ঢাকা ৩১ ভাদ্র ১৪৩১, রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তারেক রহমানের ভিডিও বার্তা কেউ প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না

প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৩ পিএম
কেউ প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গৌরবজনক ঐতিহাসিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সাহসী ছাত্র-জনতাকে বীরোচিত অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

সোমবার (৫ আগস্ট) লন্ডন থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান। 

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিজয়ের আনন্দঘন সময় রাহুমুক্তির এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহ করে কেউ প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না।

তারেক রহমান বলেন, হাজারও শহিদের প্রাণের বিনিময়ে জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনার পতন হয়েছে। রাহুমুক্ত হয়েছে প্রিয় বাংলাদেশ। জনতার বিপ্লবের প্রথম ধাপ চূড়ান্তভাবে সফল হয়েছে। লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ কখনো পরাজয় মানতে পারে না। এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে, দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থাকলে এই বাংলাদেশকে কেউ কখনো পরাজিত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, ‘বিজয়ের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে আমি আজ সেই সব মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই, এই গণবিপ্লবে যারা তাদের প্রিয় সন্তান হারিয়েছেন। এভাবে গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনকালে অনেক সন্তান তার প্রিয়তম পিতা হারিয়েছেন, অনেক স্ত্রী প্রিয়তম স্বামী হারিয়েছেন, গুম, খুন, অপহরণ করে অসংখ্য মায়ের বুক খালি করে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সন্তানের শহিদী মৃত্যু স্বজনদের ত্যাগ-তিতিক্ষায় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আরেকটি বিজয় দেখেছে বাংলাদেশ।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব সফল করতে গিয়ে অসংখ্য ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। বাসায়, হাসপাতালে কিংবা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন যন্ত্রণাবিদ্ধ সময়ে সব ভালোবাসা নিয়ে আপনাদের পাশে আজ সারা বাংলাদেশ। খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের কারামুক্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ছাত্রছাত্রীরা যাতে আবার স্বাভাবিকভাবে হলে, হোস্টেলে, ক্লাসে ফিরতে পারে এবং পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে, আশা করি সরকার সবার আগে সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষকে জিম্মি করে সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। গণহত্যাকারী, খুনি হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, লুণ্ঠিত ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেছে। এর মধ্য দিয়ে জনগণের বিপ্লবের প্রথম ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যেদিন দেশের সাড়ে ১২ কোটি ভোটার নিরাপদে-নিশ্চিন্তে ভোট দিয়ে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, রাষ্ট্র-সরকার-শাসন-প্রশাসনে মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র সাম্য-মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, সর্বোপরি একটি গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গড়তে পারবে, তখনই জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের চূড়ান্ত সফলতা আসবে।

ভিডিও বার্তায় তারেক রহমান আরও বলেন, জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাই যথাসম্ভব দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিএনপিসহ বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সব রকমের সহযোগিতা করবে। 

সব শেষে তিনি বলেন, ‘এবার আপনাদের কাছে আমি একটি বিনীত আহ্বান রাখতে চাই। বিজয়ীর কাছে পরাজিতরা নিরাপদ থাকলে বিজয়ের আনন্দ মহিমান্বিত হয়। সুতরাং বিজয়ের এই আনন্দঘন সময় রাহুমুক্তির এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহ করে কেউ প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেবেন না। অর্জিত বিজয় যাতে লক্ষচ্যুত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক এবং সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আপনাদের প্রতি আহ্বান। ’৫২, ’৭১ কিংবা ’৯০-এর মতো ছাত্র-জনতা আবারও একটি বিজয়ের ইতিহাস রচনা করেছেন।’ 

শিবগঞ্জে বিএনপির ২ নেতাকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ এএম
শিবগঞ্জে বিএনপির ২ নেতাকে কুপিয়ে জখম
গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেকে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবকদলের দুই নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কালুপুর পাগলা সেতু সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, শিবগঞ্জ পৌর এলাকার চকদৌলতপুর মহল্লার নজরুল ইসলামের ছেলে ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি দিপু (৩৫) এবং একই এলাকার হাউস আলীর ছেলে ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদলের সহ-সভাপতি সুবেল (৩০)। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একই ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. শহিদুল ইসলাম।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে একটি মোটরসাইকেলে উপজেলার দূর্লভপুর বাজার থেকে শিবগঞ্জ বাজারে আসছিলেন দিপু ও সুবেল। এ সময় কালুপুর পাগলা সেতু এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে জখম করে। তাদের পা ও হাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রবিউল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘স্থানীয়রা দুইজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের দুজনের অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার পরির্দশক সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ খবরের কাগজকে বলেন, ‘কালুপুর পাগলা সেতু এলাকায় দুজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জহুরুল/ইসরাত চৈতী/

খুলনায় একদিন পিছালো বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
খুলনায় একদিন পিছালো বিএনপির সমাবেশ
খুলনা বিএনপির অফিস। ছবি: খবরের কাগজ

খুলনায় বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি ঘোষিত আজকের (রবিবার) সমাবেশ ও র‌্যালির কর্মসূচি একদিন পিছানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নগরীর জিয়া হল চত্বরে দুপুর আড়াইটায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। 

বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কর্মসূচি ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কর্মসূচিতে যেহেতু বিভাগের ১০ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন এ কারনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ভোগান্তি এড়াতে কর্মসূচি একদিন পিছানো হয়েছে। মঙ্গলবার নগরীর শিববাড়ি মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গণঅভুত্থান পরবর্তী সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে এটি। এজন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশা করছি সমাবেশে লক্ষাধিক লোক উপস্থিত হবে।’

মাকসুদ রহমান/ইসরাত চৈতী/

গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে : মঈন খান

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে সরকারকে যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে : মঈন খান
দোয়া মাহফিলে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কারের যৌক্তিক সময় দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতা অর্জনকারীরা বর্তমান সরকারকে দায়িত্বে নিয়োজিত করেছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকারের কাছে দায়িত্ব হন্তান্তরে সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধারণে সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি।’ 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও নিহত-আহতদের জন্য আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। 

নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে এ দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

এ সময় নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা ও নাহিদের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ অন্যরা।

গণতন্ত্র দিবসের সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন বিএনপির

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৪ পিএম
গণতন্ত্র দিবসের সমাবেশের তারিখ পরিবর্তন বিএনপির
বিএনপি (লোগো)

আগামীকাল ১৫ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’। এ দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস সমাবেশের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেছে বিএনপি। পুনঃনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এই সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সমাবেশের আয়োজক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। 

তিনি জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রবিবার গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনের সমাবেশ স্থগতি করেছে বিএনপি। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে সমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে বরিবার বিভাগীয় শহরে শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে। নেতা-কর্মীরা তাদের সুবিধামতো সময়ে কর্মসূচি পালন করবেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ এবং দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরগুলোতে শোভাযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানসহ এ পর্যন্ত নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ডকুমেন্টেশন করতে হবে : মাহমুদ স্বপন

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ডকুমেন্টেশন করতে হবে : মাহমুদ স্বপন
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন

অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে চিত্রিত অসাধারণ গ্রাফিতিগুলো ইতিহাসে অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগে ডকুমেন্টেশন করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর গণআকাঙ্ক্ষা ও বিকশিত চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে গ্রাফিতের মাধ্যমে। সারা দেশের দেয়াল থেকে মুছে যাওয়া বা বিবর্ণ হওয়ার আগেই সরকারি উদ্যোগে তা ডকুমেন্টশন করতে হবে। 

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের প্রতিনিধিসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী। 

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, শিক্ষার্থীরা গ্রাফিতের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন চিত্রায়িত করেছে। সারা দেশে দেয়াল লিখন তথা গ্রাফিতি বৈষম্যবিরোধী সমাজ প্রতিষ্ঠাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে উদ্ভাসিত করেছে। এই অনন্য গণ-অভ্যুত্থান এবং পরাক্রমশালী স্বৈরাচারের বিদায় বাংলাদেশে ‘অংশীদারত্বের গণতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে প্রেরণা জোগাবে।

সভায় চারটি দাবি তুলে ধরে জেএসডি। দাবিগুলো হলো- ডিজিটাল ফরম্যাটে গ্রাফিতিগুলোর ডকুমেন্টেশন ধারণ করতে হবে। পুস্তক ও স্মারক গ্রন্থ আকারে সংরক্ষণ ও প্রকাশ করতে হবে। জুলাই জাদুঘরে গ্রাফিতি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। জুলাই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতিবছর জুলাই মাসে ‘জাতীয় গ্রাফিতি অঙ্কন’ সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নিতে হবে।  

এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহসভাপতি বেগম তানিয়া রব, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, ডাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক নুরুল আক্তার,মোশারফ হোসেন, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, মোহাম্মদ নুরুন্নবী, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ মোস্তাক, আবুল কালাম,নাসির উদ্দিন স্বপন, এস এম মনিরুজ্জামান মনির, সৈয়দ ওমর ফারুক সেলিম, রফিকুল ইসলাম রাজা, মফিজুর রহমান বাবুল, মোহাম্মদ মনির হোসেন,নুরে আলম বাবু, মোহাম্মদ সোহেল প্রমুখ। 

শফিকুল/সালমান/