে নিয়োজিত হায়দার আলী বলেন, প্রতিবছর বিজয় ও স্বাধীনতা দিবস এলেই আমরা যারা এখানে কাজ করি তাদের ব্যস্ততা অনেক বেড়ে যায়। অর্ধশতাধিক শ্রমিক মিলে পুরো সৌধ এলাকা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করি। এবার বিজয় দিবস উপলক্ষে এক মাস ধরে আমরা স্মৃতিসৌধে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। মালিরা বাগানগুলোতে নতুন ফুলগাছের চারা লাগিয়ে সুন্দর করে তুলছেন। একদল শ্রমিক মেশিনের মাধ্যমে পুরো সৌধ চত্বর ধোয়ার কাজ করছেন। লেকগুলোর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে পানি স্বচ্ছ করা হচ্ছে। কেউবা আবার রং-তুলির কাজ করে যাচ্ছেন এখনো। সৌধের প্রাচীরসহ ভেতরে বাহারি আলোকবাতি বসিয়ে সজ্জার কাজ প্রায় শেষ। ইলেক্ট্রিশিয়ানরা বৈদ্যুতিক লাইন সংস্কারের পাশাপাশি আলোকবাতি লাগাচ্ছেন। সব মিলিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের কাজ প্রায় শেষ।

সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবধনের জন্য গত ৮ ডিসেম্বর থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এক মাস ধরেই সৌধের কর্মচারীরা দিনরাত সৌধ এলাকা প্রস্তুত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সৌধ প্রাঙ্গণ।

ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তায় গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটের কারণে কয়েকটি স্তরে পুরো নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সাজানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, ভিআইপি, ভিভিআইপিসহ তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই আমরা পুরো ব্যবস্থাটা গ্রহণ করেছি। তারা চলে যাওয়ার পরও যাতে স্মৃতিসৌধ এলাকায় সুশৃঙ্খল পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা থাকে সেই ব্যবস্থাও আমরা রেখেছি। 

এদিকে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে আসেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে ১০ দিন আগে থেকেই নিরাপত্তায় কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকাসহ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলে নিরাপত্তাবলয় জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকেই ডিএমপিসহ এ এলাকায় ট্রাফিক কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় কোনো হুমকি নেই উল্লেখ করে সবাই নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেন মঙ্গলবার

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৭ পিএম
প্রধান উপদেষ্টা স্বাধীনতা পুরস্কার দেবেন মঙ্গলবার
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫ তুলে দেবেন আগামী মঙ্গলবার (২৫ মার্চ)। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক দেওয়া হবে।

রবিবার (২৩ মার্চ) তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)। সূত্র: বাসস

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনিয়ম তদন্তে কমিশন গঠনের দাবি
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, জনভোগান্তি, হতাহতের ঘটনা, ও দুর্নীতি উদঘাটনে অবিলম্বে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি এসেছে নগর পরিকল্পনাবিদ ও পরিবেশবিদদের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন থেকে। 

পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল জলাধার ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের ফ্লাইওভার বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ১০০তম দিনে বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিবের সঞ্চালনায় ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআইপি সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, পান্থকুঞ্জ প্রভাতী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুদ্দিন তুহিন, একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুন, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার, প্রাণ প্রকৃতি প্রতিবেশ পরিবেশ রক্ষা জাতীয় কমিটির মুখপাত্র ইবনুল সৈয়দ রানাসহ আরও অনেকে। 

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নাঈম উল হাসান বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের মূল প্রকল্পটি ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদন পায়। তবে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির কারণে তিন বছরের এই প্রকল্প এক যুগ পার হলেও সম্পন্ন করা যায়নি। এতে এই প্রকল্প ঢাকাবাসীর জন্য জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্পের পাশাপাশি সাপোর্ট টু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নাম দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ইউটিলিটিস স্থানান্তর এবং পরামর্শক সেবার বড় একটা খরচ আলাদা করে ফেলা হয়েছে। নামে পিপিপি প্রকল্প হলেও প্রকৃতপক্ষে এই প্রকল্পের প্রায় ৫২ দশমিক ৯ ভাগ আর্থিক বিনিয়োগ হচ্ছে জনগণের করের টাকায়। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়ের ১২৮ একর জমির বর্তমান বাজার মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকা হিসাব করলে এই প্রকল্পের সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ ৬০ শতাংশ পার হয়ে যায়।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন এর সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় আইন ও পরিকল্পনার ব্যত্যয় করে পরিবেশ ও জলাশয় ধ্বংসকারী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক এর পূর্ণাঙ্গ কারিগরি নকশা, অর্থনৈতিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন ও সামগ্রিক লাভক্ষতির উপযোগিতা বিশ্লেষণ, পরিবেশগত সমীক্ষা প্রতিবেদন, পরিবহনগত সমীক্ষা প্রতিবেদন ও সামাজিক প্রভাবগত বিশ্লেষণ জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জনগণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত সাপেক্ষে পুরো প্রকল্পের পূনর্মূল্যায়ন করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে পান্থকুঞ্জ রক্ষায় ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন পরিবেশবিদরা।

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন চীন সফরে কোনো চুক্তি সই হবে না। তবে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। 

রবিবার (২৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকালে চীনের প্রস্তাবিত গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে (জিডিআই) বাংলাদেশ যুক্ত হবে কি না জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে জিডিআইতে যুক্ত হতে আমাদের আপত্তি নেই।’

এদিকে আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ।

ভারত উত্তর দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ভারতের উত্তর এখনো আমরা পাইনি।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর সামনে রেখে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘এই বছর দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি হচ্ছে। এই সফর ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক হবে বলে প্রত্যাশা করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর সামনে রেখে আমরা এখনো কাজ করছি। দুই দেশ কীভাবে পারস্পরিকভাবে লাভবান হতে পারে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য।’

আগামী ২৬ মার্চ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন দিনের সফরে চীনে যাচ্ছেন।

দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জনগণ দুর্নীতিবাজ বলে ধারণা করেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। 

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ শাখার উপসচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। 

রবিবার (২৩ মার্চ) এটি প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব, সচিব ও সরকারি দপ্তরের মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে এই নির্দেশনা দিয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, যুগ্ম সচিব এবং ওপরের স্তরের কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ দিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে গত ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি গঠন করে সরকার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যাদের বিষয়ে জনমনে দুর্নীতিবাজ মর্মে ব্যাপক ধারণা রয়েছে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

স্বাধীনতা দিবসে উন্মুক্ত থাকবে নৌবাহিনীর জাহাজ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৭ পিএম
স্বাধীনতা দিবসে উন্মুক্ত থাকবে নৌবাহিনীর জাহাজ
ফাইল ছবি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজগুলো জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। 

রবিবার (২৩ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, নৌবাহিনীর ওই জাহাজগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, বরিশাল ও চাঁদপুরের নির্ধারিত স্থানে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। এর মধ্যে ঢাকার সদরঘাটে নৌবাহিনীর জাহাজ (বানৌজা) চিত্রা, নারায়ণগঞ্জের পাগলা নেভাল জেটিতে বানৌজা অতন্দ্র, চট্টগ্রামের নিউ মুরিংয়ে (নেভাল বার্থ-২) বানৌজা সমুদ্র অভিযান, খুলনার বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনালে বানৌজা অপরাজেয়, মোংলায় দিগরাজ নেভাল বার্থে বানৌজা ধলেশ্বরী, বরিশালের মেরিন ওয়ার্কশপ জেটিতে বানৌজা পদ্মা এবং চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বানৌজা শহিদ ফরিদ পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।