ছবি : খবরের কাগজ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা ও চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যার ঘটনায় গায়েবি পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভে করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বসুরহাট বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে আরডি শপিং কমপ্লেক্সে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি। এতে বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার বলেন, ‘বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে হত্যা করেছেন আওয়ামী সন্ত্রাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য শিল্পপতি ফখরুল ইসলামকে দায়ী করে পোস্টারিং করেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
নিহত আবদুল মতিন তোতার ছেলে ইমাম উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কে বা কারা এ ধরনের পোস্টারিং করেছে, তা আমরা জানি না। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা এ ষড়যন্ত্রের বিচার চাই।’
এর আগে শনিবার রাতে আবদুল মতিন তোতা হত্যায় উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ফখরুল ইসলামকে দায়ী করে এলাকায় পোস্টারিং করা হয়। এতে দলের নেতাদের ছবির পাশাপাশি বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের ফাঁসি লাগানো বিকৃত ছবি ছাপানো হয়। পরে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেন বিএনপি কর্মীরা।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন, যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজনসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গায়েবি পোস্টারিংয়ের বিষয়ে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম ঢাকার মেট্রো হোমস লিমিটেড এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
গত ৩০ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা (৬৫) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এর আগে ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে তাকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর নিহত তোতার ছেলে ইসমাইল বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এতে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।