ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

বরিশাল যুবলীগ: ৩ বছরের কমিটি চলছে ৩১ বছর!

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৭ এএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
বরিশাল যুবলীগ: ৩ বছরের কমিটি চলছে ৩১ বছর!
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

১৯৯৩ সালের ১৯ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে বরিশাল জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। ওই সম্মেলনে জাকির হোসেন সভাপতি ও ফজলুল করিম শাহীন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

অন্যদিকে ২০০৪ সালে নিজামুল ইসলাম নিজামকে আহ্বায়ক, মেজবাহ উদ্দিন জুয়েল, মাহমুদুল হক খান মামুন ও সাহিন সিকদারকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে মহানগর যুবলীগের কমিটি গঠন করা হয়। 

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছরের জন্য করা জেলা কমিটির বয়স হয়েছে এখন ৩১ বছর! আর তিন মাসের মহানগর আহ্বায়ক কমিটি চলছে ২০ বছর ধরে! এরই মধ্যে যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদের অনেক নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন যুবলীগের পদ! নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়ায় আওয়ামী লীগের সহযোগী এই সংগঠনটি এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতির জন্য জেলা ও মহানগর যুবলীগ নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটির উদাসীনতাকে দায়ী করছেন। 

স্থানীয় যুবলীগ সূত্র জানায়, ৩১ বছর আগে জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া জাকির হোসেন বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।

এ ছাড়া ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম শাহিন রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে। ওই কমিটির চার নেতা এরই মধ্যে মারা গেছেন। কয়েকজন থাকছেন প্রবাসে। দেশে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই নিষ্ক্রিয়। অন্যদিকে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম এখন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। 

মহানগর কমিটির তিন যুগ্ম আহ্বায়কের মধ্যে মেজবাহ উদ্দিন জুয়েল ও সাহিন সিকদার রাজনীতিতে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। মাহমুদুল হক খান মামুন ২০১৩ সালে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় বহিষ্কার হয়েছেন। জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটিতে যারা আছেন তাদের বেশির ভাগই বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। ২০১৯ সালে যুবলীগের বয়স সীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। অধিকাংশ নেতা-কর্মী সেই নির্ধারিত বয়স সীমা আরও ১০ বছর আগেই অতিক্রম করেছেন। 

যুবলীগের নতুন নেতৃত্ব প্রত্যাশী একাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেছেন, তিন দশক ধরে জেলা ও দুই দশক ধরে মহানগরের নেতারা পদপদবি আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। তাদের কারণে ছাত্রলীগের অনেক নেতাও যুবলীগ করার বয়স হারিয়েছেন। এতে যুবলীগে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক যুবলীগ নেতা জানান, বরিশালের আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন অনেকটা নির্ভর করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ মতামতের ওপর। তবে সম্প্রতি তার বিরোধী শিবির হিসেবে পরিচিত জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম ও হাসানাত আবদুল্লাহ্‌র ছোট ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ্ যুবলীগের কমিটি গঠনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আবুল হাসানাতের মতামত ছাড়াই সেই চেষ্টায় সফলতা আসবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের বরিশালের কমিটি গঠনের বিষয়ে উদাসীনতা রয়েছে।
 
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা চলছে। জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে তিনটিতে আহ্বায়ক কমিটি এবং সাতটিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে।’ 

তিনি দাবি করেন, ‘কমিটি তিন দশকের পুরোনো হলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমে আমরা পিছিয়ে নেই। আমাদের বিশাল কর্মী বাহিনী দিয়ে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করা হয়। কমিটি গঠন কিংবা সম্মেলনের বিষয়ে কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট নির্দেশনা এলে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। কমিটি হলে যুবলীগে নতুন নেতৃত্ব আসবে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক নিজামুল ইসলাম নিজাম বলেন, ‘যুবলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন না আসায় আওয়ামী লীগেও নতুন নেতৃত্ব আসছে না। জেলা ও মহানগরে কমিটি দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্যোগ নিতে হয়। কিন্তু তেমন কিছু আমরা দেখতে পারছি না। যুবলীগকে আরও শক্তিশালী করতে সম্মেলন জরুরি হয়ে পড়েছে।’

এ বিষয়ে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি দিলে সংগঠন শক্তিশালী হয়। নতুন নেতৃত্ব আসে। রাজনীতিতে গতি আসে।’ 

একই ব্যক্তি আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার বিষয়টি তালুকদার মো. ইউনুসের নজরে আনা হলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে দুই সংগঠনে একসঙ্গে থাকার বিষয়টি নিয়ে কোনো কিছু উল্লেখ নেই। তবে, যুবলীগের পরবর্তী কাউন্সিলে তারা আর থাকতে পারবেন না।’
 
যুবলীগের বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম বদি খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিভাগের বরিশাল মহানগর, জেলা ও ঝালকাঠি জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়নি। অচিরেই এই তিন সাংগঠনিক ইউনিটের সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।’

শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না : জামায়াত আমির

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না : জামায়াত আমির
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা শহিদদের কোনো দলীয় ভিত্তিতে ভাগ করতে চাই না। শহিদরা জাতির সম্পদ, ইজ্জতের চূড়ান্ত সীমায় আমরা তাদের রাখতে চাই, দেখতে চাই। 

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের রাজবাড়ি ময়দানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘যারা লড়াই করে, বুকের রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে এ সমাজকে মুক্তি এনে দিয়েছেন এই পরিবারগুলোর প্রতি সরকারকে অবশ্যই তার নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। জাতিকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব শহিদদের সঠিক স্বীকৃতি যেন দেওয়া হয়। পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে আগামী দিনের নাগরিকরা যেন জানে তাদেরও আবু সাঈদরা ছিল।’ 

জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘প্রতিটি শহিদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যেন সরকার সম্মানজনক চাকরি তাদের হাতে তুলে দেয়। লড়াই করে যারা আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে, তাদেরও যেন সম্মানজনক চাকরি দেওয়া হয়। তারা যেন আজীবন কারও করুণার পাত্র হয়ে না থাকে।’ 

জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ জামাল উদদীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ।

এতে আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান, ঢাকা উত্তর অঞ্চল টিমের সদস্য আবুল হাসেম খান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন, গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির মুহাম্মদ খায়রুল হাসান, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সালাউদ্দিন আইউবী প্রমুখ।

পলাশ প্রধান/সালমান/

১০ সদস্যের প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন বিএনপির

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
১০ সদস্যের প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন বিএনপির
বিএনপি (লোগো)

দলের নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি’ গঠন করেছে বিএনপি।

কমিটিতে বিএনপির স্থায়ী সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়। পরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রাশিদা বেগম হীরা, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আরলী, গণশিক্ষাবিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য (দপ্তরে সংযুক্ত) মো. আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

বিএনপিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
বিএনপিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ
বিএনপি (লোগো)

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর)। এতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ছয়টি কমিশনের কাজ নিয়ে আলোচনা হবে। ওই দিন বেলা আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপিকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সংলাপ। বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শফিকুল আলম বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোকে কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাবে। উপদেষ্টারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তাদের (রাজনৈতিক নেতাদের) সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং তাদের পরামর্শ নেবেন।’ 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘দু-তিন দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন করা হবে যাতে তারা পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কমিশনের প্রধানরা ইতোমধ্যে তাদের কাজ শুরু করেছেন এবং কমিশনগুলোর কার্যপরিধি (টিওআর) ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে এবং উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবে।’

প্রেস সচিব বলেন, ‘সংস্কার কমিশনগুলো ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের নিজ নিজ রিপোর্ট জমা দেবে এবং তারপর উপদেষ্টা পরিষদ আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।’

সরকার সমালোচনাকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং কেউ সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।’

আ.লীগের বিবৃতি আ.লীগের শেকড় অনেক গভীরে, স্বমহিমায় ফিরবে

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আ.লীগের শেকড় অনেক গভীরে, স্বমহিমায় ফিরবে

দেশে এক সংকটময় অরাজক পরিস্থিতি চলছে উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশবাসীর পাশে আছেন বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে দীর্ঘ স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেউ যদি মনে করেন অত্যাচার, নির্যাতন করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেবেন তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। আওয়ামী লীগের শেকড় অনেক গভীরে, এ দেশের জন্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক। দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগ স্বমহিমায় ফিরে আসবে, দেশের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অপরাধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছিল দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, কেউ যদি অপরাধী হয়, দেশের আইন অনুযায়ী এর বিচার হোক। আমাদের সরকারও দলীয় অনেক অপরাধীকে বিচারের আওতায় এনেছিল। সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স দেখিয়ে সারা দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা তৈরি করেছিলাম। 

পোস্টে বলা হয়, এই সরকার মিডিয়া অফিস দখলে ইতোমধ্যে বিশ্ব রেকর্ড করেছে। এ পর্যন্ত সারা দেশে দেড় শতাধিক সাংবাদিকের নামে হত্যা মামলা দিয়েছে। তিন শতাধিক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে। 

দেশবাসীর উদ্দেশে বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সার্বিক অবস্থা সবার মধ্যে এক সংকটময়, অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনাদের পাশে আছেন এবং থাকবেন ইনশা আল্লাহ। আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশ ও দেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। 

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে ভারত যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে পোস্টে বলা হয়, এখন হয়তো সবকিছু অনুধাবন করতে পারছেন, কী পরিস্থিতিতে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা আরও লাশ চেয়েছিলো। তিনি চাননি আর কোনো বাবা-মায়ের বুক খালি হোক। তাই সময়ের প্রয়োজনে এ সাময়িক পদক্ষেপ নিয়েছেন। 

৫ আগস্ট পরবর্তী জাতীয় সংসদ ভবন, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, থানায় ‘হামলা, ভাঙচুর, লুটপাটের’ কথা তুলে ধরে বিবৃতি বলা হয়, ‘তখন সরকার আরও কঠোর হলে হয়তো আরও লাশ পড়ত, আরও অনেক বাবা-মায়ের বুক খালি হতো। তাই মানুষের জান-মাল রক্ষায় শেখ হাসিনা এ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করে পোস্টে বলা হয়, সবই করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে, স্থিতিশীলতা রক্ষার নামে বাইরের কোনো দেশকে বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরির সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

রাজু/এমএ/

ইসরায়েলি হামলা বন্ধে জাতিসংঘকে ব্যবস্থা নিতে মির্জা ফখরুলের আহ্বান

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
ইসরায়েলি হামলা বন্ধে জাতিসংঘকে ব্যবস্থা নিতে মির্জা ফখরুলের আহ্বান
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

কালবিলম্ব না করে লেবাননে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলা বন্ধ করতে জাতিসংঘকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, ‘এই প্রাণঘাতী, বিবেকহীন ও অর্থহীন যুদ্ধ এখনই বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারলে বিশ্ব আরও বেশি সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।’

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। 

লেবাননে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুধবার ইসরায়েল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলায় অসংখ্য শিশু, নারী ও পুরুষ হতাহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে বহু স্থাপনা। অথচ বিশ্ব নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল আলোচনার পর আলোচনা করছে। অথচ এখন পর্যন্ত এই ভয়ংকর প্রাণঘাতী যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে পারছে না। জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক হচ্ছে।’

সালমান/