ঢাকা ২ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ১৬ মার্চ ২০২৫
English

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী তাদের প্রতিবেদন জমা দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি হস্তান্তর করা হয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদনটি হস্তান্তর করেন। 

পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংস্কার প্রস্তাবের সারসংক্ষেপ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। পাশাপাশি বিষয়টি কমিশনের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। মোট ১৭ অধ্যায়ের প্রস্তাবের দ্বাদশ অধ্যায়ে রয়েছে অংশটি।

কমিশনের প্রতিবেদনে জনপ্রশাসনে কার্যকারিতার লক্ষ্যে সংস্কারের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ায় জনপ্রশাসনের ভূমিকা, নাগরিক পরিষেবার কার্যকারিতা, আমলাতান্ত্রিক লালফিতার দৌরাত্ম সম্পর্কে প্রতিবেদনে সুপারিশমালা পেশ করা হয়েছে। 

সুপারিশে আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার বিষয়ে বলা হয়, নাগরিক সেবা দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনিক পদ্ধতি তথা আমলাতান্ত্রিক বিধিবিধান সহজতর ও ডিজিটাল করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে জনপ্রশাসনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সঠিক নীতি-নির্ধারণের স্বার্থে তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান নির্মোহভাবে বিশ্লেষণ করা এবং নীতি-নির্ধারকদের কাছে তা পেশ করার নীতি চালু করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

এতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার টার্গেট জনগোষ্ঠীর চাহিদা ও তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হতে হবে। নাগরিকদের বিবিধ সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা এবং সেখানে তাদের অভিগম্যতা সহজতর করার উদ্যোগ নিতে হবে। একটি গতিশীল ও কার্যকর পদ্ধতি চালু করতে হবে যাতে নাগরিকদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে এবং তারা যেন স্বস্তি বোধ করে যে তাদের কথা শোনা হয়।

কার্য সম্পাদনে প্রযুক্তি গ্রহণ ও প্রয়োগ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, কার্যবিধিমালা, মন্ত্রণালয়/বিভাগের কর্মবণ্টন ও সচিবালয় নির্দেশমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধন বা বিয়োজন এবং অনলাইনে তা সহজলভ্য করার উদ্যোগ নিতে হবে। 

সুপারিশে বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে ৫টি ক্লাস্টারে ভাগ করা যেতে পারে। সরকারি পরিষেবা সহজতর করার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন পোর্টাল স্থাপন করা। সরকারি পরিষেবা পদ্ধতি গতিশীল করার জন্য ই-গভর্নেন্স কৌশল বাস্তবায়ন করা।

ডিজিটাল টুল ও ডাটা ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ খাতে বেশি বিনিয়োগ করা। নাগরিকদের সেবা দেওয়া ও সম্পদ বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী ও পিছিয়ে পড়া সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠিকে প্রাধান্য দিতে হবে। সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকরণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

পরিবেশ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, পরিবেশ ও ইকো-সিস্টেম সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও প্রকল্প বা কর্মসূচি প্রণয়নের আগে পরিবেশ সমীক্ষা ও তার প্রভাব সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে হবে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে সম্পাদনের জন্য জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও আন্ত-বিভাগীয় সমন্বয়সাধন জোরদার করতে হবে।

এ ছাড়া জলবায় নীতি বিষয়ে সুপারিশ বলা হয়, জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলকে সরকারি নীতি-কৌশলের মধ্যে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় টিকে থাকার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও সম্পদ বরাদ্দ করতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত জাতীয় নীতি-কাঠামো ও দুর্যোগ-পূর্ব সংকেত দেওয়ার ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। 

দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট এনজিওদের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলে সুপারিশে বলা হয়।

জেলা ও উপজেলার সঙ্গে কেন্দ্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক স্থাপন বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়, স্থানীয় ই-গভর্নেন্স সিস্টেমের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ওয়েব পোর্টালের এবং মোবাইল সংযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। জনপরিষেবা গ্রহণকারী বিশেষ করে কৃষক, নারী, জেলে ইত্যাদি শ্রেণির নাগরিকরা যাতে সহজে সেবা পেতে পারে সেজন্য সহজগম্য স্থানে সার্ভিস ডেলিভারী পয়েন্ট স্থাপন করতে হবে। 

ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনপরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

সুমন/

গণপরিবহনে যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক-হেলপারদের প্রশিক্ষণ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
গণপরিবহনে যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক-হেলপারদের প্রশিক্ষণ
গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ। ছবি: সংগৃহীত

গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি রোধে বাসচালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।
ডিটিসিএ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) যৌথ উদ্যোগ ও সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় ৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ডিটিসিএর প্রধান নির্বাহী নীলিমা আখতার একটি গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ব্র্যাকের নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতকালে ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক ও অন্যান্যভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ নারী যৌন হয়রানির শিকার হয় ৪১-৬০ বছর বয়সী পুরুষ দ্বারা। দেশে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকা, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, যানবাহনে অপর্যাপ্ত আলো, তদারকির অভাবে (সিসি ক্যামেরা না থাকা) নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।

তিনি জানান, ডিটিসিএ এ কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে কারণ সরকার নারীবান্ধব গণপরিবহন নিশ্চিত করতে চায়। নারীদের যথাযথ উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। গণপরিবহন ব্যবহারকারীদের আচরণগত পরিবর্তন আনা অত্যন্ত প্রয়োজন।

ডিটিসিএ প্রধান নীলিমা আখতার আরও বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিশ্চিতকরণে ডিটিসিএ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, প্রতিবন্ধীবান্ধব গণপরিবহন চালুকরণের লক্ষ্যে কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে ও হাঁটা ও সাইকেল-বান্ধব নগরী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ডিটিসিএ নিয়মিতভাবে ‘বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত’ দিবস পালন করে আসছে। তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি জনবান্ধব ও যাত্রীদের জন্য নিরাপদ গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) পরিচালক বনশ্রী মিত্র নিয়োগী বলেন, যৌন হয়রানি একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। যার ফলে সমাজ অনিরাপদ ও অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। দেশকে শান্তিপূর্ণ করার জন্য নারীদের সম্মান রক্ষা করা প্রয়োজন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোমা দত্ত বলেন, ৯৯৯ ছাড়াও ১০৯৮ এবং ১০৯ এই নাম্বারে ফোন দিয়ে যে কেউ গণপরিবহনে যৌন হয়রানির শিকার থেকে প্রতিকার পেতে পারে। এ বিষয়টি অনেকেই জানেন না। জনসচেতনতার জন্য বিষয়টির প্রচার প্রয়োজন। কোনো বাসচালক যদি বাসে হয়রানিমূলক পরিবেশ সামাল দিতে না পারেন তাহলে যেন তারা এসব নাম্বারে ফোন দেন।

ডিটিসিএর বাস রুট রেশনালাইজেশন প্রকল্পের পরিচালক ধ্রুব আলম বলেন, ‘বাসের মতো গণপরিবহনকে নারীদের জন্য নিরাপদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমরা আজ এই কর্মশালা শুরু করছি। এই বাসচালক ও সহকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হলো। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাসচালক ও সহকারীদেরকে এই প্রশিক্ষণ থেকে পাওয়া জ্ঞান অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। যার মাধ্যমে পরিবহন খাত এবং সমাজে একটি বড় পরিবর্তন আসবে বলে আমরা আশা করেন। এছাড়া এই প্রশিক্ষণের পর বাসচালক ও সহকারীদের সনদ প্রদান করার কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিটিসিএর ট্রেনিং অ্যাডভাইজর মোহাম্মদ হামিদ মিয়া। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন শুভাশীষ চন্দ্র মোহন্ত এবং ডিটিসিএর ট্রাফিক অ্যানফোর্সমেন্ট অফিসার মো. সেলিম খান।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) ‘নিরাপদ যাতায়াত, নারীবান্ধব নগর’ শীর্ষক একটি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, যার লক্ষ্য গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় হয়রানির সমস্যা মোকাবিলা এবং সব যাত্রীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও মর্যাদাপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। এই কার্যক্রম ‘কমিউনিটি-ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশে সুইডেন দূতাবাসের অর্থায়নে এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (DTCA)-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/

৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করার প্রস্তাব

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
৭ কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ করার প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভিার্সিটি’ নামে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (১৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সভায় এ প্রস্তাব করা হয়।

সভা শেষে এ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এসএম ফায়েজ।

তিনি বলেন, আমরা সাত কলেজ নিয়ে ঢাকা ‘সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’র প্রস্তাব রাখছি। সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত করা হবে। সরকার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

কবির/এমএ/

দাখিল পরীক্ষার সংশোধিত রুটিন প্রকাশ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৪ পিএম
দাখিল পরীক্ষার সংশোধিত রুটিন প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

দাখিল পরীক্ষার সংশোধিত নতুন সময়সূচি প্রকাশ করেছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড।

রবিবার (১৬ মার্চ) সংশোধিত এই নতুন সময়সূচি প্রকাশ  করা হয়।

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী ১০ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৩ মে শেষ হবে। তবে ১৩ এপ্রিলের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা ১৩ মে অনুষ্ঠিত হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা যথারীতি আগের সময় অনুযায়ী ১৪ থেকে ১৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রকাশিত সময়সূচিতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ নির্দেশনাবলিতে বলা হয়েছে:

১.পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে অসন গ্রহণ করতে হবে।

২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল অথবা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোন বিরতি থাকবে না পরীক্ষার্থীগণ তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। 

৪. কোন অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না, পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল অথবা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে।

৫. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ডে বর্ণিত বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

৬. কোন অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পরবে না।

৭. পরীক্ষার্থীগণ পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। 

মেহেদী/

চট্টগ্রাম-নোয়াখালী-ভোলা রুটে আবারও চলবে জাহাজ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
চট্টগ্রাম-নোয়াখালী-ভোলা রুটে আবারও চলবে জাহাজ
ছবি: এমভি বার আউলিয়া ও এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস

বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর হাতিয়া ও ভোলার চরফ্যাশন রুটে আবারও চালু হতে যাচ্ছে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল। আগামী ২০ মার্চ থেকে এমভি বার আউলিয়া ও এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামে বিলাসবহুল দু'টি অত্যাধুনিক জাহাজ প্রতিদিন ভোলার চরফ্যাশন, মনপুরা, ঢালচর ও নোয়াখালীর হাতিয়া হয়ে চট্টগ্রাম সদরঘাটে আস-যাওয়া করবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিসি'র ভোলা অঞ্চলের ম্যানেজার (মেরিন) মো. আল-আমিন বলেন, বার আউলিয়া জাহাজটি সরকারের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও দ্রুতগতি সম্পন্ন নৌ-যান, যা উপকূলবাসীর জন্য খুবই গুরুত্ববহন করবে। অপর জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে আমাদের দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে যাত্রী বহন করে চলাচল করবে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে জাহাজ দু'টি এ রুটে মাসখানেক চলাচল করেছিলো। কিন্তু বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আভ্যন্তরীন রুটের অসাধু দলীয় লঞ্চমালিক সিন্ডিকেট নিজেদের স্বার্থে এ জাহাজ চলাচল বন্ধ করিয়ে রেখেছিল। অবশেষে নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে আগামী ২০ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল আবারও নিয়মিত হচ্ছে।

বার আউলিয়া জাহাজের ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকাল ৮ টায় একটি জাহাজ চট্রগ্রাম সদরঘাট থেকে নোয়াখালী হয়ে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। একই সময়ে ভোলার চরফ্যাশন বেতুয়া ঘাট থেকে আরেকটি জাহাজ যাত্রী নিয়ে নোয়াখালী হয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।

তিনি আরও বলেন, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। জাহাজ দু'টি যাত্রীদের জন্য একটি আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা ও নোয়াখালীর হাতিয়ার সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় জাহাজ দু'টি প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় ঘাট দেবে। হাতিয়া থেকে ছেড়ে ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার ঢালচর ও রামনেওয়াজ লঞ্চঘাটে ঘাট দেবে। মনপুরা থেকে লালমোহন উপজেলার মঙ্গল শিকদার ঘাট দেবে। মঙ্গলশিকদার থেকে চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটে ভিড়ে যাত্রাবিরতি দেবে। একই নিয়মে প্রতিদিন উভয় এলাকা থেকে জাহাজগুলো চলাচল করবে।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

ঈদে রেলের অ্যাপ থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
ঈদে রেলের অ্যাপ থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলযাত্রায় যাত্রী হয়রানি ও প্রতারণা এড়াতে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা সরাসরি কাউন্টার থেকে যাত্রীদের টিকিট কেনার পরামর্শ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

গত ১৪ মার্চ থেকে ঈদযাত্রার ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বিপুল চাহিদার প্রেক্ষিতে কিছু অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিকিট কালোবাজারি করতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন আইডি থেকে ক্রয়কৃত টিকিট বেআইনিভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে। এতে যাত্রী সাধারণের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) ব্যবহার করে কিংবা সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকেট ক্রয়ের পরামর্শ দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে।

উল্লেখ্য, ঈদযাত্রায় (২৪ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত) একটি আইডি থেকে সর্বোচ্চ একবার চারটি টিকিট কেনা যাবে। এক্ষেত্রে আইডিধারী ব্যক্তির সহযাত্রীদের নামও ইনপুট দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনুরূপভাবে ফিরতি যাত্রার ক্ষেত্রেও (৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত) একটি আইডি থেকে সর্বোচ্চ একবার চারটি টিকিট কেনা যাবে। ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রয় করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) এবং নির্ধারিত কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোথাও ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। কোন যাত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্ধারিত অ্যাপ (রেল সেবা) এবং নির্ধারিত কাউন্টার ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা স্থান থেকে টিকিট ক্রয় করলে তিনি নিশ্চিতভাবে প্রতারিত হবেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী যে ব্যক্তির আইডি ব্যবহার করে টিকিট কেনা হবে ঐ ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন ও আইডিধারী ব্যক্তির ফটো সম্বলিত আইডি কার্ডসহ তাকে ভ্রমণ করতে হবে। আইডিধারী ব্যক্তি ও টিকেটে উল্লিখিত সহযাএী ব্যতীত অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না। কোন ব্যক্তি নিজের আইডি ব্যতীত অন্য কারো আইডি ব্যবহার করে ক্রয়কৃত টিকিটে ভ্রমণ করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কোন প্রতারকচক্র বা কালোবাজারি এরূপ অন্যের নামে বা অন্য কারো আইডি ব্যবহার করে ক্রয়কৃত টিকিট কারো নিকট বিক্রির চেষ্টা করলে তাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার জন্য অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যাত্রী সাধারণকে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও জিআরপি এর সহায়তা গ্রহণেরও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের হটলাইন ১৩১ নম্বরে ডায়াল করে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। সকল ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/