
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির পাশে নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে জনমনে তৈরি হয় রহস্যের ধূম্রজাল। তবে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ওই বেজমেন্ট নিয়ে রহস্যের অবসান ঘটল। সেখানে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করার পর সন্দেহজনক কিছু মেলেনি। মিলেছে নোংরা আবর্জনা ও ভাঙা ইটের টুকরা। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানি নিষ্কাশন করেন। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কিছু জানায়নি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।
অনেকে ওই বেজমেন্টে ‘আয়নাঘর’ আছে বলে সন্দেহ পোষণ করেছিলেন। সেই রহস্য উন্মোচনেই সেখানে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন হয়।
রবিবার ওই ভবনের বেজমেন্টে পানি নিষ্কাশনের কাজ পরিচালনা করে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের তিনটি ইউনিট। দুপুরে ইউনিটগুলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, ‘আমাদের ডাকা হয়েছিল পানি নিষ্কাশনের জন্য। নিষ্কাশনের কাজ শেষে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট সেখান থেকে চলে যায়। এর বাইরে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই বেজমেন্টের পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। বেজমেন্টের প্রথম তলার পানি নিষ্কাশনের পর পরই দ্বিতীয় তলার পানিও নিষ্কাশন করা হয়। এর মধ্যে কয়েকজন শ্রমিক জমে থাকা পানিতে নেমে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করছিলেন। তবে অনেকক্ষণ হাতড়ে সেখানে কিছু না পেয়ে উঠে আসতে বাধ্য হন তারা। পানি সম্পূর্ণ নিষ্কাশন হয়ে গেলে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। জায়গায় জায়গায় ভাঙা ইটের টুকরো দেখা গেছে।
পানি নিষ্কাশনের কাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী বলেন, ‘সেখানে সন্দেহজনক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে আমরা এখন কিছু বলতে পারব না।’
পঞ্চম দিনেও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে উৎসুক জনতার ভিড়
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পঞ্চম দিনেও চলছিল ভাঙার কাজ। এই ভাঙচুর দেখতে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা যায়। বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি দেখার জন্য এসেছিলেন তারা। এদিকে শিক্ষার্থীদের অনেককে সেখানে পোজ দিয়ে ছবি তুলতে দেখা যায়। এদিকে নির্মাণাধীন ভবনের রহস্যঘেরা ওই বেজমেন্ট দেখতে এসেছিলেন অনেকে। পানি নিষ্কাশনের সময়ও অনেক উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।
এদিকে ভাঙারি শ্রমিক ও টোকাইরা লোহা, ইট, বালি সংগ্রহের কাজ করছিলেন। গুঁড়িয়ে দেওয়া ওই বাড়ির দেয়াল, ঢালাইসহ সব ভেঙে তারা লোহার রড সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন।