ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা চায় ইসি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা চায় ইসি
নির্বাচন কমিশন

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সম্ভাব্য বাজেট ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার মধ্যে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে ইসি বাজেটে রেখেছে ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আর স্থানীয় সরকারের পাঁচ স্তরের নির্বাচনের জন্য বরাদ্দ ৩ হাজার কোটি টাকা। ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদের সভাপতিত্বে সর্বশেষ সভায় ভোটের সম্ভাব্য এই ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করা হয়। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ‘জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য আরও খাত রয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের অগ্রাধিকারের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচনের জন্যও প্রায় সমান অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশনের ঘাটতি আছে ৫ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। সংসদ নির্বাচন বাবদ ২৮শ’ কোটি টাকা চাহিদা দিলেও তা কমে আসতে পারে। সবকিছু ভোটের সময়কার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। ইসির প্রস্তাবিত চাহিদা সরকার যাচাই-বাছাই করবে এবং ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সেটার পরিমাণ চূড়ান্ত হবে।’

এদিকে ২০২৬-২৭ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৭ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭২৪ কোটি ৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা চেয়েছে কমিশন। এ ছাড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম, জাতীয় পরিচয়পত্র মুদ্রণ ও বিতরণ, নির্বাচন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ভোটার তালিকা খাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৬৯ কোটি ২৫ লাখ ০৫ হাজার টাকা। ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৭৩ কোটি ৪৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার সংস্থান রাখার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। আর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৭০ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার, ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ ৭১ হাজার এবং ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ৪০ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। ইসির আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যমেয়াদি বাজেট প্রাক্কলনের কার্যবিবরণী থেকে এসব চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে।

এরই মধ্যে চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর সরকারপ্রধানের পরিকল্পনা ধরেই ভোটের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিইসি। 

বিগত ১২ নির্বাচনে ইসির ব্যয়

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দুই বছরের মাথায় হতে যাওয়া ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য আগের বারের চেয়ে অন্তত ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় বেশি ধরা হচ্ছে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ছিল ৭০০ কোটি টাকা। পরে তা আরও বাড়ানো হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ওই নির্বাচনে ১৪৭ আসনে ভোট হয়। আর বাকি ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন একক প্রার্থীরা। ফলে অর্ধেক এলাকায় ভোট হওয়ায় বরাদ্দের তুলনায় খরচ কমে আসে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে ইসির বাজেট ছিল ১৬৫ কোটি টাকা। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর হওয়া অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয় ৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ইসির ব্যয় ছিল ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচনে বাজেট ছিল ৩৭ কোটি টাকা। ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ব্যয় হয় ২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। ১৯৮৮ সালের চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। ১৯৮৬ সালে হওয়া তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা এবং ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে ইসির ব্যয় ধরা হয় ৮১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

এলিস/সালমান/

লালমাটিয়ায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে সমন্বয়হীনতা, দুর্ভোগে শিশু-বয়স্করা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
লালমাটিয়ায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে সমন্বয়হীনতা, দুর্ভোগে শিশু-বয়স্করা
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ার সড়ক। ছবি: খবরের কাগজ
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় কয়েকটি সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়কগুলোতে এমনভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে যে, হাঁটার জায়গাও রাখা হয়নি। এ ছাড়া সড়ক খুঁড়তে গিয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়ির পানি ও বিদ্যুতের লাইনও কাটা পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরই আবার নিজ খরচে তা ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
 
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমাটিয়া বি-ব্লকের ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সড়ক খনন করে বড় বড় পাইপ বসিয়ে ড্রেনেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩ নম্বর সড়কে পাইপ বসানোর কাজ শেষ। ঢালাইয়ের ঢাকনা বসিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ সড়ক ধরে কিছুটা হাঁটলেই ৬ নম্বর সড়ক। ৬ নম্বর সড়ক ধরে একটু এগোলে ৪-৫ নম্বর সড়ক। এ সড়কগুলোয়ও পাইপ বসানো হয়েছে। এখন মাটি ভরাটের কাজ চলছে। 
 
সড়কগুলো ধরে হাঁটার সময় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেল। ৪ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাড়ি থেকে এক ব্যক্তি বের হলেন, সঙ্গে এক শিশু। বাড়ির তুলনায় সড়কটি এতটাই গভীর করে খোঁড়া হয়েছে যে, শিশুটি সড়কে নামতে পারছিল না। ভদ্রলোক প্রথমে নিচে নেমে তারপর ওই শিশুকে দুই হাতে ধরে সড়কে নামালেন। কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভদ্রলোক বললেন, ৩ নম্বর সড়কের কাজ মাসখানেক আগে শুরু হয়েছে। আর ৪ নম্বর সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে রোজা শুরুর এক দিন আগে। সেই থেকেই আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
 
৪ নম্বর সড়কের এক বাসিন্দা বলেন, ‘যে কাজটি হচ্ছে সেটি আমাদের জন্য দরকার। ১৯৮২ সালের পর থেকে এখানে কোনো কাজ হয়নি। কাজ যে হচ্ছে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু যারা কাজ করছে, তাদের কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। ভেকু দিয়ে খনন করছে। এতে মাটির নিচে থাকা বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কাটা পড়ছে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। এ ধরনের কাজের সময় সব বিভাগেরই প্রতিনিধি থাকা উচিত। তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন আমার চোখের সামনে মারাত্মক একটা দুর্ঘটনা থেকে এক শ্রমিক রক্ষা পান। ভেকু চালকের সামান্য আঘাত লাগে। আমার বাসার সামনের বৈদ্যুতিক লাইন কাটা পড়ে। তখনই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পানির লাইনও কাটা পড়ে। পানির লাইন তারা ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের লাইন আমি ঠিক করিয়েছি। এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’ 
 
হাত দিয়ে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই দেখেন, জিআই কেবল লাগিয়েছি। আমার তো রাজনৈতিক প্রভাব নেই, তাই নিজের টাকায় ঠিক করিয়েছি।’
 
এই সড়কের বাসিন্দা নগর পরিকল্পনাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হলে তিনি বলেন, ‘দ্যাখো, সামান্যতম হাঁটার জায়গাও রাখেনি। এতগুলো বাড়ি থেকে এত এত মানুষের বের হয়, প্রবেশ করে। শিশু-বৃদ্ধ-নারী- যারা আছেন তারা অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারেন না। এভাবে কাজ করলে তো হয় না। যারা শ্রমিক তারা তো এতো কিছু বোঝেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠান-সংস্থা যারা কাজ করাচ্ছে, তাদের তো দায়িত্ব আছে। এভাবে কেউ কোনো দিন রাস্তা কাটে! একটার পর একটা রাস্তা কাটছে আর যেভাবে ইচ্ছা খোঁড়াখুঁড়ি করছে।’
 
কারা কাজ করছে তাও বোঝার উপায় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তত একটা সাইনবোর্ড তো থাকবে যে এই সড়কে কাজ চলছে। অমুক সংস্থা কাজ করছে। আমরা নাগরিকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। এ ধরনের কথা তো থাকা উচিত। কিছু নেই। এটা কি! কোনো কর্তৃপক্ষের চেহারা নেই। কাউকেই দেখলাম না। একটা অভিজাত এলাকা। মানুষগুলো কীভাবে যায়-আসে। এভাবে একটার পর একটা রাস্তা ধরছে। নাগরিকদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধাবোধ কিছুই নেই।’  
 
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শিশুদের তিনটি স্কুল এবং দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বসবাস এখানে।’ দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
 
এই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা মাহমুদ মোল্লা জানালেন, দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে কাজ শেষ করে ফেলব। শনিবার থেকে আরও ২০ জন শ্রমিক কাজে লাগাব। এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে। ঈদের আগে কাজ শেষ করব।

ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত একটি শোক বার্তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

এই শোক বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং পরিবারের শোক সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারী উন্নয়ন, যোগাযোগ ও সম্প্রচারে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও জানানো হয়। 

গত ১৩ মার্চ রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। পরে ১৪ মার্চ মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা গ্রিন রোডে এবং ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

অমিয়/

যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ৩৮৩

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৫ এএম
যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক সপ্তাহে গ্রেপ্তার ৩৮৩
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী, ডাকাত, সন্ত্রাসীসহ মোট ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাত দলের সদস্য, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ী। ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সাত দিন অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান অভিযানে গত সাত দিনে যৌথ বাহিনী ওই সব অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৩৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময়ে গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার, দুটি শুটারগান, গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক, এনআইডি, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ। পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তারদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ওই যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।

সরকার যে সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে তা যেন শেষ করতে পারে: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০০ এএম
সরকার যে সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে তা যেন শেষ করতে পারে: তথ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের ছারছীনা দরবার শরিফের ১৩৫তম মাহফিলের শেষ দিনে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের আগে সেখানে আলোচনায় অংশ নেন তিনি। 

মাহফুজ আলম বলেন, ‘দেড়শতাধিক বছর ধরে ছারছীনা সিলসিলার খেদমত এই উপমহাদেশে অব্যাহত রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের কাছে দোয়া চাই, সরকার যেসব সংস্কারের দায়িত্ব হাতে নিয়েছে তা যেন শেষ করতে পারে। আমরা বাংলাদেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং দেশকে একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে যেন আমাদের অর্পিত দায়িত্ব শেষ করতে পারি। বিশেষ করে আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আপনাদের সন্তান হিসেবে এ দেশের খেদমত করতে পারি।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ছারছীনা দরবার শরিফের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মাদ্রাসা তৈরি করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইসলামি শিক্ষা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। তারা শিক্ষা দিচ্ছে ইসলাম শান্তির ধর্ম।’

মাহফুজ আলম বলেন,  ‘আমার পরিবার ছারছীনা দরবার শরিফের মুরিদ ছিল। আজ আমি এখানে এসেছি পীর সাহেবের কাছে আমার ও দেশের জন্য দোয়া চাইতে। এখানে আসার মাধ্যমে ছারছীনা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ সূফী নেছার উদ্দিন আহমদের (রহ.) উপমহাদেশে দীনি সংস্কার সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পেরেছি।’

আখেরি মোনাজাতে ছারছীনা শরিফের পীর সাহেব আলহাজ হজরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে তিন দিনব্যাপী মাহফিলের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। 

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান, বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসেন, পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 
এর আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ছারছীনা দরবার শরিফের মরহুম পীরদের কবর জিয়ারত করেন।

দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ দশম

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ এএম
দূষিত বাতাসের শহরে ঢাকা আজ দশম
ছবি: খবরের কাগজ

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোরে দূষিত বাতাসের শহরে সারা বিশ্বের মধ্যে ঢাকা আজ দশম স্থানে রয়েছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১৪২।

একই সময়ে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা ১৮১ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, নেপালের কাঠমান্ডু ১৭০ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কাঠামান্ডুর সমান একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

যখন কণাদূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকে, তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘসময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

একিউআই মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

সুমন/