ঢাকা ২৬ কার্তিক ১৪৩১, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনে আ.লীগ নেতা আটক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনে আ.লীগ নেতা আটক
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালানোর সময় রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ওমর ফারুককে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি পৌর আওয়ামী লীগের ৯নং ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

রহনপুর ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক ব্যক্তি ৫ আগস্ট থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত তার বোনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। আজ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জহুরুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/অমিয়/

চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফরসহ ৭৩৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পিএম
চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফরসহ ৭৩৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম। ছবি: সংগৃহিত

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপিসহ ৭৩৬ জন নেতাকর্মীকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে চকরিয়া থানায় মামলা দুটি করা হয়। 

এর মধ্যে চকরিয়ায় ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর রাতে মাতামুহুরী ব্রিজে ইজিবাইকে আগুন দেওয়ার অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়।

প্রথম মামলায় ১৮০ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন চকরিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজেম উদ্দিন। আর ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে অপর মামলাটি করেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

রাজু দাশ/তাওফিক/অমিয়/

বিএনপি ক্ষমতায় এলে বৈষম্য থাকবে না : ডা. এ জেড এম জাহিদ

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ এএম
বিএনপি ক্ষমতায় এলে বৈষম্য থাকবে না : ডা. এ জেড এম জাহিদ
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান অডিটরিয়ামে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। 

বিএনপি নেতা ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, 'অচিরেই দেশের ঐক্যবদ্ধ জাতি সসম্মানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে আছেন। অথচ আরেক নেত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আল্লাহ কাউকে ছাড় দেন না। আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশে কোনো বৈষম্য থাকবে না। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। ভালো কাজের মাধ্যমে ধানের শীষের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে।'

তিনি বলেন, 'শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি কোনো ধরনের বৈষম্য বা বিভাজনে বিশ্বাস করে না। এ কারণেই শহীদ জিয়া দিয়ে গেছেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ।'

স্বাধীনতার পর যাদের দায়িত্ব ছিল গণতন্ত্র রক্ষা, তারাই মাত্র ১১ মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল মন্তব্য করে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'মাত্র চারটি পত্রিকা রেখে দেশের সব সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা মুখে বলে এক কথা, করে তার উল্টোটা। আওয়ামী লীগ আত্মগোপন ও পলায়নের দল। লঙ্গরখানা ও কম্বল চোরের দল। দেশের ১৭ লাখ কোটি টাকা লুণ্ঠনকারী দল আওয়ামী লীগ। তারা পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মায়ের পেটের বাচ্চাকে হত্যা করেছে। রাজনীতি করতে হলে আওয়ামী লীগকে জাতির কাছে ক্ষমতা চাইবে। এদেশে স্বৈরাচারের পুনর্বাসন আর হবে না। এদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে।' 

তিনি বলেন, 'মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে ঘরে বসে থাকেননি। তিনি জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বিএনপি ছিল না। সেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছিল দেশের জনগণ। এরপর মাত্র সাড়ে চার বছরের মধ্যে তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে রূপ দিয়েছিলেন মেজর জিয়া। দেশের মানুষকে উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতা পদক, একুশে পদকসহ সব ধরনের পদক প্রবর্তন করেছিলেন তিনি। সার্ক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ছিল মেজর জিয়ার। তিনি ছিলেন আধুনিক কৃষির জনক। তারপর বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারী শিক্ষার উন্নয়ন করেছেন। যুবকদের উন্নয়ন, ৭৫ এর কালা কানুন বাতিলসহ দেশের জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।' 

বিএনপির এই নেতা বলেন, 'ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকবে সমানে সমান। দুই দেশের সর্ম্পকে লাভও হবে সমান। সমান সর্ম্পক না হলে বিএনপি কোনো সর্ম্পক মেনে নেয় না। বিএনপি কোনো কিছু ভাঙে না, বিএনপি গড়তে জানে।'

পতিত সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তার দোসররা রয়ে গেছে। তাদের কাছে আছে পর্যাপ্ত অবৈধ টাকা এবং অস্ত্র। এখনো যারা ষড়যন্ত্র করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। দেশের মানুষ সজাগ আছে, অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছে। বিএনপি আন্দোলনে ছিল, আছে এবং থাকবে। এখনো অনেক পথ যেতে হবে। সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।'

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক কৃষিবিদ প্রফেসর ড. মো. শাহজাজান। 

এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাকৃবির উপাচার্য প্রফেসর ড. একে ফজলুল হক ভুইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মুস্তাফিজুর রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, সাবেক এমপি শাহ নুরুল কবির শাহীন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ একেএম শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, অ্যাডভোকেট এমএ বারী, ড্যাব নেতা ডা. ওয়ালিউল্লাহ, ডা. একেএম মুসা শাহীন, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, শিক্ষক নেতা ড. একেএম আজাদ, এসএম রফিকুল ইসলাস বাচ্চু, ডা. খায়রুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল আজিজ টুটুল, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাসুদ তানভীর তান্না, অধ্যক্ষ শেখ ইউসুফ লিটন প্রমুখ।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/

মমেকের ছাত্র লীগের সভাপতিসহ ৮ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ এএম
মমেকের ছাত্র লীগের সভাপতিসহ ৮ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ। ছবি : খবরের কাগজ

নিষিদ্ধ সংগঠন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) শাখা ছাত্র লীগের সভাপতিসহ আট শিক্ষার্থী ও চিকিৎসককে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। 

এ ছাড়াও ১১ শিক্ষার্থীর একাডেমিক কার্যক্রম বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিতসহ চার জনকে হোস্টেলে প্রবেশে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে পাঁচ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান, ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনুমতি পেয়েছে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সীদ্ধান্ত নেওয়া হয়

আজীবন কলেজ ক্যাম্পাস, হোস্টেলে প্রবেশ, অবস্থান ও কোনো প্রকার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন- ডা. অনুপম সাহা (ম-৫২), ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান (ম-৫৩), ডা. মাশফিক আনোয়ার (ম-৫২), অনুপম দত্ত অর্ঘ্য (ম-৫৩), ডা. সানজিব সরকার বোনাস (বিডিএস-৫), ডা. সাইফুল ইসলাম (বিডিএস-৫), ডা. মাহিদুল হক অয়ন (ম-৫৪) ও ডা. জাহিদুল ইসলাম তুষার (ম-৫৫)। তাদের মধ্যে ডা. অনুপম সাহা নিষিদ্ধ সংগঠন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ডা. আব্দুল্লাহ আল হাসান সাধারণ সম্পাদক।

দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম যাদের স্থগিত হয়েছে তারা হলেন- রাকিবুল হাসান রুকন (ম-৫৭), মেহেদী হাসান শিমুল (ম-৫৩), মেরাজ হোসেন বাধঁন (বিডিএস-১০) ও রাইয়ান হাবিব ফাগুন (ম-৫৮)। এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে অর্ণব সাহার (ম-৫৮) এবং ছয় মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম যাদের স্থগিত হয়েছে তারা হলেন- সানজিদ আহমেদ (বিডিএস-৭), শাহরিয়ার ইফতেখার সৌমিক (বিডিএস-৮), মুনতাসির রাতুল (বিডিএস-৭), শামস আরেফিন (ম-৬৮) ও আসিফ ইকবালের (বিডিএস-১০)।

হোস্টেলে প্রবেশে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- আশিক মাহমুদ রিয়াদ (বিডিএস-৮), মঞ্জুরুল হক রাজিব (ম-৫৭), আশিক উদ্দিন (ম-৫৭) ও কুবের চক্রবর্তী (ম-৫৯)।

নিজের ও অবিভাবকের মুচলেকা সাপেক্ষে ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে অবস্থান, ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনুমতি পেয়েছেন- শিপন হাসান (ম-৫৭), সৈয়দ রায়হান আল আশরাফ মাহিন (ম-৫৭), আসিফ রায়হান (ম-৫৮), দিগন্ত সরকার (ম-৫৯) ও সিয়াম জাওয়াদ পুষণ (ম-৫৯)।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও একাডেমি কাউন্সিলের সভাপতি নাজমুল আলম খান বলেন, 'দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী এ সীদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর কলেজ ক্যাম্পাস ও হোস্টেলে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। উপাধ্যক্ষ ডা. জিম্মা হোসেনকে সভাপতি এবং ডা. মো. বদর উদ্দীনকে সদস্যসচিব করে নয় সদস্যের তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

কামরুজ্জামান মিন্টু/জোবাইদা/

ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় শেখ হাসিনা: মেজর হাফিজ

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় শেখ হাসিনা: মেজর হাফিজ
ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে বাঁচতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। তিনি বলেন, হাসিনা কত নিষ্ঠুর, কত ছাত্র-জনতা হত্যা করেছে। রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য এরা কত নির্মম ছিল। আল্লাহর গজব এদের ওপর পড়েছে। এখন আরেক দেশে বসে ট্রাম্পের ছবি আশ্রয় করে উনি (হাসিনা) বাঁচতে চায়। এত বড় বড় কথা বলেন, আসেন না বাংলাদেশে।

রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর: শহিদ রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ। আয়োজক সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড. ইন্তাজ হোসেন প্রমুখ। 

মেজর হাফিজ বলেন, বিগত ১৭ বছর বিএনপির জন্য কঠিন সময়ের দিয়ে গেছে। বাংলাদেশে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করেছি। কিন্তু এরা যে কত নিষ্ঠুর-নির্মম ছিল তার আসল রূপ প্রকাশ পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। তবে বিগত ১৭ বছরে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের কঠিন আন্দোলনে লিপ্ত ছিল। অনেকে নেতাকর্মী শহিদ হয়েছে, অনেক গুম হয়েছে।  

তিনি বলেন, জুলাই আগস্টে বিপ্লব বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা প্রমাণ করেছে তারা সাহসী জাতি। একাত্তরের যুদ্ধে আমরা যোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছিলাম তারপরে তারা শত্রুর মোকাবিলা করেছিল কিন্তু এবারের ছাত্ররা অন্যরকম সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নিরস্ত্র অবস্থায় হেলিকপ্টার ও পুলিশ গুলি করলেও তারা ভয়ে কেউ পেছায়নি।   

আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা দেয়নি মন্তব্য করে মেজর হাফিজ বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের এক বিরল ব্যক্তিত্ব, কিংবদন্তির নাম। বাঙ্গালীদের সংকটের সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেন অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান। যিনি দুঃসময়ে সৈনিক ও ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা করেছেন সেই মহান নেতা জিয়াউর রহমানকে উপযুক্ত মর্যাদা কখনোই আওয়ামী লীগ দেয়নি। তারা সেই আগের বর্ণিত স্বাধিকার আন্দোলন স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকেই স্বাধীনতার আন্দোলন বলে চালিয়ে দিলেন। 

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

নির্বাচন আড়াল করলে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন: শামসুজ্জামান দুদু

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ পিএম
নির্বাচন আড়াল করলে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন: শামসুজ্জামান দুদু
ছবি: সংগৃহীত

দেশে গণতান্ত্রিক কাঠামো ও নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রসঙ্গ যারা আড়াল করতে চান, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

রবিবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয় নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনা, জুলাই গণঅভ্যুত্থান প্রেক্ষিত আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন। 

জাতীয় নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব তোফায়েল আহমেদ কায়সারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দোলা, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমিন্দ দাস অপু, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী,এস এম মিজানুর রহমান,কালাম ফরাজী।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র নির্বাচন এগুলো আড়াল করতে চায় তারা পক্ষান্তরে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে চিহ্নিত হবে। চারিদিকে এক ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না। ধৈর্যের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে তৈরি থাকতে হবে।’ 

বিএনপির নেতাককর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করছি। এই সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর আগ পর্যন্ত আমাদেরকে তৈরি থাকতে হবে।’

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই-সংগ্রাম করার পরে এদেশের জনগণ এখন সফল হয়েছে। তবে যতদিন না মানুষের অধিকার, ভোটের অধিকার, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে পারবো না ততদিন পর্যন্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলন শেষ হয়েছে এটা বলা যাবে না।’

আয়োজনের প্রধান আলোচক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আজ ১০ ডিসেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবস। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের নূর হোসেন ছিল একটি জীবন্ত পোস্টার। আজ পতিত স্বৈরাচারের কেউ যদি তাণ্ডব সৃষ্টি করে তা প্রতিহত করতে হবে।’ 

জয়ন্ত সাহা/এমএ/