ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যোগাযোগবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
যোগাযোগবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরই নিশ্চুপ হয়ে যান দলের অন্য নেতারা। কী করবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। কিন্তু কমিটির অনেক নেতাই নিজের বাসা ছেড়ে অন্যত্র উঠেছেন। দলটির শীর্ষ একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশত্যাগের আগে দলের জন্য একটি ভিডিও বার্তা রেখে যেতে চেয়েছিলেন। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি বার্তাটি সম্পূর্ণ না করে হেলিকপ্টারযোগে দেশত্যাগ করেন। ততক্ষণে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো সব যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হন। এর আগে রবিবার রাতে (৪ আগস্ট) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। তবে বৈঠকে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে কেউই মুখ খোলেননি।

তথ্য মতে, আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকেই দলটির কার্যালয়ে একযোগে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া অফিস করতেন। এই কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে অফিশিয়ালি আর দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের পরই দলের পরবর্তী নির্দেশনা সম্পর্কিত কোনো ধরনের বিবৃতিও দেওয়া হয়নি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুজন সম্পাদকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে নেতারা জানান, দলীয় সভাপতি শেষ কী নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তা তারা জানেন না। 

হোয়াটসঅ্যাপে সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় নেই। অন্য জায়গায় সরে এসেছি। এখনো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।’

বাংলাদেশ নিয়ে কটূক্তি জনগণ মেনে নেবে না : ফারুক

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
বাংলাদেশ নিয়ে কটূক্তি জনগণ মেনে নেবে না : ফারুক
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দিচ্ছেন জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি : খবরের কাগজ

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আপনি হিন্দুস্থানের রাজা হতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের কিছুই না। বাংলাদেশ নিয়ে কটূক্তি করবেন না, এ দেশের জনগণ এটা মেনে নেবে না।’ 

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মোটরচালক দল আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, ‘অতীতে কখনো জনগণ মানেনি, এখনো মানবে না। আপনি (রাজনাথ সিং) বাংলাদেশকে বাজারে রূপান্তরিত করবেন, সেটা হবে না। এটা শেখ হাসিনার গোলামের সরকার পান নাই। এটা কিন্তু আবু সাঈদের রক্তের সরকার। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সরকার। এ সরকারকে অবহেলা করার কিছু নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্র হরণ করেছিল। অসংখ্য মায়ের বুক খালি করেছে। ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অসংখ্য বিএনপি নেতাকে গুম করেছে। সেই শেখ হাসিনা আজ আর নেই। ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাই আজ আমরা স্বাধীন। স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ শেখ হাসিনা নাই। তারপরও কেন আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হবে? কারণ আমাদের ভয় হয়। শেখ হাসিনা ১৬ বছর শাসনে বাংলাদেশের অর্থ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। গরিব-দুঃখীর পেটে লাথি মেরেছে। তার দোসর বিভিন্ন জায়গায় এখনো প্রতিষ্ঠিত, তারা আবার ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, তারা যেন আবার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষদের শোষণ না করে।’ 

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসররা এখনো বিভিন্ন অধিদপ্তর-মন্ত্রণালয়ে স্বপদে বহাল আছে। তারা এখনো থাকে কী করে? অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।’ 

অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মোটরচালক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিম রেজা বাবু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিপন বাঁকাউল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম
মঞ্জুর আলম ও মো. রুমেল খান

সিলেট নগরীর বনকলা পাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও তার সহযোগীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন নগরীর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম ও তার সহযোগী  মো. রুমেল খান। তারা দুজনেই বনকলা পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহত দুজনের মধ্যে মঞ্জুর আলমের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। রুমেল এখানে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। 

আহত রুমেল খান বলেন, ‘বিগত সিটি নির্বাচনে আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব ভাইয়ের সমর্থন করে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলাম এই জন্য আমার ওপর হামলা হয়েছে। রাতে কারেন্ট ছিল না তাই আমি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন এলাকার বিএনপির দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে এসে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। তখন তারা বলে আমি কেন আফতাবের সর্মথন করেছি। তাদের হামলায় আমার পিঠ এবং উভয় উরুতে গভীর ক্ষত হয়েছে। এই হামলাকারীরা পরে কাছাকাছি একটি সেলুনে গিয়ে মঞ্জুর ভাইকে বের করে আক্রমণ করে। তার একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’

শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/

ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তা দিলো ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তা দিলো ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি
চেক হস্তান্তর করছেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ মরিরুজ্জামান মনির

দেশের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার লক্ষ্যে দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে অর্থ সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি। 

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক অনুষ্ঠানে সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়।

ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু ও সাধারণ সম্পাদক এম ওয়াহিদ রহমানের তত্ত্বাবধানে এবং দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সহযোগীতায় সংগৃহীত ৫ লাখ ২৫ হাজার ২০ টাকার একটি চেক বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ সংগ্রহ কেন্দ্রে জমা দেওয়া হয়।

চেকটি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্ববায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদের কাছে হস্তান্তর করেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ মরিরুজ্জামান মনির।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।

সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের পূর্বাঞ্চলের অনেক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তাৎক্ষণিক নির্দেশে পূর্বঘোষিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি স্থগিত করে ৩১ আগস্ট বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

যুবদল নেতার ভিডিও ভাইরাল কুষ্টিয়া থানা আমি নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
কুষ্টিয়া থানা আমি নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি
আব্দুল মাজেদ

‘এখানে আন্দোলনকারীরা আছে, তাদের জিজ্ঞাসা করেন, কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।’ গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর, কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙার কথা স্বীকার করেন জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ। নিজ এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তার নেতৃত্বে থানা ভাঙার স্বীকারোক্তি দিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। এ নিয়ে জেলাব্যাপী চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

গত ৭ আগস্ট বিকেলে সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি রোধে চালকল মালিক ও স্থানীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ। ওই সমাবেশের ৪ মিনিটের একটি বক্তৃতার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মাজেদ। এ সময় মাজেদ বলেন, ‘শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই শেখ হাসিনার সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। কুষ্টিয়ায় শেষের দিন, যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, এখানে আন্দোলনকারীরা আছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।’

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় চলে ব্যাপক ভাঙচুর, অস্ত্র ও জিনিসপত্র লুটপাট ছাড়াও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট ৮ থেকে ১০ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আব্দুল আলিম। তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মাহফুজুল হক চৌধুরী।

এ বিষয়ে আব্দুল মাজেদের মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘এই ধরনের বক্তব্য যদি তিনি (মাজেদ) দিয়ে থাকেন তা হলে ঠিক করেননি। বিষয়টি কেন্দ্রকে অবগত করা হবে। কেন্দ্র নির্দেশ দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দলের নেতা হত্যায় গায়েবি পোস্টারিং, বিএনপির ক্ষোভ

প্রকাশ: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ এএম
দলের নেতা হত্যায় গায়েবি পোস্টারিং, বিএনপির ক্ষোভ
ছবি : খবরের কাগজ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বিএনপি নেতা ও চরএলাহী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন তোতা হত্যার ঘটনায় গায়েবি পোস্টারিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভে করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বসুরহাট বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে আরডি শপিং কমপ্লেক্সে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি। এতে বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আলম শিকদার বলেন, ‘বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতাকে হত্যা করেছেন আওয়ামী সন্ত্রাসী রাজ্জাক চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য শিল্পপতি ফখরুল ইসলামকে দায়ী করে পোস্টারিং করেছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

নিহত আবদুল মতিন তোতার ছেলে ইমাম উদ্দিন সবুজ বলেন, ‘ফখরুল সাহেব ভালো মানুষ। তার বিরুদ্ধে কে বা কারা এ ধরনের পোস্টারিং করেছে, তা আমরা জানি না। আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। আমরা এ ষড়যন্ত্রের বিচার চাই।’

এর আগে শনিবার রাতে আবদুল মতিন তোতা হত্যায় উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. ফখরুল ইসলামকে দায়ী করে এলাকায় পোস্টারিং করা হয়। এতে দলের নেতাদের ছবির পাশাপাশি বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের ফাঁসি লাগানো বিকৃত ছবি ছাপানো হয়। পরে পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলেন বিএনপি কর্মীরা।

এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মাহমুদুর রহমান রিপন, পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল মতিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন, যুবদলের আহ্বায়ক ফজলুল কবির ফয়সাল, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজনসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গায়েবি পোস্টারিংয়ের বিষয়ে শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ফখরুল ইসলাম ঢাকার মেট্রো হোমস লিমিটেড এবং ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান। তিনি দীর্ঘদিন নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

গত ৩০ আগস্ট দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত বিএনপি নেতা আবদুল মতিন তোতা (৬৫) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চরএলাহী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। এর আগে ২৭ আগস্ট রাতে চরএলাহী বাজারে তাকে কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর নিহত তোতার ছেলে ইসমাইল বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এতে চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।