ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি বরাদ্দ

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি বরাদ্দ
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক চিঠি থেকে জানা গেছে সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা অনুদান বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হতে আর্থিক মঞ্জুরি দেওয়া হয়।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স কর্মকর্তার কাছে চিঠি পাঠায় উপসচিব। 

চিঠিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সহায়তা ও আহতদের চিকিৎসা বাবদ অনুদান দিতে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরে অর্থ বিভাগের বাজেটের অধীন ‘অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনা খাত’ থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ১২০০১৬৬০১-কোডে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে সহায়তা ও আহতদের চিকিৎসা বাবদ সহায়তা’ শীর্ষক খাতে ২৩২ কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা অনুদান বাবদ ১৫০ কোটি টাকা বিভাজন ও শর্তানুসারে অর্থছাড়ে অনুমোদন দেওয়া হলো।

আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে-

>ক্যাটাগরি ‘এ’ তে এক হাজার ব্যক্তির প্রতিজন দুই লাখ টাকা করে মোট ২০ কোটি টাকা পাবেন। 

>ক্যাটাগরি ‘বি’ তে প্রতিজন এক লাখ টাকা করে তিন হাজার জন ৩০ কোটি টাকা পাবেন।                                                                               

>ক্যাটাগরি ‘সি’তে প্রতিজন এক লাখ টাকা করে ৪ হাজার জন পাবেন ৪০ কোটি টাকা। 

>ক্যাটাগরি ‘ডি’ তে প্রত্যেকে পাবেন ৫০ হাজার টাকা করে চিকিৎসা সহায়তা। এক্ষেত্রে সাত হাজার জন পাবেন ৩৫ কোটি টাকা।

মেহেদী/

লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫০ এএম
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী
ছবি : সংগৃহীত

লিবিয়ার বেনগাজী থেকে ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টায় বোরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যেতে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেছিলেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যান, এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আহ্বান জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টোরে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে।

অমিয়/

২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০ এএম
২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি
ছবি: সংগৃহীত

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যেসব বিডিয়ার সদস্য দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বেআইনি প্রক্রিয়ায় জামিন বা মুক্তি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনরা। পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

পিলখানায় শহিদ সেনা পরিবারের সংগঠন ‘শহিদ সেনা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক পিলখানায় নিহত শহিদ কর্নেল মজিবুর হকের স্ত্রী নারিন ফেরদৌস। এ সময় শহিদ অন্য সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ পরিবারের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসটি অনেক কষ্টের। আমরা দিন গুনতে থাকি মাসটি কখন শেষ হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ পরিবাররা ‘শহিদ সেনা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন করেছে। ইতোমধ্যে এ সংগঠনের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আমরা এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন নামে ফেসবুক পেজ রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম তুলে ধরব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের যেকোনো মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, সবাই যেন ন্যায়বিচার পান। গত ২৯ জানুয়ারি প্রেস কনফারেন্সের পর আমরা শহিদ পরিবাররা দাবি করেছিলাম, যেন ন্যায়বিচারের স্বার্থে হত্যা মামলার আসামিদের আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হয়। এরপর থেকে আমরা, আমাদের সদস্যরা কিছু মহল থেকে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি, যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলের ভেতর যেসব বিডিআর সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে, সেই রহস্যও উন্মোচন করার আহ্বান জানাই।

এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে তদন্ত দল গঠন করবে ইসি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
এনআইডির তথ্য ফাঁস ঠেকাতে তদন্ত দল গঠন করবে ইসি
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের তথ্য ফাঁস ঠেকাতে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মনিটর করতে তদন্ত দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

গতকাল বুধবার এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, জনবলের অভাবে চুক্তিবদ্ধ সব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত একটি টিম গঠন করা হবে, যেকোনো সময় তারা এসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবে। ওই টিম যে তথ্য চাইবে তা দিতে হবে। কোনো সমস্যা না থাকলে তো ভালো। আর সমস্যা থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সম্প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই সেবা গ্রহণকারী পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য ফাঁসের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলো হলো অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর। চুক্তির শর্ত ভঙ্গকারী ওই সব প্রতিষ্ঠানকে এরই মধ্যে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা তথ্য ফাঁসের ঘটনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তথ্য পাচারের ঘটনা ইচ্ছাকৃত কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, এ পর্যায়ে ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডির তথ্য যাচাই করে। প্রাথমিক তদন্তে তথ্য পাচারের প্রমাণ পাওয়ায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চেয়েছি। এমন ঘটনা তাদের অসতর্কতার ফলে, না ইচ্ছেকৃত হয়েছে- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ চুক্তিতে থাকা বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আমাদের অগোচরেই অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে, যেটা কাম্য নয়। এটা নিয়ন্ত্রণে আনা ও ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। কারণ কোনো প্রতিষ্ঠানের কতটুকু তথ্য প্রয়োজন, যতটুকু নিচ্ছে তা বেশি নিচ্ছে কি না, তা পর্যালোচনা করা হবে। এ ছাড়া কী করে এ তথ্য ফাঁস হলো, সব যাচাই করা হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের যে ধরনের তথ্য দরকার, হয়তো পাসপোর্টের সে ধরনের নয়, আবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্য রকম তথ্য প্রয়োজন। কাজেই ভেরিফিকেশনের একটি স্বাভাবিক প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে- আমাদের জানাবেন এই তথ্যগুলো সঠিক আছে কি না, আমরা বলব হ্যাঁ বা না। এর বাইরেও যদি তথ্য প্রয়োজন হয়, সেগুলোসহ নানা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হচ্ছে।’

রোজার আগেই বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ হবে: শ্রম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৩১ এএম
রোজার আগেই বেক্সিমকোর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ হবে: শ্রম উপদেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, রোজার আগে চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বেক্সিমকোর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনা পরিশোধ করা হবে। তবে এই টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে নাকি শেয়ার বা সম্পদ বিক্রি করে দেওয়া হবে, সেটা এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। 

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে এ-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ বা ৩ মার্চ পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বেক্সিমকো অ্যাপারেল প্রথমে লে-অফ, পরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বলেছিলাম যেটা বন্ধ করা হয়েছে, দেনা যতটুকু আছে সেগুলো এই মাসের মধ্যে শোধ করা হবে। এর অগ্রগতি জানার জন্য মিটিং হয়েছে। বেশ ভালো অগ্রগতি আছে আমি বলব। যা যা দরকার, যতটুকু টাকা দরকার, ততটুকু টাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে কত টাকা- সেটা নতুন প্রশাসক এসেছেন, তিনি পুরো হিসাব করে বের করবেন, আমরা আবার আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি বসব। আশা করি সেখানেই সব চূড়ান্ত হবে।’

সড়ক ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৩ এএম
সড়ক ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ১৭ ফেব্রুয়ারি আলোচনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার।

এর আগে গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব আতাউর রহমানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। পরে সন্ধ্যায় সড়ক ছেড়ে তারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের দিকে চলে যান। 

স্মারকলিপি জমা দেয় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। গতকাল বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তারা সচিবালয় প্রবেশ করেন। প্রতিনিধিদলে থাকা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা হলেন ফখরুদ্দিন আহমেদ, মো. দেলোয়ার, মাহবুব, মো. মনির ও রোকসাল আল প্রধান রিয়াল।

মাহিন সরকার সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের উদ্দেশে বলেন, ‘আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি বিডিআর কল্যাণ পরিষদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সংশ্লিষ্ট কমিশনের কাছে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের জন্য বিডিআর কল্যাণ পরিষদের দাবিগুলো পাঠানো হবে। যদি কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত হয়, সে ক্ষেত্রে নতুন করে কমিটি করে হলেও ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসবেন তারা।’

মাহিন সরকার আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করাও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়ে সবাইকে শহিদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি গতকাল দুপুর পর্যন্ত চলে। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনে এগোনোর চেষ্টা করেন তারা। এ সময় জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। একপর্যায়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে সামনের দিকে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সচিবালয়ের সামনে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে রাস্তায় বসে পড়েন ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন অনেকে।

বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হচ্ছে-

১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।

৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২-এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৪. পিলখানায় শহিদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।

৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহিদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে শহিদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।