সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভর করে বাংলাদেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে, আসলে এটা কোনো রাজনৈতিক ঘটনা নয়। এটা সম্পূর্ণ জঙ্গিবাদী কাজ। দেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের জঙ্গিবাদী আন্দোলন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াতের এই জঙ্গিবাদী আন্দোলন ১৪ দল যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করবে।’
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ১৪ দলের সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সভায় সূচনা বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান। বক্তৃতায় তিনি বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নি-সন্ত্রাস এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের সকল দাবি এরই মধ্যে মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও কেন এই আন্দোলন? এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যে আছে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা।’
সভায় ১৪ দলের উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড সিকান্দর আলী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মো. আরিফ মিয়া, জেলা জাতীয় পার্টি (জেবি) এর সভাপতি ইফতেখার আহমদ লিমন, জেলা ন্যাপ সভাপতি মো. আব্দুল ওদুদ, মহানগর জাসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক আহমদ, জেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী, ন্যাপ মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আপ্তাব মিয়া, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস আহমদ, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. জুনেদুর রহমান, মহানগর গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কাপালী, সাধারণ সম্পাদক ব্রজ গোপাল চৌধুরী, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন, জেলা সাম্যবাদী দলের সদস্য নিবাস চক্রবর্তী ও সজল রায় প্রমুখ।
সভায় ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো আজ বিভক্ত। আর এই বিভক্তির সুযোগ নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের উপর ভর করে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এমনকি তারা একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের সেই হীন চক্রান্ত ঐক্যের মাধ্যমে ১৪ দলের নেতৃবৃন্দের প্রতিহত করা সক্ষমতা রয়েছে।