ঢাকা ১ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
English

২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৪০ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি
ছবি: সংগৃহীত

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় যেসব বিডিয়ার সদস্য দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বেআইনি প্রক্রিয়ায় জামিন বা মুক্তি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নিহত সেনা সদস্যদের স্বজনরা। পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা।

গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

পিলখানায় শহিদ সেনা পরিবারের সংগঠন ‘শহিদ সেনা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক পিলখানায় নিহত শহিদ কর্নেল মজিবুর হকের স্ত্রী নারিন ফেরদৌস। এ সময় শহিদ অন্য সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ পরিবারের জন্য ফেব্রুয়ারি মাসটি অনেক কষ্টের। আমরা দিন গুনতে থাকি মাসটি কখন শেষ হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ পরিবাররা ‘শহিদ সেনা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সংগঠন করেছে। ইতোমধ্যে এ সংগঠনের একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আমরা এ সংগঠনের পক্ষ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শহিদ সেনা দিবস ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। আমাদের একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। শহিদ সেনা অ্যাসোসিয়েশন নামে ফেসবুক পেজ রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা নিয়মিত আমাদের কার্যক্রম তুলে ধরব।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের যেকোনো মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে, সবাই যেন ন্যায়বিচার পান। গত ২৯ জানুয়ারি প্রেস কনফারেন্সের পর আমরা শহিদ পরিবাররা দাবি করেছিলাম, যেন ন্যায়বিচারের স্বার্থে হত্যা মামলার আসামিদের আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া না হয়। এরপর থেকে আমরা, আমাদের সদস্যরা কিছু মহল থেকে হুমকির সম্মুখীন হয়েছি, যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেলের ভেতর যেসব বিডিআর সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে, সেই রহস্যও উন্মোচন করার আহ্বান জানাই।

ঢাকায় ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
ঢাকায় ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস রাজধানী ঢাকার গুলশানে ‘জাতিসংঘ হাউস’ উদ্বোধন করেছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে এই উদ্বোধন শেষে ভবনটি পরিদর্শন করেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা এ তথ্য দিয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতিসংঘ ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন গুতেরেস।  তিনি জাতিসংঘের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। পরে তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় ও গৃহায়ণ এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন গুতেরেস। 

পরে তরুণ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।

রবিবার (১৫ মার্চ) সকালে  জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস ঢাকা ত্যাগ করবেন।

মেহেদী/

দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শরীয়াহ ব্যাংকিং: ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:২১ পিএম
দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শরীয়াহ ব্যাংকিং: ধর্ম উপদেষ্টা
রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন। ছবি: বাসস

যাকাত, সাদাকা ও ওয়াকফের মতো ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে কাজ করে শরীয়াহ ব্যাংকিং। এটি দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ. ফ. ম খালিদ হোসেন।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফিন্যান্স  অ্যান্ড ইকোনমিক্স শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা নবনির্মিত ইন্সটিটিউট অব ফিন্যান্স, ব্যাংকিং এন্ড ইকোনোমিক্স ভবনের ফলক উন্মোচন করেন।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, শুধু মুসলিম দেশেই নয়, বরং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশেও বর্তমানে ইসলামি ব্যাংকিং জনপ্রিয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পরিসরেও এটি একটি নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত। এ ব্যবস্থায় সারা দুনিয়ায় ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার ট্রানজেকশন হয়।

তিনি আরও বলেন, ইসলামিক ফিন্যান্স একটি ন্যায়সঙ্গত ও নৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যা সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে লেনদেন করে। এটি শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং যে কেউ ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক।

এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার এবং সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফেলোস ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফ। সূত্র: বাসস

মেহেদী/

রবিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:১৫ পিএম
রবিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাস
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

সারা দেশে রবিবার (১৬ মার্চ) দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া আবহাওয়া অফিস।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, এ ছাড়া রবিবার দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

সুমন/

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের
রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশ্বাস দেন।

জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করে গুতেরেস বলেন, তারা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এ সময়, তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করেন।

গুতেরেস আজ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে এবং জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করতে গুলশানে জাতিসংঘের নতুন ভবন পরিদর্শনে যান।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের শেষে তিনি ভবন পরিদর্শন করেন।

গুতেরেস এবং শিল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্তবিষয়ক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান যৌথভাবে গুলশানে ‘ইউএন হাউস ইন বাংলাদেশ’ উদ্বোধন করেন।

এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস। সূত্র: বাসস

অমিয়/

ঈদের কেনাকাটা: ছিনতাইয়ের ভয়ে সবাই দিনকেই বেছে নিচ্ছেন

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:১২ পিএম
ঈদের কেনাকাটা: ছিনতাইয়ের ভয়ে সবাই দিনকেই বেছে নিচ্ছেন
ঈদের কেনাকাটায় রাজধানীর নিউ মার্কেটে শুক্রবার ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ছবি: মাসুদ মিলন

বেলা ২টা। গরমের উত্তাপ উপেক্ষা করে রাজধানীর গাউছিয়া, চাঁদনী চকসহ নিউ মার্কেট এলাকায় ক্রেতারা ভিড় জমিয়েছেন আসন্ন ঈদের প্রিয় পোশাকের সন্ধানে। শুধু পোশাক নয়, চলমান রমজান মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয়ে ঘর থেকে বের হয়েছেন অনেকে।

বন্ধ হয়ে গেছে সন্তানদের স্কুল। ফলে অনেকে ঈদের কেনাকাটা আগেভাগে শেষ করে চলে যাবেন গ্রামের বাড়িতে। তাই রমজানের এই সময়ে বিক্রেতাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ক্রেতাদের সামাল দিতে। রাতে চুরি-ছিনতাই হচ্ছে। তাই ক্রেতারা বলছেন, রাতের কেনাকাটা বাদ দিয়ে দিনেই শেষ করতে হচ্ছে সব প্রয়োজন। 

রাজধানীর বসুন্ধরা বা যমুনা ফিউচার পার্কের মতো বড় শপিং মলগুলোতে এখনো ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় দেখা না গেলেও নিউ মার্কেট এলাকায় প্রতিদিনই হাজারও মানুষের পা পড়ছে। 

মোহাম্মদপুর থেকে নিলুফা বেগম এসেছেন তার আট বছরের ছোট মেয়েকে নিয়ে গাউছিয়া মার্কেটে। মেয়ের জন্য নতুন জামার পাশাপাশি নিজের জন্য কিনবেন বোরকা। গাউছিয়া মার্কেটের ইসমাইল ম্যানশনে কথা হয় তার সঙ্গে। নিলুফা বেগম বলেন, ‘ইফতারের পর মূলত ঘরের নানা কাজ থাকে। সে সময় বের হওয়া যায় না। তাই বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়েই মার্কেটে এসেছেন। আর দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলার সার্বিক যে অবস্থা তাতে রাতে বের হওয়া নিরাপদ বোধ করি না।’ 

তিনি বলেন, ‘এখানে সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের জিনিসপত্রই পাওয়া যায়। ঈদের কেনাকাটা শেষ হয়েছে কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, না এখনো শেষ হয়নি। অল্প অল্প করে কিনছি, দেখছি।’

ইসমাইল ম্যানশনের আল্লাহ ভরসা বোরকা কালেকশনের বিক্রেতা নাজমুল বলেন, এখন অনেকে ফ্যাশনেবল বোরকা পছন্দ করেন। ঈদের জন্যও নতুন বোরকা কিনেন। আমাদের বেশির ভাগ বোরকা দেশের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়। তবে ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী বোরকা বানিয়েও দেওয়া হয়। দরদামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ৩৫০০ টাকা দামেরও বোরকা আছে। 

ক্রেতা কেমন জানতে চাইলে নাজমুল বলেন, আগের মানুষ ২০ রোজার পর মূলত ঈদের কেনাকাটায় আগ্রহ দেখাত। এখন রজমান শুরু হওয়ার পর থেকেই ঈদের কেনাকাটা শুরু করে। আমরাও সে অনুযায়ী সব নতুন কালেকশন সংগ্রহে রাখছি। তবে ২০ রোজার পর থেকে মূলত ঈদের কেনাকাটা বেশি জমে। 

গত বৃহস্পতিবার নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সায়েন্সল্যাব হয়ে নিউ মার্কেট পর্যন্ত দুপুর বেলাতেই মানুষের উপস্থিতি বেশি। দোকানিরা বলছেন, ইফতারের আগ পর্যন্ত ক্রেতাদের চাপ থাকে সবচেয়ে বেশি। 

এ ছাড়া এলিফ্যান্ট রোড, গাউছিয়া মার্কেট, নূর ম্যানশন শপিং সেন্টার, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে ঈদের কেনাকাটায় দোকানগুলোতে ভিড় করছেন তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের ক্রেতারা। সায়েন্সল্যাবের বাইতুল মামুর জামে মসজিদ মার্কেট আর প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তরুণদের পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে।

ঈদের সময় গরম থাকবে। সুতির পাঞ্জাবির ভালো কালেকশন দিয়ে সাজানো হয়েছে ঈদের আয়োজন, বললেন সায়েন্সল্যাবের মোড়ে রূপসী বাংলার বিক্রেতা লিয়াকত। পোশাকের দাম কেমন, প্রশ্নে তিনি বলেন, দাম আগের বছরের মতোই রাখা হয়েছে। যাতে সব ধরনের ক্রেতাই কিনতে পারেন।

মেয়েদের থান কাপড় আর থ্রি-পিসের জমজমাট কেনাকাটা দেখা গেছে সুবাস্তু আরোমা সেন্টারে। মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় গিয়েই দেখা গেল থরে থরে সাজানো থান কাপড় আর রংবেরঙের থ্রি-পিস। ক্রেতারা কিনছেন মাপ অনুযায়ী থান কাপড়। আর রেডিমেড কাপড়ের দোকানগুলোতেও ক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। 

মার্কেটের মদিনা ফ্যাশনের ম্যানেজার রেফায়াত হোসেন বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সব সময় জমজমাট থাকে এই মার্কেট। মূলত থান কাপড় আর থ্রি-পিসের জন্য এই মার্কেট সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। 

তিনি বলেন, থ্রি-পিসের ঈদের কালেকশন রজমানের প্রথম থেকেই আসতে শুরু করে। ঈদ করতে যারা গ্রামের বাড়িতে যান তারা রোজার শুরুতেই আনস্টিচড থ্রি-পিস কিনে তৈরি করে নেন। এ ছাড়া আমাদের কাছে রেডিমেড থ্রি-পিসও আছে। সেগুলোর কাটতি বেশ ভালো। 
শুধু মার্কেটগুলোতে নয়, এর মধ্যে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও। গাউছিয়া মার্কেটের সামনের ফুটপাত আর নিউ মার্কেটের সামনের দোকানগুলোতে ঈদের বাহারি পোশাকের পাশাপাশি গৃহস্থালি নানা পণ্য কিনতে ক্রেতাদের বেশ উপস্থিতি ছিল। 

তবে ঈদকে সামনে রেখে এ এলাকায় আগে যেসব বিক্রেতা গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি করত তাদের অনেকেই এখন বাচ্চাদের পোশাক, কেউ জুতা, আবার কেউ থ্রি-পিস বিক্রি করছেন। নিউ মার্কেটের সামনে বাচ্চাদের জামা বিক্রি করছিলেন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আগে তিনি গৃহস্থালির নানা পণ্য বিক্রি করতেন। ঈদকে সামনে রেখে বাচ্চাদের জামা বিক্রি করছেন। দাম ৪০০ থেকে হাজার টাকার মধ্যে। ক্রেতা কেমন জানতে চাইলে বলেন, ক্রেতা আছে। দুপুরের পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত ক্রেতাদের বেশি ভিড় থাকে। তবে ইফতারের পরও ক্রেতা আসেন। 

গাউছিয়া মার্কেটের পাশে পাকিজা তাঁতবাজার ঘুরেও দেখা গেছে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি। মেয়েদের গহনার জন্য পরিচিত এই মার্কেটের বিক্রেতারা বললেন, ইফতারের পর পরই বেশ জমে ওঠে এই মার্কেট। সব ধরনের কেনাকাটা শেষ হলে পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা কেনার জন্য মূলত ক্রেতারা এখানে ভিড় করেন। ফলে ঈদের সপ্তাহখানেক আগে খুব জমে ওঠে এই মার্কেট।