
পরিবেশ যোদ্ধাদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, প্রকৃতির জন্য দরদ দিয়ে কাজ করতে হবে। হারিয়ে যাওয়া প্রাণী ফিরিয়ে আনা যায় না, এটি আমাদের বুঝতে হবে। পরিবেশ রক্ষাকে জাতীয় স্বার্থ হিসেবে বিবেচনা করে সবাইকে কাজ করতে হবে। জনগণের মতামত প্রতিষ্ঠা এবং সমস্যার সমাধান করতে সরকার ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করা হচ্ছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে ‘প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২৩’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জনগণের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, দেশের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে কাজ শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকার ঠিক করে খাল দখল ও দূষণমুক্ত করা হচ্ছে। সব নদী রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়তে সবাইকে প্রকৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং সুইডেন দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ফার্স্ট সেক্রেটারি নায়োকা মারটিনেজ বেকস্ট্রম।
বাংলাদেশের প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর পদক পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় ‘হালদা এবং মনজুরুল কিবরিয়াকে আলাদা করা যাবে না‘ বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
সিফাত/এমএ/