ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান কারা নির্যাতিত প্রবাসীরা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান কারা নির্যাতিত প্রবাসীরা
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি তুলে ধরছেন আরব আমিরাত ফেরত খালেদ সাইফুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আরব আমিরাতসহ কারা নির্যাতিত হয়ে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীরা। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসনে ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন আরব আমিরাত ফেরত খালেদ সাইফুল্লাহ। 

তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাক্ষাতের অনুমতি না পেলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

আগামী দিনে রেমিট্যান্স বন্ধের ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ার দেন তিনি।

৬ দফা দাবি হলো- আরব আমিরাতসহ ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যেমন- যারা বিদেশ যেতে চান সরকারি উদ্যোগে বিনা খরচে বিদেশ পাঠাতে ব্যবস্থা, যোগ্যতা অনুযায়ী দেশে চাকরির ব্যবস্থা করা; ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হতে চায় তাদেরকে ব্যাংক/ যেকোনো সংস্থার মাধ্যমে বিনাসুদে প্রয়োজনীয় লোন দেওয়ার ব্যবস্থা করা এবং বয়স্ক প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রকার সরকারি ভাতার আওতায় নিয়ে আসা, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ফেরত প্রবাসীদের নো-এন্ট্রি দিয়েছে, সেই নো-এন্ট্রি তুলে নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নেওয়া, একই মামলায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এখনো গ্রেপ্তার চলমান, তা কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে অতিদ্রুত গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া বন্ধসহ মামলা শেষ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগারে যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী বন্দি আছেন তাদেরকে অতিদ্রুত মুক্ত করে নিয়ে আসা, প্রবাসীদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে যারা দিয়েছে বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক কনসাল জেনারেল বিএম জামালসহ জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে অতিদ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার করা, ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মতো একটি ট্রাস্ট গঠন এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরের তালিকায় কারা নির্যাতিত প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং জুলাই বিপ্লবের বীর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাতজনের একটি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান। 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থনের কারণে গ্রেপ্তার প্রবাসীদের মুক্ত করায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আরব আমিরাত থেকে এখন পর্যন্ত ১৮৯ জন দেশে ফেরত এসেছেন এবং এখনো ধরপাকড় চলছে। শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা আরব আমিরাতে সফরে যাবেন।’ 

সফরে প্রবাসীদের মামলা তুলে নেওয়াসহ নো-এন্ট্রি তুলে নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রবাসী ফেরতদের নো-এন্ট্রি আইন তুলে নিয়েছে আরব আমিরাত সরকার। তাই সরকার উদ্যোগ নিলে নো-এন্ট্রি তুলে নিলে আবারও প্রবাসীরা আরব আমিরাতে যেতে পারবেন বলে আশা রাখছি।’

লিখিত বক্তব্য খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীরা স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করেন এবং রেমিট্যান্স বন্ধের কর্মসূচি পালন করেছিল। মিছিলকে কেন্দ্র করে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ অন্যান্য দেশে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মিছিলের সঙ্গে সম্পৃক্ত অথবা সম্পৃক্ত নয় এমন অনেকের নামের তালিকা তৎকালীন কনসাল জেনারেল অ্যাম্বাসেডর জামালের মাধ্যমে সে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জমা দেয়। 

তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।  
সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মুহাম্মদ, ফরিদ শাহিন, জাহাঙ্গীর, আমিনুল ইসলাম, সৌদি প্রবাসী মঈন উদ্দিন বাবু প্রমুখ।

শফিকুল/পপি/

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের
রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, তারা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ সময়, তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন।

গুতেরেস আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করতে গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনে যান।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের শেষে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন।

গুতেরেস এবং শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যৌথভাবে গুলশানে ‘ইউএন হাউস ইন বাংলাদেশ’ উদ্বোধন করেন।

এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস। সূত্র: বাসস

অমিয়/

বিশ্ব পঙ্গু দিবস আজ দেশে দুর্ঘটনায় এক বছরে পঙ্গু হয়েছেন ১৭ হাজার মানুষ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
দেশে দুর্ঘটনায় এক বছরে পঙ্গু হয়েছেন ১৭ হাজার মানুষ
বিশ্ব পঙ্গু দিবস

আজ ১৫ মার্চ বিশ্ব পঙ্গু দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

পুঙ্গত্বের অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় দেশে কত মানুষ পঙ্গু হন, তার নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয়, যত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, তার দ্বিগুণ মানুষ দুর্ঘটনায় পঙ্গু হন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জন নিহত হয়েছেন। সে হিসাবে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ দুর্ঘটনাজনিত কারণে পঙ্গু হয়েছেন। দুর্ঘটনা ছাড়া আরও নানা কারণে মানুষ পঙ্গু হন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের পঙ্গু ভিক্ষুকদের ৮৩ শতাংশই ছিলেন দুর্ঘটনার শিকার। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা তাই বাইক, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপচালকদের বেপরোয়া গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে তামাক নিরোধে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যমতে, তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে চার লাখের মতো মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়। স্ট্রোক করেও বহু মানুষের শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যায়। ফলে তাদের পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকতে হয়। পঙ্গুত্বের আরেকটি বড় কারণ আর্থ্রাইটিস। এ ছাড়া মাল্টিপল স্কলেরোসিস, মোটর নিউরন ডিজিজ, বেলস পালসি, স্পাইনা বিফিডা, টিক প্যারালাইসিস এবং লাইম ডিজিজের কারণে মানুষ পঙ্গু হতে পারে। 

যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১২ পিএম
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
ছবি: খরেরর কাগজ

সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার পাশাপাশি ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শনিবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী বিভাগের বাঘাবাড়ি উপজেলায় ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাট উপজেলায় ১৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ ভোর ৬ টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ মিলিমিটার।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৭ মিনিটে।

সুমন/

লালমাটিয়ায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে সমন্বয়হীনতা, দুর্ভোগে শিশু-বয়স্করা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
লালমাটিয়ায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে সমন্বয়হীনতা, দুর্ভোগে শিশু-বয়স্করা
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ার সড়ক। ছবি: খবরের কাগজ
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় কয়েকটি সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়কগুলোতে এমনভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে যে, হাঁটার জায়গাও রাখা হয়নি। এ ছাড়া সড়ক খুঁড়তে গিয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়ির পানি ও বিদ্যুতের লাইনও কাটা পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরই আবার নিজ খরচে তা ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
 
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমাটিয়া বি-ব্লকের ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সড়ক খনন করে বড় বড় পাইপ বসিয়ে ড্রেনেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩ নম্বর সড়কে পাইপ বসানোর কাজ শেষ। ঢালাইয়ের ঢাকনা বসিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ সড়ক ধরে কিছুটা হাঁটলেই ৬ নম্বর সড়ক। ৬ নম্বর সড়ক ধরে একটু এগোলে ৪-৫ নম্বর সড়ক। এ সড়কগুলোয়ও পাইপ বসানো হয়েছে। এখন মাটি ভরাটের কাজ চলছে। 
 
সড়কগুলো ধরে হাঁটার সময় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেল। ৪ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাড়ি থেকে এক ব্যক্তি বের হলেন, সঙ্গে এক শিশু। বাড়ির তুলনায় সড়কটি এতটাই গভীর করে খোঁড়া হয়েছে যে, শিশুটি সড়কে নামতে পারছিল না। ভদ্রলোক প্রথমে নিচে নেমে তারপর ওই শিশুকে দুই হাতে ধরে সড়কে নামালেন। কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভদ্রলোক বললেন, ৩ নম্বর সড়কের কাজ মাসখানেক আগে শুরু হয়েছে। আর ৪ নম্বর সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে রোজা শুরুর এক দিন আগে। সেই থেকেই আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
 
৪ নম্বর সড়কের এক বাসিন্দা বলেন, ‘যে কাজটি হচ্ছে সেটি আমাদের জন্য দরকার। ১৯৮২ সালের পর থেকে এখানে কোনো কাজ হয়নি। কাজ যে হচ্ছে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু যারা কাজ করছে, তাদের কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। ভেকু দিয়ে খনন করছে। এতে মাটির নিচে থাকা বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কাটা পড়ছে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। এ ধরনের কাজের সময় সব বিভাগেরই প্রতিনিধি থাকা উচিত। তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন আমার চোখের সামনে মারাত্মক একটা দুর্ঘটনা থেকে এক শ্রমিক রক্ষা পান। ভেকু চালকের সামান্য আঘাত লাগে। আমার বাসার সামনের বৈদ্যুতিক লাইন কাটা পড়ে। তখনই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পানির লাইনও কাটা পড়ে। পানির লাইন তারা ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের লাইন আমি ঠিক করিয়েছি। এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’ 
 
হাত দিয়ে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই দেখেন, জিআই কেবল লাগিয়েছি। আমার তো রাজনৈতিক প্রভাব নেই, তাই নিজের টাকায় ঠিক করিয়েছি।’
 
এই সড়কের বাসিন্দা নগর পরিকল্পনাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হলে তিনি বলেন, ‘দ্যাখো, সামান্যতম হাঁটার জায়গাও রাখেনি। এতগুলো বাড়ি থেকে এত এত মানুষের বের হয়, প্রবেশ করে। শিশু-বৃদ্ধ-নারী- যারা আছেন তারা অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারেন না। এভাবে কাজ করলে তো হয় না। যারা শ্রমিক তারা তো এতো কিছু বোঝেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠান-সংস্থা যারা কাজ করাচ্ছে, তাদের তো দায়িত্ব আছে। এভাবে কেউ কোনো দিন রাস্তা কাটে! একটার পর একটা রাস্তা কাটছে আর যেভাবে ইচ্ছা খোঁড়াখুঁড়ি করছে।’
 
কারা কাজ করছে তাও বোঝার উপায় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তত একটা সাইনবোর্ড তো থাকবে যে এই সড়কে কাজ চলছে। অমুক সংস্থা কাজ করছে। আমরা নাগরিকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। এ ধরনের কথা তো থাকা উচিত। কিছু নেই। এটা কি! কোনো কর্তৃপক্ষের চেহারা নেই। কাউকেই দেখলাম না। একটা অভিজাত এলাকা। মানুষগুলো কীভাবে যায়-আসে। এভাবে একটার পর একটা রাস্তা ধরছে। নাগরিকদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধাবোধ কিছুই নেই।’  
 
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শিশুদের তিনটি স্কুল এবং দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বসবাস এখানে।’ দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
 
এই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা মাহমুদ মোল্লা জানালেন, দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে কাজ শেষ করে ফেলব। শনিবার থেকে আরও ২০ জন শ্রমিক কাজে লাগাব। এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে। ঈদের আগে কাজ শেষ করব।

ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত একটি শোক বার্তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

এই শোক বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং পরিবারের শোক সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারী উন্নয়ন, যোগাযোগ ও সম্প্রচারে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও জানানো হয়। 

গত ১৩ মার্চ রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। পরে ১৪ মার্চ মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা গ্রিন রোডে এবং ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

অমিয়/