আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরই নিশ্চুপ হয়ে যান দলের অন্য নেতারা। কী করবেন, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। কিন্তু কমিটির অনেক নেতাই নিজের বাসা ছেড়ে অন্যত্র উঠেছেন। দলটির শীর্ষ একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশত্যাগের আগে দলের জন্য একটি ভিডিও বার্তা রেখে যেতে চেয়েছিলেন। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তিনি বার্তাটি সম্পূর্ণ না করে হেলিকপ্টারযোগে দেশত্যাগ করেন। ততক্ষণে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো সব যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হন। এর আগে রবিবার রাতে (৪ আগস্ট) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতার সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। তবে বৈঠকে কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে কেউই মুখ খোলেননি।
তথ্য মতে, আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনা সরকার থেকে পদত্যাগ করেছেন। এরপর থেকেই দলটির কার্যালয়ে একযোগে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া অফিস করতেন। এই কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে অফিশিয়ালি আর দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের পরই দলের পরবর্তী নির্দেশনা সম্পর্কিত কোনো ধরনের বিবৃতিও দেওয়া হয়নি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দুজন সম্পাদকের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে নেতারা জানান, দলীয় সভাপতি শেষ কী নির্দেশনা দিয়ে গেছেন তা তারা জানেন না।
হোয়াটসঅ্যাপে সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বাসায় নেই। অন্য জায়গায় সরে এসেছি। এখনো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না।’