ঢাকা ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আ.লীগের যৌথ সভা কোটা আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণ খোঁজার চেষ্টা

প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৫ এএম
আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
কোটা আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণ খোঁজার চেষ্টা
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ প্রায় ১৬ বছর টানা ক্ষমতায় আছে। দলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়েও নেতা-কর্মীরা বেশ স্বস্তিতে ছিলেন। কিন্তু এ অবস্থার মধ্যেই কোটা আন্দোলনকে সামাল দিতে রাজনৈতিকভাবে ব্যর্থতার বিষয়টি এখন বেশ আলোচনায়। কিন্তু কেন ‘কোটা আন্দোলন’ নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, সে প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে উঠছে। ফলে এ ঘটনায় সব ব্যর্থতার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব ‘কারণ’ খোঁজার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, রাজধানীর সব এমপি, মেয়র, কাউন্সিলরসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একই কথা বলেছেন। দলের অন্য নেতারা কথা বলতে চাইলেও তিনি নিষেধ করেন। উপস্থিত নেতাদের তিনি সাংগঠনিক নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে তৃণমূল নেতাদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দেন। 

এ সময় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা,যাত্রাবাড়ীর মতো স্থানে যেখানে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল হলে হাজার হাজার নেতা জড়ো হন। নেতাদের সমাগমের মাধ্যমে সমাবেশ হয়ে যায়-কোটা আন্দোলনের সময় এই লোকগুলো কোথায় ছিলেন? মাঝে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। পাড়া-মহল্লায় ঢুকে অগ্নিসংযোগ করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এত এত নেতা কোথায় ছিলেন? এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ও থানা কমিটি না হওয়ার ব্যর্থতার কথা ওঠে। নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ না হওয়ার কারণও খোঁজা হয়।

সূত্র জানায়, উপস্থিত একাধিক নেতা অর্থের বিনিময়ে ও ‘মাইম্যান’দের দিয়ে খসড়া কমিটি করার অভিযোগ তোলেন। এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা কমিটির কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই কমিটি দেওয়া হবে। আন্দোলনের এই সময় কমিটিগুলো প্রকাশ করা হলে বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের মধ্যে বড় ঝামেলা হতে পারে।

সভায় কোটা আন্দোলন প্রতিরোধে ছাত্রলীগের কার্যক্রম নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলন কেন রাজধানীসহ পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ল? এ জন্য রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন চলে এসেছে ছাত্রলীগ? এ জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগ নেতাদের বিভিন্ন হল রুমে হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগ কেন বেলুনের মতো চুপসে গেল? আর নেতারা যদি হল ছেড়ে না আসত তাহলে হয়তো এই অবস্থা হতো না। এত বছরেও কেন ছাত্রলীগ নেতারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারেনি। বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের কমিটি নেই। নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, ছাত্রলীগের নেতারা বিশেষ করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাবি শাখা এবং হল কমিটির নেতারা যদি ঐক্যবদ্ধ থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাখত, তা হলে হয়তো আন্দোলন সারা দেশে ছড়াত না। 

সভা শেষে ঢাকা ১৫ আসনের এমপি কামাল মজুমদার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞেস করেন ‘কই ছিলে’? এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এমপি কামাল মজুমদারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিজান। এমপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি (কামাল মজুমদার) কই ছিলেন এত দিন? এত দিন আন্দোলন হলো; আপনাকে তো দেখা যায়নি! ফোন দিলে ধরেননি, মেসেজ দিলেও রিপ্লাই দেননি! ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এখন উল্টো জিজ্ঞেস করেন কই ছিলে? এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নেতাদের থামিয়ে বলেন, এমপির বয়স হয়েছে! এগুলো এখানে বলার বিষয় না। তখন পেছন থেকে এক নেতা (মহানগর উত্তর) বলে উঠেন- আপনাদের কারণে এই এমপিরা প্রশ্রয় পাচ্ছেন! এর আগে দলের সাংগঠনিক একাধিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন ওবায়দুল কাদের। 

যৌথ সভার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সভায় দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার একাধিক নির্দেশনা দিয়েছেন। রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোথাও কোনো অচেনা ও সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে নেতারা প্রশাসনের কাছে তুলে দেবেন। কারফিউর কারণে যারা কাজ করতে পারছেন না- তাদের এবং দিনমজুর মানুষের কাছে খাবার বিতরণের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, কোটা আন্দোলন ইস্যুতে গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটে। এ সময় দফায় দফায় হামলা আর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোটা আন্দোলনকারীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীতে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে চেয়েছিল। কিন্তু আন্দোলন রাজধানীসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ১০ নম্বরসহ একাধিক স্থানে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়তে হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাঙচুর ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ও সারা দেশে কারফিউ জারি করে প্রশাসন। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্থায়ী রূপ দিতে চায় বিএনপি : ফখরুল

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে স্থায়ী রূপ দিতে চায় বিএনপি : ফখরুল
বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে কথা বলছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে স্থায়ী রূপ ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে চায় বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কার তো করতেই হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে সংস্কারের পক্ষে বিএনপি।’

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

৬ দিন চিকিৎসা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বিএনপি মহাসচিব ও তার সহধর্মিনী রাহাত আরা বেগম। 

অন্তর্বর্তী সরকার স্বল্প সময়ে যে সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছে, তা যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তাই জনগণের উচিত সরকারকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়া। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য গার্মেন্টস সেক্টরের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের যে লক্ষ্য তা ধরে রাখতে হবে।’ 

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘ঘটনার চেয়ে অপপ্রচার বেশি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু কিছু তথ্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। আমি মনে করি, বিপ্লবের পর একটা সমস্যা থাকে। দ্রতই সমস্যা সমাধানও হবে।’

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সস্ত্রীক সিঙ্গাপুর যান মির্জা ফখরুল।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

পরাজিত শক্তি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিবিপ্লব ঘটাতে চায় : শিমুল বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম
পরাজিত শক্তি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিবিপ্লব ঘটাতে চায় : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিক কর্মচারী সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। ছবি : খবরের কাগজ

পরাজিত শক্তি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিবিপ্লব ঘটাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং শ্রমিকদলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। 

তিনি বলেন, ‘একটি মহল দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির সুনাম নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। যদি কেউ কোনো অপকর্ম করেন, জানমালের জন্য যদি কেউ হুমকি হয়ে দাঁড়ান, তাহলে তার ছাড় নেই, সে যত বড় নেতাই হোন। বিএনপি জনমানুষের দল। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে দখল-চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শিল্প কারখানায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা জেলা শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক কর্মচারী সমাবেশে এসব কথা বলেন শিমুল বিশ্বাস।

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসী আবারও সক্রিয় হয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছে। পরে দেখা যায়, এরা বিএনপির কেউ নয়, ধরা পড়ার পর তদন্তে দেখা যায় যুবলীগ অথবা ছাত্রলীগ। যে কয়েকজন বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ এবং দখলবাজের স্থান নেই।’

দীন ইসলামের সভাপতিত্বে ও শ্রমিকনেতা হোসেন আলীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ডা. সালাউদ্দিন বাবু, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, শ্রমিকনেতা হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিকনেতা কফিল উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, রেফাত উল্লাহ প্রমুখ।

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই : ডা. জাহিদ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই : ডা. জাহিদ
ত্রাণ সংগ্রহ শেষে কথা বলছেন ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পরাজিত শক্তির লোকেরা বসে নেই। তারা দেশে-বিদেশে নানা চক্রান্ত করছে। প্রশাসনের সব সেক্টরে এখনো তাদের লোক বসে আছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকারকে বলব, তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিন।’ 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে ত্রাণ সংগ্রহ শেষে এসব কথা বলেন ডা. জাহিদ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা পাশের দেশের বড় বড় নেতাদের বক্তব্য শুনলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিককে ষড়যন্ত্র মোকবিলায় এগিয়ে আসতে হবে।’ 

বিএনপির ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ১৪ দিন ধরে বন্যাদুর্গতদের মাঝে আমরা ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি টাকার অধিক মূল্যের ত্রাণ সহায়তা আমরা পৌঁছে দিয়েছি। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, গৃহবধূ, রিকশাশ্রমিক, শ্রমজীবী মানুষ, প্রবাসী ভাই ও বোনেরাসহ অসংখ্য মানুষ আমাদের ত্রাণ তহবিলে সহায়তা করেছে। আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যে তাদের পুর্নবাসনে সহায়তা করব। তাদের বাড়িঘর নির্মাণ, কৃষি কাজ, বীজ সরবরাহসহ বিভিন্নভাবে সাধ্যমতো সহায়তা করা হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যাকবলিত এলাকায় রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রেখেছে ড্যাব, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনসহ আমাদের চিকিৎসকরা।’ 

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের রেজাউর করিম পল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহিদুল কবিরসহ ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মিজানুর রহমান/সালমান/

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক : মান্না

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক : মান্না
মাহমুদুর রহমান মান্না (ফাইল ছবি)

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যে গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘তার বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং উসকানিমূলক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। এমন কোনো মন্তব্য ভারতের কাছ থেকে আসা উচিত নয়, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়। কিন্তু তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন, ইসরায়েল-হামাস এর পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধপরিস্থিতি নেই বরং সম্প্রতি বাংলাদেশের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে স্বস্তিতে আছে। রাশিয়া, ইউক্রেন, ইসরায়েল ও হামাসের সঙ্গে সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা দুরভিসন্ধিমূলক।’

স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অন্য সব রাষ্ট্রের মতো প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু এই বন্ধুত্ব হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে এবং দুই দেশের জনগণের প্রত্যাশাকে সম্মান জানিয়ে। অন্যথায় শেখ হাসিনার শাসন-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ কূটনীতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে। ভারতের মনে রাখা উচিত, সেই সক্ষমতা আমাদের আছে।’

‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পিএম
‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি’
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে নজর রাখতে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি এক প্রকাশ্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফয়জুল হাকিম বলেন, “গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা থেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার উচ্ছেদ হয়েছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে এবং সেখানে বসে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে’ নজরে রাখার বক্তব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ।”

ভারতীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। 

এ ছাড়া বিবৃতিতে ভারতীয় চক্রান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।

সালমান/