ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

সড়ক ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৩ এএম
সড়ক ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
ফাইল ছবি

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ১৭ ফেব্রুয়ারি আলোচনার সিদ্ধান্ত হওয়ায় সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার।

এর আগে গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব আতাউর রহমানের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা। পরে সন্ধ্যায় সড়ক ছেড়ে তারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের দিকে চলে যান। 

স্মারকলিপি জমা দেয় চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার। গতকাল বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তারা সচিবালয় প্রবেশ করেন। প্রতিনিধিদলে থাকা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা হলেন ফখরুদ্দিন আহমেদ, মো. দেলোয়ার, মাহবুব, মো. মনির ও রোকসাল আল প্রধান রিয়াল।

মাহিন সরকার সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের উদ্দেশে বলেন, ‘আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি বিডিআর কল্যাণ পরিষদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সংশ্লিষ্ট কমিশনের কাছে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের জন্য বিডিআর কল্যাণ পরিষদের দাবিগুলো পাঠানো হবে। যদি কমিশনের এখতিয়ারবহির্ভূত হয়, সে ক্ষেত্রে নতুন করে কমিটি করে হলেও ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসবেন তারা।’

মাহিন সরকার আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়করাও বিডিআর কল্যাণ পরিষদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সচিবালয়ের সামনের সড়ক ছেড়ে সবাইকে শহিদ মিনারে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এর আগে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি গতকাল দুপুর পর্যন্ত চলে। পরে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সচিবালয়ের সামনে এগোনোর চেষ্টা করেন তারা। এ সময় জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। একপর্যায়ে কাঁটাতারের বেড়া ভেঙে সামনের দিকে এগোতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। সচিবালয়ের সামনে এলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে রাস্তায় বসে পড়েন ‘জাস্টিস ফর বিডিআর’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা। প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন অনেকে।

বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলো হচ্ছে-

১. পিলখানার ভেতরে ও বাইরে ১৮টি বিশেষ আদালত ও অধিনায়কের সামারি কোর্ট গঠন করে যেসব বিডিআর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের ক্ষতিপূরণ ও রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

২. এরই মধ্যে হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত এবং সাজা শেষ হওয়া কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিস্ফোরক মামলা বাতিল করতে হবে।

৩. গঠিত কমিশন স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার জন্য প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত ব্যতীত শব্দ এবং কার্যপরিধি ২-এর (ঙ) নম্বর ধারা বাদ দিতে হবে। একই সঙ্গে স্বাধীন তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে অন্যায়ভাবে দণ্ডিত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঠিক কারণ উদ্ঘাটন, মূল ষড়যন্ত্রকারী, হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

৪. পিলখানায় শহিদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তা, ১০ জন বিডিআর সদস্যসহ সর্বমোট ৭৪ জনের হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে কারাগারে মারা যাওয়া সব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর সঠিক কারণ উন্মোচন করতে হবে। অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৫. স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী বিডিআর নাম ফিরিয়ে আনতে হবে।

৬. পিলখানার হত্যাকাণ্ডে সব শহিদের স্মরণে জাতীয় দিবস ঘোষণা করতে হবে। একই সঙ্গে শহিদদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ঈদের কেনাকাটা: ছিনতাইয়ের ভয়ে সবাই দিনকেই বেছে নিচ্ছেন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ঈদের কেনাকাটা: ছিনতাইয়ের ভয়ে সবাই দিনকেই বেছে নিচ্ছেন
ঈদের কেনাকাটায় রাজধানীর নিউ মার্কেটে শুক্রবার ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: মাসুদ মিলন

বেলা ২টা। গরমের উত্তাপ উপেক্ষা করে রাজধানীর গাউছিয়া, চাঁদনী চকসহ নিউ মার্কেট এলাকায় ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন আসন্ন ঈদের প্রিয় পোশাকের সন্ধানে। শুধু পোশাক নয়, চলমান রমজান মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন অনেকে।

বন্ধ হয়ে গেছে সন্তানদের স্কুল। ফলে অনেকে ঈদের কেনাকাটা আগেভাগে শেষ করে চলে যাবেন গ্রামের বাড়িতে। তাই রমজানের এই সময়ে বিক্রেতাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতাদের সামাল দিতে। রাতে চুরি-ছিনতাই হচ্ছে। তাই ক্রেতারা বলছেন, রাতের কেনাকাটা বাদ দিয়ে দিনেই শেষ করতে হচ্ছে সব প্রয়োজন। 

রাজধানীর বসুন্ধরা বা যমুনা ফিউচার পার্কের মতো বড় শপিং মলগুলোতে এখনো ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় দেখা না গেলেও নিউ মার্কেট এলাকায় প্রতিদিনই হাজারও মানুষের পা পড়ছে। 

মোহাম্মদপুর থেকে নিলুফা বেগম এসেছেন তার আট বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে গাউছিয়া মার্কেটে। মেয়ের জন্য নতুন জামার পাশাপাশি নিজের জন্য কিনবেন বোরকা। গাউছিয়া মার্কেটের ইসমাইল ম্যানশনে কথা হয় তার সঙ্গে। নিলুফা বেগম বলেন, ‘ইফতারের পর মূলত ঘরের নানা কাজ থাকে। সে সময় বের হওয়া যায় না। তাই বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই মার্কেটে এসেছেন। আর দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলার সার্বিক যে অবস্থা তাতে রাতে বের হওয়া নিরাপদ বোধ করি না।’ 

তিনি বলেন, ‘এখানে সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের জিনিসপত্রই পাওয়া যায়। ঈদের কেনাকাটা শেষ হয়েছে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, না এখনো শেষ হয়নি। অল্প অল্প করে কিনছি, দেখছি।’

ইসমাইল ম্যানশনের আল্লাহ ভরসা বোরকা কালেকশনের বিক্রেতা নাজমুল বলেন, এখন অনেকে ফ্যাশনেবল বোরকা পছন্দ করেন। ঈদের জন্যও নতুন বোরকা কিনেন। আমাদের বেশির ভাগ বোরকা দেশের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়। তবে ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী বোরকা বানিয়েও দেওয়া হয়। দরদামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৩৫০০ টাকা দামেরও বোরকা আছে। 

ক্রেতা কেমন জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, আগের মানুষ ২০ রোজার পর মূলত ঈদের কেনাকাটায় আগ্রহ দেখাত। এখন রজমান শুরু হওয়ার পর থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করে। আমরাও সে অনুযায়ী সব নতুন কালেকশন সংগ্রহে রাখছি। তবে ২০ রোজার পর থেকে মূলত ঈদের কেনাকাটা বেশি জমে। 

গত বৃহস্পতিবার নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সায়েন্সল্যাব হয়ে নিউ মার্কেট পর্যন্ত দুপুর বেলাতেই মানুষের উপস্থিতি বেশি। দোকানিরা বলছেন, ইফতারের আগ পর্যন্ত ক্রেতাদের চাপ থাকে সবচেয়ে বেশি। 

এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রোড, গাউছিয়া মার্কেট, নূর ম্যানশন শপিং সেন্টার, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় দোকানগুলোতে ভিড় করছেন তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের ক্রেতারা। সায়েন্সল্যাবের বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মার্কেট আর প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণদের পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে।

ঈদের সময় গরম থাকবে। সুতির পাঞ্জাবির ভালো কালেকশন দিয়ে সাজানো হয়েছে ঈদের আয়োজন, বললেন সায়েন্সল্যাবের মোড়ে রূপসী বাংলার বিক্রেতা লিয়াকত। পোশাকের দাম কেমন, প্রশ্নে তিনি বলেন, দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে। যাতে সব ধরনের ক্রেতাই কিনতে পারেন।

মেয়েদের থান কাপড় আর থ্রি-পিসের জমজমাট কেনাকাটা দেখা গেছে সুবাস্তু আরোমা সেন্টারে। মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় গিয়েই দেখা গেল থরে থরে সাজানো থান কাপড় আর রংবেরঙের থ্রি-পিস। ক্রেতারা কিনছেন মাপ অনুযায়ী থান কাপড়। আর রেডিমেড কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

মার্কেটের মদিনা ফ্যাশনের ম্যানেজার রেফায়াত হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সব সময় জমজমাট থাকে এই মার্কেট। মূলত থান কাপড় আর থ্রি-পিসের জন্য এই মার্কেট সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। 

তিনি বলেন, থ্রি-পিসের ঈদের কালেকশন রজমানের প্রথম থেকেই আসতে শুরু করে। ঈদ করতে যারা গ্রামের বাড়িতে যান তারা রোজার শুরুতেই আনস্টিচড থ্রি-পিস কিনে তৈরি করে নেন। এ ছাড়া আমাদের কাছে রেডিমেড থ্রি-পিসও আছে। সেগুলোর কাটতি বেশ ভালো। 
শুধু মার্কেটগুলোতে নয়, এর মধ্যে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। গাউছিয়া মার্কেটের সামনের ফুটপাত আর নিউ মার্কেটের সামনের দোকানগুলোতে ঈদের বাহারি পোশাকের পাশাপাশি গৃহস্থালি নানা পণ্য কিনতে ক্রেতাদের বেশ উপস্থিতি ছিল। 

তবে ঈদকে সামনে রেখে এ এলাকায় আগে যেসব বিক্রেতা গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করত তাদের অনেকেই এখন বাচ্চাদের পোশাক, কেউ জুতা, আবার কেউ থ্রি-পিস বিক্রি করছেন। নিউ মার্কেটের সামনে বাচ্চাদের জামা বিক্রি করছিলেন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আগে তিনি গৃহস্থালির নানা পণ্য বিক্রি করতেন। ঈদকে সামনে রেখে বাচ্চাদের জামা বিক্রি করছেন। দাম ৪০০ থেকে হাজার টাকার মধ্যে। ক্রেতা কেমন জানতে চাইলে বলেন, ক্রেতা আছে। দুপুরের পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত ক্রেতাদের বেশি ভিড় থাকে। তবে ইফতারের পরও ক্রেতা আসেন। 

গাউছিয়া মার্কেটের পাশে পাকিজা তাঁতবাজার ঘুরেও দেখা গেছে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি। মেয়েদের গহনার জন্য পরিচিত এই মার্কেটের বিক্রেতারা বললেন, ইফতারের পর পরই বেশ জমে ওঠে এই মার্কেট। সব ধরনের কেনাকাটা শেষ হলে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা কেনার জন্য মূলত ক্রেতারা এখানে ভিড় করেন। ফলে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে খুব জমে ওঠে এই মার্কেট।

বিশ্ব পঙ্গু দিবস আজ দেশে দুর্ঘটনায় এক বছরে পঙ্গু হয়েছেন ১৭ হাজার মানুষ

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
দেশে দুর্ঘটনায় এক বছরে পঙ্গু হয়েছেন ১৭ হাজার মানুষ
বিশ্ব পঙ্গু দিবস

আজ ১৫ মার্চ বিশ্ব পঙ্গু দিবস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

পুঙ্গত্বের অন্যতম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় দেশে কত মানুষ পঙ্গু হন, তার নির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয়, যত মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, তার দ্বিগুণ মানুষ দুর্ঘটনায় পঙ্গু হন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫৪৩ জন নিহত হয়েছেন। সে হিসাবে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ দুর্ঘটনাজনিত কারণে পঙ্গু হয়েছেন। দুর্ঘটনা ছাড়া আরও নানা কারণে মানুষ পঙ্গু হন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের পঙ্গু ভিক্ষুকদের ৮৩ শতাংশই ছিলেন দুর্ঘটনার শিকার। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা তাই বাইক, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপচালকদের বেপরোয়া গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে তামাক নিরোধে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যমতে, তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে চার লাখের মতো মানুষ পঙ্গু হয়ে যায়। স্ট্রোক করেও বহু মানুষের শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যায়। ফলে তাদের পঙ্গু হয়ে বেঁচে থাকতে হয়। পঙ্গুত্বের আরেকটি বড় কারণ আর্থ্রাইটিস। এ ছাড়া মাল্টিপল স্কলেরোসিস, মোটর নিউরন ডিজিজ, বেলস পালসি, স্পাইনা বিফিডা, টিক প্যারালাইসিস এবং লাইম ডিজিজের কারণে মানুষ পঙ্গু হতে পারে। 

যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১২ পিএম
যেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া
ছবি: খরেরর কাগজ

সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়ার পাশাপাশি ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, শনিবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী বিভাগের বাঘাবাড়ি উপজেলায় ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের রাজারহাট উপজেলায় ১৮ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ ভোর ৬ টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ মিলিমিটার।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। ঢাকায় বাতাসের গতি পশ্চিম অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হতে পারে।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬টা ৭ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৭ মিনিটে।

সুমন/

লালমাটিয়ায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে সমন্বয়হীনতা, দুর্ভোগে শিশু-বয়স্করা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
লালমাটিয়ায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে সমন্বয়হীনতা, দুর্ভোগে শিশু-বয়স্করা
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ার সড়ক। ছবি: খবরের কাগজ
রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায় কয়েকটি সড়কে খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়কগুলোতে এমনভাবে খোঁড়াখুঁড়ি করা হচ্ছে যে, হাঁটার জায়গাও রাখা হয়নি। এ ছাড়া সড়ক খুঁড়তে গিয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়ির পানি ও বিদ্যুতের লাইনও কাটা পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদেরই আবার নিজ খরচে তা ঠিক করে নিতে হচ্ছে।
 
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমাটিয়া বি-ব্লকের ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর সড়ক খনন করে বড় বড় পাইপ বসিয়ে ড্রেনেজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩ নম্বর সড়কে পাইপ বসানোর কাজ শেষ। ঢালাইয়ের ঢাকনা বসিয়ে বাকি কাজ সম্পন্ন করা হবে। এ সড়ক ধরে কিছুটা হাঁটলেই ৬ নম্বর সড়ক। ৬ নম্বর সড়ক ধরে একটু এগোলে ৪-৫ নম্বর সড়ক। এ সড়কগুলোয়ও পাইপ বসানো হয়েছে। এখন মাটি ভরাটের কাজ চলছে। 
 
সড়কগুলো ধরে হাঁটার সময় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেল। ৪ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর বাড়ি থেকে এক ব্যক্তি বের হলেন, সঙ্গে এক শিশু। বাড়ির তুলনায় সড়কটি এতটাই গভীর করে খোঁড়া হয়েছে যে, শিশুটি সড়কে নামতে পারছিল না। ভদ্রলোক প্রথমে নিচে নেমে তারপর ওই শিশুকে দুই হাতে ধরে সড়কে নামালেন। কথা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভদ্রলোক বললেন, ৩ নম্বর সড়কের কাজ মাসখানেক আগে শুরু হয়েছে। আর ৪ নম্বর সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি শুরু হয়েছে রোজা শুরুর এক দিন আগে। সেই থেকেই আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।
 
৪ নম্বর সড়কের এক বাসিন্দা বলেন, ‘যে কাজটি হচ্ছে সেটি আমাদের জন্য দরকার। ১৯৮২ সালের পর থেকে এখানে কোনো কাজ হয়নি। কাজ যে হচ্ছে তাতে আমরা খুশি। কিন্তু যারা কাজ করছে, তাদের কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। ভেকু দিয়ে খনন করছে। এতে মাটির নিচে থাকা বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কাটা পড়ছে। সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ কারও সঙ্গে কারও সমন্বয় নেই। এ ধরনের কাজের সময় সব বিভাগেরই প্রতিনিধি থাকা উচিত। তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন আমার চোখের সামনে মারাত্মক একটা দুর্ঘটনা থেকে এক শ্রমিক রক্ষা পান। ভেকু চালকের সামান্য আঘাত লাগে। আমার বাসার সামনের বৈদ্যুতিক লাইন কাটা পড়ে। তখনই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পানির লাইনও কাটা পড়ে। পানির লাইন তারা ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের লাইন আমি ঠিক করিয়েছি। এতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে।’ 
 
হাত দিয়ে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই দেখেন, জিআই কেবল লাগিয়েছি। আমার তো রাজনৈতিক প্রভাব নেই, তাই নিজের টাকায় ঠিক করিয়েছি।’
 
এই সড়কের বাসিন্দা নগর পরিকল্পনাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঙ্গে দেখা হলে তিনি বলেন, ‘দ্যাখো, সামান্যতম হাঁটার জায়গাও রাখেনি। এতগুলো বাড়ি থেকে এত এত মানুষের বের হয়, প্রবেশ করে। শিশু-বৃদ্ধ-নারী- যারা আছেন তারা অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারেন না। এভাবে কাজ করলে তো হয় না। যারা শ্রমিক তারা তো এতো কিছু বোঝেন না। কিন্তু প্রতিষ্ঠান-সংস্থা যারা কাজ করাচ্ছে, তাদের তো দায়িত্ব আছে। এভাবে কেউ কোনো দিন রাস্তা কাটে! একটার পর একটা রাস্তা কাটছে আর যেভাবে ইচ্ছা খোঁড়াখুঁড়ি করছে।’
 
কারা কাজ করছে তাও বোঝার উপায় নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্তত একটা সাইনবোর্ড তো থাকবে যে এই সড়কে কাজ চলছে। অমুক সংস্থা কাজ করছে। আমরা নাগরিকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত। এ ধরনের কথা তো থাকা উচিত। কিছু নেই। এটা কি! কোনো কর্তৃপক্ষের চেহারা নেই। কাউকেই দেখলাম না। একটা অভিজাত এলাকা। মানুষগুলো কীভাবে যায়-আসে। এভাবে একটার পর একটা রাস্তা ধরছে। নাগরিকদের প্রতি সম্মান শ্রদ্ধাবোধ কিছুই নেই।’  
 
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘শিশুদের তিনটি স্কুল এবং দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বসবাস এখানে।’ দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
 
এই কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা মাহমুদ মোল্লা জানালেন, দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে কাজ শেষ করে ফেলব। শনিবার থেকে আরও ২০ জন শ্রমিক কাজে লাগাব। এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কগুলো চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে। ঈদের আগে কাজ শেষ করব।

ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৪২ এএম
ঢাবির সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতির শ্রদ্ধা
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত একটি শোক বার্তা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

এই শোক বার্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং পরিবারের শোক সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, নারী উন্নয়ন, যোগাযোগ ও সম্প্রচারে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও জানানো হয়। 

গত ১৩ মার্চ রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে মৃত্যু হয় ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। পরে ১৪ মার্চ মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা গ্রিন রোডে এবং ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।

অমিয়/