
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, 'রাঙামাটি জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ ইংরেজি মাধ্যম নয়, বরং ইংরেজি কারিকুলামে পাঠদান হবে। বাংলা বাদে অন্যান্য সকল সাবজেক্ট ইংরেজিতে পড়ানো হবে। তারা প্রতিযোগিতামূলক হবে। এটা খুব জরুরি'।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি মিনি চিড়িয়াখানায় রাঙামাটি জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন -'আমার প্রথম এজেন্ড হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। আমাদের এখানে নটরডেম, ভিকারুননিসা, ঢাকা কলেজ নাই। বিশ্ববিদ্যালয় একটা দিয়েছে, ভালো সেটা। কিন্তু তাও বেসিক ফাউন্ডেশনটা দরকার স্কুল থেকে। এই কারণে এই স্কুলটা করতে চাই।'
কলেজের ভিত্তি প্রস্তর ফলক উন্মোচন করে উপদেষ্টা চিড়িয়াখানা এলাকা পরিদর্শন করেন। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ১৭টি প্রাণী ডুলহাজারা সাফারি পার্কে হস্তান্তর করে রাঙামাটি মিনি চিড়িয়াখানাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেন জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। এর ৬দিনের মাথায় আজ সেখানে রাঙামাটি 'জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ' নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থপন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থপনে জেলা পরিষদের এটিই হবে প্রথম কোনো উদ্যোগ। বিশেষায়িত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাহাড়ের শিক্ষা সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্টদের।
রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, 'আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। রাস্তাঘাট অনুন্নত। ছেলেমেয়েরা ঠিক মত স্কুলে যাচ্ছে না। এগুলোর উদেশ্য করে এখানে একটা ভালো মানের স্কুল কলেজ করার জন্য চিড়িয়াখানার এই জায়গাটুকু বাদ দিয়ে স্কুল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে আমরা ইতোমধ্যে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। খুব শিগগিরই আমরা কাজ শুরু করবো।'
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবদুল আলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জিয়াউর জুয়েল/জোবাইদা/