ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্র সংস্কারের বিভিন্ন রূপরেখা নিয়ে কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সক্রিয় সমর্থনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান তানজীমউদ্দিন খান। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খবরের কাগজের সিনিয়র সহ-সম্পাদক সানজিদ সকাল
খবরের কাগজ: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের ইতিহাস পরিবর্তনের এক ক্রান্তিকালে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কার কিভাবে করা যায় বলে আপনি মনে করেন?
তানজীমউদ্দিন খান: সংবিধানের ওপর ভিত্তি করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রকে সংস্কার করতে হলে সংবিধান পর্যালোচনা জরুরি। বর্তমান সময়ের রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। কারণ গত ১৬ বছর দেশে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিস্ট সরকার রাজত্ব করেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক সরকারব্যবস্থা। এই সরকার এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে সংবিধানে এমন কিছু উপাদান যুক্ত করা আছে, যার মাধ্যমে এক কর্তৃত্ব বা আধিপত্য বিস্তার করে থাকে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে বেশকিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। সংবিধানের সংশোধনীর মাধ্যমে একক কর্তৃত্ব বা ব্যক্তিবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে সংবিধান প্রণীত হওয়ার ক্ষেত্রেও নেতৃত্ব তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব পায়নি। যার ফলে সংসদের যিনি সরকারি দলের নেতা থাকেন, তিনিই সরকারপ্রধান হন। ঠিক একইভাবে যারা এমপি থাকেন, তারাই সরকারে থাকেন। তাদের মধ্য থেকেই মন্ত্রী বা ক্যাবিনেট গঠন করা হয়। যার ফলে কে বা কাকে জবাবদিহি করবে? আইন প্রণেতারা যখন নিজেই মন্ত্রী হন, তখন কে কাকে জবাবদিহির আওতায় আনবে। উপরন্তু, যিনি সরকারি দলের সংসদীয় নেতা বা নেত্রী হন, তিনিই আবার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। বর্তমান পদ্ধতিতে জবাবদিহির আর কোনো সুযোগ নেই। রাষ্ট্র সংস্কারের প্রথম ধাপ হিসেবে সংবিধান সংশোধনের বা সংস্কারের জন্য কাজ করা বিশেষ জরুরি। স্বৈরাচারী কাঠামো সংবিধান থেকে দ্রুতই বিলুপ্ত করতে হবে।
খবরের কাগজ: দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা কিভাবে সম্ভব বলে আপনি মনে করেন?
তানজীমউদ্দিন খান: গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের কাঠামোগত নীতির পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়েও নতুন করে ভাবনা খুবই জরুরি। আমাদের নির্বাচনি ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের নির্বাচনি ব্যবস্থা। যে রাজনৈতিক দল সবচেয়ে বেশি আসন পায়, তারা সবকিছুই তাদের অধীনস্থ করতে চায়। কিন্তু যারা সংখ্যায় কম আসন পায় বা যাদের জন সমর্থন কম, তাদের কিন্তু সরকারের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ থাকে না। সে অর্থে নির্বাচনি ব্যবস্থাপনায় কিভাবে সবার আংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টা ভাবতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এই আন্দোলন বা গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বিষয়টা আলোচনায় আসছে তা হলো রাষ্ট্র সংস্কার। রাষ্ট্র সংস্কারের যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে তা হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা। অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে গণতান্ত্রিক কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। সব মানুষের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠভিত্তিক যে নির্বাচনি ব্যবস্থা, সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আনুপাতিক ভোটের প্রেক্ষাপটে সংসদের আসন বণ্টন করা যায় কি না সেটা ভাবতে হবে। আমাদের মূল লক্ষ্যটা হবে সত্যিকারের একটা জন-গণতান্ত্রিক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ৫৩ বছর ধরে যে বিভক্তির রাজনীতি হয়ে আসছে, তাতে একেকজন একেক ধরনের বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। বিভক্তির রাজনীতিকে জনপ্রিয় করার মধ্য দিয়ে পুরো দেশের সংহতি বিনষ্ট হয়েছে। এবারের গণ-অভ্যুত্থানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা তা হচ্ছে মানুষের মধ্যে সংহতি, ঐক্যবদ্ধতা ও একতা তৈরি হয়েছে। তবে এই ঐক্যবদ্ধতাকে যদি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হয়, তা হলে সংবিধানের সংশোধন বা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। ঠিক একইভাবে নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা ঠিক করা খুবই জরুরি। শুধু এখানে থেমে থাকলেই হবে না, আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলছি- সেই গণতন্ত্রের চর্চা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের মধ্যেও করতে হবে। শুধু প্রধানমন্ত্রী দুই মেয়াদের বেশি থাকতে পারবে না- এটা নিশ্চিত করলেই হবে না। কেউ যদি পরপর দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন, তা হলে তার তৃতীয়বারের মতো হওয়ার সুযোগ থাকে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তার জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেও সংস্কার করা দরকার। রাজনৈতিক দলের সভাপতি যিনি হচ্ছেন, তিনিই সারা জীবন ওই দলের সভাপতি থেকে যাচ্ছেন। এই চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। রাজনৈতিক দলের যদি নিজস্ব গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে না ওঠে, গণতন্ত্রের চর্চা যদি না হয়, শুধু জাতীয় পর্যায়ে গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে না। জাতীয় পর্যায়ে যেমন জন-গণতান্ত্রিক কাঠামো নিশ্চিত করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরেও গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে এককভাবে কারও আধিপত্য বা দলের ভেতরে কেউ স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে টিকে থাকতে না পারে।
খবরের কাগজ: প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো ভাটা পড়েছে কি না, এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
তানজীমউদ্দিন খান: প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুপ্রতিম হওয়া উচিত। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যেভাবে তার ন্যায্য পাওনা ছিল, তা যথাযথভাবে সেই স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের ক্ষেত্রেও যে বিষয়গুলো ভারতের গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল, তা দেয়নি। বিশেষ করে বাংলাদেশের যে বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ; যেমন- সীমান্ত সংঘাত ও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড, পানির হিস্যা, ট্রেড ব্যালেন্স, বাণিজ্য ঘাটতি- সেগুলোতে ভারতের যতটুকু সোচ্চার থাকার কথা ছিল, তা থাকেনি। তার মানে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে একটা রাষ্ট্রের সঙ্গে আরেকটা রাষ্ট্রের যে সম্পর্ক, তা বজায় ছিল না। দুই দেশের সম্পর্ক ছিল ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্ক। আমাদের সরকারপ্রধানের ব্যক্তি সম্পর্ককে ঘিরেই জাতীয় স্বার্থকে তুচ্ছ করে ভারতের নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বন্দরের স্বার্থকে রক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো দরকষাকষির উপাদান রয়েছে, সেগুলোতে আমাদের নিজেদের স্বার্থকে রক্ষা না করে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানির সঙ্গে যে চুক্তি, সেখানেও আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না। অল্প কয়েক দিনেই বাংলাদেশের কাছে যে পাওনার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে, তা অচিন্তনীয়। ভারত সরকারের সঙ্গে যেসব ব্যবসায়ীর সুসম্পর্ক, সেইসব ব্যবসায়ীকেই বাংলাদেশে ব্যবসা ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণে স্বার্থ নিশ্চিত করেছে। ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতে যে চুক্তিটা হয়েছে, তা অসম চুক্তি। অনেক বেশি মূল্য দিয়ে বাংলাদেশকে আদানি থেকে বিদ্যুৎ আনতে হয়েছে। ভারতের সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যবসায়ী বা দলকে সন্তুষ্ট করতে শেখ হাসিনা সরকার অনেক বেশি মনোযোগী ছিল। কারণ আওয়ামী লীগ সরকারের যে নির্বাচনি ব্যবস্থা ছিল তা অগণতান্ত্রিক, যার কোনো বৈধতা ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকারের বৈধতা নিশ্চিত করতেই ভারতকে সমর্থন করে গিয়েছে। এভাবে ভারতের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ যথাযথভাবে রক্ষিত হয়নি।
খবরের কাগজ: অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর আমেরিকা ও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে কি আপনি মনে করেন? সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কে কোনো ঘাটতি বা পরিবর্তন হতে পারে কি না?
তানজীমউদ্দিন খান: চীনের সঙ্গে আগে থেকেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে কিছুটা টানাপড়েন ছিল। কিন্তু কোনোমতেই একদম বৈরী সম্পর্ক ছিল না। ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্কটা এতটায় একপেশে ছিল যে, দেশে একজন ব্যক্তির অনুপস্থিতির কারণে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে মানুষ বেশি চিন্তা করছে। এই জিনিসটা স্বাভাবিকভাবেই হতো না, যদি রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক তৈরি হতো। অনেকেই মনে করতে পারে যে, এই মুহূর্তে আমেরিকা ও চীন বেশি সুবিধা আদায় করতে পারে বাংলাদেশ থেকে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে কিন্তু সব সময় এমন দেখা যায় না। কেউ কেউ প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে এটা ঠিক। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে এখন অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু এশিয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে, এশিয়া প্যাসিফিক ও চীনের সিল্ক রোড নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে, সেহেতু বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার মানেই হচ্ছে আমাদের এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দরকষাকষির একটা সুবিধা আছে। আমাদের সেই দরকষাকষির জায়গাটা ঠিকমতো কাজে লাগাতে পারছি কি না দেখতে হবে। বাংলাদেশের এখন অর্থনৈতিক মুক্তি দরকার। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে আমাদের চিন্তামুক্ত রাখতে পারছি কি না তা দেখতে হবে। বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে কতটুকু দক্ষতার পরিচয় দেয় ও তৎপর থাকে, তার ওপর নির্ভর করছে।
খবরের কাগজ: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্কে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, এটাকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
তানজীমউদ্দিন খান: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি অনেক আগেই তৈরি হয়েছে। গত ১৬ বছরে আমরা যে রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে ছিলাম, তাতে এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থা চালু ছিল। এটাকে স্বৈরাচারী শাসনও বলতে চাই না। কারণ এটিকে ফ্যাসিজম বা অটোফ্যাসিজমের চাইতেও বেশি কিছু। যার কারণেই এটাকে আমি এক ব্যক্তিবাদী শাসনব্যবস্থা বলে থাকি। শিক্ষাব্যবস্থাও এক ব্যক্তিবাদী শাসনব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যারা প্রধান ছিলেন, তারা দলীয় পরিচয়টাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে অপব্যবহার করেছেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের আস্থার জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সম্পর্কটা হচ্ছে ক্ষমতার সম্পর্ক। যে দলের কারণে ক্ষমতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেই দল এখন ক্ষমতা নাই, সে কারণেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আজকের এই অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
খবরের কাগজ: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করছে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কী করা দরকার?
তানজীমউদ্দিন খান: দেশের আইন-শৃঙ্খলা এখনো স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে আসেনি। এর প্রভাব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এটা প্রথম উদাহরণ যে, কোনো দলের প্রধান বা একজন ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রভিসিরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়েছেন। পৃথিবীর কোনো দেশে কখনো এমন হয়নি। দলীয়করণ কেমন মাত্রায় গেলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়! বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা ওই রাজনৈতিক দলের অংশ হয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবর্তে দলের স্বার্থটাই তারা বড় করে দেখেছেন। যার ফলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোটাই ভেঙে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো ফিরিয়ে আনার জন্য তৎপর থাকা উচিত ছিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে ভিসি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তা কীসের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে? সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে কি না, তাও অস্পষ্ট। অল্প কিছুদিনের মধ্যে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসতে যতটুকু আশা করেছিলাম, ততটুকুও আসছে না।
খবরের কাগজ: খবরের কাগজকে সময় দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তানজীমউদ্দিন খান: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।